পলিটিক্স
লিখেছেন লিখেছেন বশর সিদ্দিকী ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০১:১২:১৪ রাত
বাংলাদেশের এই মুহুর্তে রাজনিতি করতেছে দুইটা দল। একটা আম্লিগ আর একটা জামাত। বিষয়টা একটা বহুত পুরান ক্যাচাল। কিন্তু তারপরও সেটা কিছতেই ফুরায় না। উল্টা আরো নতুন করে মানুষের সামনে উপস্থাপন হচ্ছে রঙ চঙে ভাব নিয়ে।
উপরে উল্লেখিত দুল দুইটা ছারা বাকিরা যা করতেছে সেটারে রাজনিতি বলা চলে না। বিএনপি তো কোন দলই না। এটা একটা কোন্দল। তাদের এমন কোন ওয়ার্ড বা থানা নাই যেখানে কোন্দল নাই। নিজেদের দলের লোকের সাথে এমন ভয়ানক ভাবে মারামারি করে যে মনে হয় আম্লিগরে পিটাইতেছে। অথচ খোজ নিলে জানা যাবে এই লোক জীবনে একটা আম্লিগের লোকের গায়ে টোকাও দেয় নাই।
এটার একটা কারন আছে। একটা উদাহরন দিলে বিষয়টা একদম ক্লিয়ার হবে সবার সামনে। ঢাকা মহানগরি বিএনপির একদম উচ্চ সারির একটা নেতা হইলো সাদেক হোসেন খোকা। এই লোকের আমল নামা ঘাটলে মজার কিছু তথ্য দেখা যাবে। তিনি সাবেক ছাত্রলিগের নেতা। যথা সম্ভব তিনি আম্লিগের সেই সব নেতাদের একজন যে অভিমানে দল ছারছে। কিন্তু অভিমান থাকলেও দলের প্রতি ভালোবাসা মোটেও কমে নাই। তাই দেখা যায় খোকার অনুসারিরা আম্লিগের চেয়ে বিএনপি আর জামাতের লোক পিটাইতে বেশি আরাম পায়। শেখ হাসিনা যখন বলে বিএনপি একটা ফরমালিন যুক্ত দল তখন কথাটা সবাই হাইসা উরাইয়া দিছিল। কিন্তু আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে ভদ্রমহিলা একদম পারফেক্ট এবং ১০০ ভাগ সত্যি কথাই বলেছেন। কারন এই ফরমালিন যে তিনিই বিএনপির মধ্যে অনেক আগেই ঢুকাইয়া দিছিলেন। এই দলনিয়া তো গুছাইয়া একটা পিকনিকও করতে পারবে না তারা। একটা আর একটারে পিকনিকের নাস্তার আইটেমের লাইগা পিটাইয়া আধামরা কইরা ফালাইবে।
জামাত ইসলামি বাংলাদেশে রাজনিতি করে আজথেকে আরো ৫০ থেকে ৬০ বছর আগ থেকে। তখন পাকিস্তান জামাত ছিল এখন বাংলাদেশ জামাত হইছে। জামাত সবসময়ই নিজেদের মত করে ডিসিশন নেয়। নিজেদের মত করে রাজতিনি করে। ব্যাপারটা এমন একটা লোকের চারপাশে ভুমিকম্প হইয়া বিল্ডিং সবগুলা ভাইঙ্গা পইরা যাইতাছে কিন্তু সে ঠিকই নিজের মনে চিন্তা করতে করতে হাইটা যাইতাছে। বর্তমান সিচুয়েশনে আম্লিগ জামাতরে নিয়া বেশি চিন্তিত হবার একটা প্রধান কারন হইতাছে জামাতের বর্তমান নেতারা এই চিন্তাধারা থেকে পুরোপুরি বের হয়ে আসছে। যার ফল এখন হাতেনাতে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন গুলোতে।
এখন আসি আমি যেই বিষয়টা নিয়া আলাপ করতে চাইতেছিলাম। বাংলাদেশ আওমিলিগ নিয়া। তাদের রাজনিতি যে কোন পর্যায়ের এইটা সম্পর্কে তাদের কোন বিরুদ্ধ দলের সামান্য তম কোন আইডিয়া নাই। বর্তমান ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে ছোট্ট একটা উদাহরন দিচ্ছি। লঞ্চ ডুইবা গেছে সকাল ১১টার সময়। মোবাইলের মাধ্যমে মন্ত্রির কানে গেছে ১১:১০ মিনিটে। মন্ত্রি তার উপরের জনকে জানাইছেন ১১:১৩ মিনিটে।( এই উপরের কেউ প্রধানমন্ত্রি না। ওই পর্যন্ত যাইতে ঘটনা আরো ভয়াবহ আকার ধারন করতে হয়।) ভদ্রলোক ঠিক ৫ মিনিট চিন্তা করে আবার মন্ত্রিকে ফোন ব্যাক করলেন ১১:১৮ মিনিটে। সিদ্ধান্ত দিলেন। ব্যাস। এত বড় একটা ঘটনা অত্যান্ত সুন্দর ভাবে ধামা চাপা পরল। তিনি মন্ত্রি সাহেবকে যেটা বললেন তার সারমর্ম হলো লাশ যত কম পাওয়া যাবে ঝামেলা তত কম হবে। তাই লাশ উদ্ধার না করে উদ্ধার উদ্ধার নাটক কর। কিন্তু লাশ তো। একদিন না একদিন ভাইসা উঠবেই। তাই তিনি নির্দেশ দিলেন তাইলে লাশ গুম করো। তার পরও ১৫টার মত লাশ মনে হয় বেদখল হইয়া গেছে। এটা একটা কাল্পনিক গল্প মাত্র। বাস্তবের সাথে কোন মিল নাই। বাকিটা আপনারা বুইঝা নেন।
আমার গল্পের বিষয় হচ্ছে রাজনিতি করার স্টাইল দেখেন। ক্ষমতায় থাকতে সবসময় চিন্তা করে জনগন কিভাবে ঠান্ডা রাখা যায়। আর বিরোধি দলে থাকতে চিন্তা করে জনগনকে কিভাবে উত্তেজিত করা যাবে। জনগনকে নিয়াই রাজনিতি করে তারা। তবে জনগনের জন্য করে না করে নিজেদের জন্য। বিএনপি তো ডাইরেক্ট জনগনের সোগা মাইরা রাজনিতি করে না। জনগন আর যাই হোক সোগা মারা খাওয়া পছন্দ করে না। তাই তারা ক্ষেপে। যেইটা ক্ষেপছিল বিএনপির আমলে। অথচ বিএনপি তার আমলে পাবলিকরে বুঠান্ডা রাখার মত কছিুই করতে পারে নাই। উল্টা আম্লিগের সাথে তাল দিছে বিএনপির সেই ফরমালিন গুলা।
আজ পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা আম্লিগের আমলে ঘটেছে তার সবগুলো এনালাইসিস করলে একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে যে তাদের এই পলিটিক্স এই স্টাইলে চলে। ইসরাইল থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারত পর্যন্ত এই স্টাইলে পলিটিক্স করতেছে। যেখানে তামাম দুনিয়া তাদের রাজনিতি এক স্টাইলে চালাইতেছে সেইখানে বিএনপি তার এই কোন্দল মার্কা হাটু ভাঙা আর মাজা ভাঙ্গা দলটা নিয়া বলে সরকার পতনের আন্দোলন করবে।
জামাতের কথা আসলে বলতে হয় জামাত এতদিন যা করে দেখাইছে তার ১০ ভাগের এক ভাগ বিএনপি করুক তার পরে বুঝা যাবে তাদের শক্তি। জামাত এখন দল গুছাবে এবং সরকারের সাথে তাদের যে একটা আন্ডার টেবল আন্ডারস্টান্ডিং আছে সেটা কাজে লাগাবে। কারন তারা আর কোন ভাবেই বিএনপির মত একটা ফরমালিন যুক্ত দলের জন্য তার প্রিয় নেতাদের লাশ দেখতে চায় না। নিজামি সাহেব তার বড় প্রমান। উনি সেই যে রোজার মাসে অসুস্থ হইছেন। এখনো অসুস্থই আছেন। জামাত কালকে যদি এই ফরমালিন যুক্ত বিএনপির সাথে আন্দোলনে নামে পরসু নিজামি সাহেব সুস্থ হয়ে যাবেন। আর তার পরের দিন তার ফাসির রায় হবে। সুতারং জামাত এত সহজে মাঠে যাবে না। আর জামাত ছারা বিএনপি যে মাঠে কিসের বাল ফালাবে সেটা কাওরানবাজারের টোকাই গুলাও ভালো কইরা বলতে পারবে।
তাই যখন প্রধান মন্ত্রি তার বক্তব্যে বলে থাকেন বাংলাদেশ আম্লিগ ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে তখন বুঝতে হবে তিনি হাসির কথা বলেন নাই। একবারে হিসাব নিকাশ করে সবকিছু সেট করে তারপরই তিনি সেই কথাটা বলেছেন। এখন শুধু একমাত্র আল্লাহ যদি চান হবে তিনিই এর ব্যাত্যায় ঘটাইতে পারেন। কারন ক্ষমতা দেয়ার মালিক তিনি নেয়ার মালিকও তিনি।
বিষয়: বিবিধ
১৪০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন