ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নিন। তারপর বিচার করুন।
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দৃষ্টিকোণ ২০ মার্চ, ২০১৪, ০২:২৬:৫২ দুপুর
ইসলামী ব্যাংক এর ৭০% মালিকানা আইডিবির নেতৃত্বে কিছু বিদেশী ব্যাক্তি ও সংস্থার।ইসলামী ব্যাঙ্ক এর ৫ % শেয়ার এর মালিক বাংলাদেশ সরকার্।বাকি শেয়ার সাধারণ শেয়ার আকারে শেয়ারবাজারে ছেড়ে দেয়া -যেগুলোর মালিক আস্তিক -নাস্তিক সবাই।কোন রাজনৈতিক দলের হাতে ১% শেয়ারও নেই।
-- গ্রামীণফোন এর পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্পোরেট ট্যাক্সপেয়ার হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। প্রতিবছর কয়েকশো কোটি টাকা তারা ট্যাক্স দিচ্ছে সরকার কে - যা দিয়ে দেশের রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ইত্যাদি হয়।
-- দেশের নিটওয়্যার সেক্টরে মোট বিনিয়োগ এর ২৫% ইসলামী ব্যাংক একাই করে।বাকী সব ব্যঙ্ক মিলে ৭৫% !
-- দেশের মোট এসএমই লোনের ১৭% ইসলামী ব্যাংক একাই দেয়।
-- দেশের মোট প্রাপ্ত রেমিটেন্স এর ২৮% ইসলামী ব্যাংক এর মাধ্যমে আসে।
-- মাত্র তিন কোটি টাকা ইসলমী ব্যাংক থেকে নেয়ায় যারা সরকার কে গালি দিচ্ছেন আর জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠান বর্জন করতে চাচ্ছেন তাদের উচিৎ -ইসলামী ব্যাংকএর বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত সব শিল্প -কারখানা ..হাসপাতাল ,.কুটিরশিল্প ..বাস ট্রাক জাহাজ সব জ্বালিয়ে দেয়া! ! সাথে এসব প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় যেসব রাস্তাঘাট হয়েছে সেগুলো কেটে ফেলা!
-- সর্বশেষ - দেশের সব সরকারি -বেসরকারি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এর কঠোর অডিট নজরদারি তে আছে।এই অডিট এর মাধ্যমেই হলমার্ক ও বিসমিল্লাহ কেলেংকারী ধরা পড়েছে।
অন্য ব্যাংকে ১ বার অডিট হলে ইসলামী ব্যাংকে ৩বার অডিট হয়।অডিট ফাঁকি দিয়ে ১টা টাকাও কোন রাজনৈতিক দলকে দেয়ার সুযোগ এই ব্যাংক এর নেই।
ইসলামী ব্যাংক প্রমান করেছে যে ওরাই দেশের সবচেয়ে নিরাপদ, সফল, নির্ভরযোগ্য ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর সাধারনের ব্যাংক l
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদের যে হাসপাতালগুলো আছে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা ঐসব এলাকার মানুষদের জন্য আল্লাহর আশীর্বাদ হয়ে আছে ।
স্কয়ার , অ্যাপোলো , ইউনাইটেড , ল্যাব এইডের মত বড় বড় পশ হাসপাতালগুলো শুধু ঢাকাতেই আস্তানা গেড়েছে । ফলে এদের সেবা পেতে গেলে মানুষকে দূরদূরান্ত থেকে ঢাকা আসতে হয় । ঢাকায় আসা , থাকা খাওয়া খুব একটা সহজ ব্যাপার না ।
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল হয়ত খুব বড় নামকরা কোন হাসপাতাল না , কিন্তু একটা এলাকায় যেখানে মান সম্পন্ন বেসরকারী হাসপাতালের খুবই অভাব সেখানে রকম একটা হাসপাতাল থাকা সেখানকার মানুষের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেয় । তারা এই সাহস নিয়ে থাকে যে , অসুস্থ হলেই যে খুব তাড়াহুড়া করে ঢাকায় যেতেই হবে এমন না, ইনিশিয়াল চিকিতসার জন্য আমাদের এখানেই মান সন্মত হাসপাতাল আছে ।
এজন্যই ইসলামী ব্যাংকের বিপক্ষে এইসব চেতনাবাজদের ফোঁস ফাঁস সাধারণ মানুষ খুব একটা পাত্তা দেয় না । আর সরকার তো এসব চেতনাবাজদের সাথে নিজেদের ফায়দার জন্য পাম্প দিলেও তারাও যে ইসলামী ব্যাংকে সমীহ করে তার প্রমাণ তো পেলই চেতনাধারীরা ।
এখন এই চেতনাধারীদের কারও বাবা/মা (গ্রামে/মফস্বলে) অসুস্থ হল যেখানে ইসলামী ব্যাংক বন্ধের জোয়ার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের উপরও পড়লো । আত্মীয় স্বজন তাদের নিয়ে এসে দেখলো যে হাসপাতাল চেতনার আঘাতে বন্ধ হয়ে গেছে । সময়মত চিকিতসা না হওয়াতে পথিমধ্যে মারা গেল ।
কি জবাব দেবে চেতনাধারী সেই ছেলে/মেয়েটি যাদের আন্দোলনে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে গেল এবং সেখানে চিকিতসার সুযোগ না পেয়ে তার আপনজনটি মারা গেল ?
পরের জন্য গর্ত খুঁড়লে সেখানে নিজেকেই পড়তে হয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন