ঈদে মিলাদুন্নবী ও গোঁড়া হুজুর
লিখেছেন লিখেছেন জাকির হোসেন খালেদ ১০ মার্চ, ২০১৪, ১০:০০:০৯ সকাল
একদিন রাতে টাউন হলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, এক মাওলানা সাহেব ওয়াজ করছিলেন ঈদে মিলাদুন্নবী প্রসংগে l সাধারনত: এসব ব্যাপারে মাথা ঘামাই না, কিন্তু যখন শুনলাম উনি তাদের চ্যালেন্জ দিচ্ছেন যারা ঈদে মিলাদুন্নবী মানে না এবং রীতিমত গালাগালি শুরু করলেন আবু জেহেলের বংশধর ইত্যাদি বলে, খুব খারাপ লাগল l তিনি নানা রকম যুক্তি যেমন ঈদ মানে আনন্দ, মিলাদ মানে আগমন অর্থাত ঈদে মিলাদুন্নবী মানে বিশ্বনবী আগমনের খুশি ইত্যাদি দিয়ে প্রমান করলেন ঈদে মিলাদুন্নবী এক বিশাল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা এবং যারা তা মানবে না তারা আল্লাহর নবীর দুশমন l
হায় আল্লাহ ! আমাদের কি হলো যে আমরা ফালতু বিষয় নিয়ে এমন কামড়া-কামড়ি শুরু করলাম ? এখানে প্রসংগত: একটি কথা বলতে চাই, ইসলামী বিধি-বিধান কোন যুক্তির ভিত্তিতে নয় বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম ও তার সাহাবীদের অনুসৃত পদ্ধতির দালীলিক ভিত্তির ওপর নির্ভরশীল l রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বা তার সাহাবীদের জীবনকালে কখনও তার জন্মদিন পালনের কোন খবর আজ পর্যন্ত কেউ বর্ননা করেননি l
দ্বিতীয়ত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম এর সঠিক জন্ম তারিখ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কেউ উল্লেখ করেননি - এটি নিয়ে বিতর্ক আছে l কিন্তু বারই রবিউল আওয়াল তার তিরোধান দিবসের ব্যাপারে কারু দ্বিমত নেই l যদি বা ধরেও নেয়া হয় এদিনেই তার জন্ম, তার পরেও তার মৃত্যুর দিনটিকে কিভাবে ঈদ মানে আনন্দের দিন হিসেবে নেয়া যায় আমার বুঝে আসেনা l
ইহুদি আর খ্রিষ্ট ধর্ম বিকৃতির মূল নায়ক ছিল তাদের ধর্মগুরুরা, হিন্দু ধর্মেও তাদের ঠাকুর-পুরুতরা একই ভূমিকা পালন করেছে l আমাদেরও কি সেই দশা হবে নাকি ? আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, দ্বীন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করি কেউ আমাদের বিপথে নিতে পারবে না l
আর জ্ঞান অর্জন করাতো প্রত্যেক মুসলমানের ওপরই ফরজ l
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রধানত চট্টগ্রামে এই ধরনের ওয়াজ হয়ে থাকে। কারন ঈদে মিলাদুন্নবির নামে এই ধরনের মাওলানা সাহেবদের ভাল ইনকাম হয় এবং ভাল খাওয়া দাওয়া হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন