ফিলিস্তিনিদের জন্য এই মুহুর্তে কি প্রয়োজন ওষুধ নাকি অস্ত্র?
লিখেছেন লিখেছেন বশর সিদ্দিকী ২৫ জুলাই, ২০১৪, ১১:২২:১৭ সকাল
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ অমানবিকতার সীমা ছারাইয়া গেছে বহুত আগে। এখন তারা যেটা চালাচ্ছে সেটা এককথায় পুরা পৃথিবির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার সামিল। প্রথমে গাজার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য মালেয়শিয়ার বিমানে হামলা চালাইলো। মারল ৩০০ জনের মত। কিন্তু বিধি বাম সিএনএন আর বিবিসি সহ তাদের কয়েকটা মিডিয়া ছারা আর কোন মিডিয়া কিছুতেই গাজার ঘটনা ধামা চাপা দিচ্ছে না।
যতই দিন যাচ্ছে লাশের পরিমান বারতেছে গাজাতে। এইবার তারা চিন্তা ভাবনা কইরা ফালাইলো আলজেরিয়ার বিমান যেটাতে সব ফ্রান্সের যাত্রি। ইকুয়েশন খুব সোজা। ইসরাইরে ঢুুকতে অস্বিকৃতি জানানো বিমান কোম্পানি গুলোকে একটা ধমক দেয়া আর বিশ্বের দৃস্টি গাজা থেকে ঘুরানো। তবে এইবার হালকা কাজ হইতেছে বলেই মনে হইতেছে। কালকে সারাদিন পুরো বিশ্ব এই বিমান নিয়েই ছিল। গাজার কথা তারা কমপ্লিটলি ভুলে গেছিল।
মোসাদের কর্মকান্ড নিয়া খোদ আমেরিকার সামরিক বাহিনি এবং গোয়েন্দা বাহিনিতে ব্যাপক তোলপার চলতেছে। এছারা ইউরোপের দেশ ফ্রান্স গতকালকে পর্যন্ত চুপ মাইরা আছে কারন তাদের আভ্যন্তরিন ম্যানেজম্যান্ট এর মধ্যে ব্যাপক তোলপার চলতেছে কারে ব্লেইম করবে সেইটা নিয়ে।
জার্মানি চেইতা আছে তার চ্যান্সেলর এর উপর গোয়েন্দা গিরি নিয়া। আর রাশিয়া তো নিশ্চিৎ ভাবে জানে ইউক্রেনের ঘটনায় মোসাদে হাত ছিল এবং পুতিন সেটা বেশ কয়েকবার তার কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিয়েছে।
ঠিক এইমুহুর্তে গাজাবাসির জন্য কোন প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এইটা নিয়ে আমি গত কয়েকদিন পর্যন্ত ভাবতেছিলাম। গত কয়েকদশক ধরে গাজা বাসির জন্য ত্রান আর সাহায্য তো পুরো বিশ্ব থেকে কম গেল না। প্রত্যেক দেশই কিছু না কিছু পাঠাইছে। কিন্তু সেই সাহায্য কি তাদের শিশুগুলোকে বাচাইতে পারছে। পারেনাই। উল্টা আরো বেশি করে এখন নিহত হচ্ছে গাজা বাসি।
আমার ধারনা গাজাবাসিকে এখন দেয়া প্রয়োজন ব্যাপক পরিমানে অস্ত্র। কেবলমাত্র কয়েকটা ভারি রকেটই পারে এই অসম যুদ্ধ নামের গনহত্যা বন্ধ করতে। যখনই কিছু ভারি রকেট ইসরাইলের মুল কেন্দ্র এবং শহর গুলাতে আঘাত করবে এবং সাধারন মানুষ হতাহত হবে তখনই তারা তাদের এই হামলা বন্ধ করবে।
এই কাজটা প্রথমথেকেই করে আসছে ইরানিরা। গত ২০১২ যুদ্ধে ইসরাইলে আঘাত হানা রকেট গুলো যেগুলো যুদ্ধ থামানোর কারন হিসাবে ধরা হয় তা ইরানের তৈরি। ইরানের সবাচেয়ে নিচু সারির গ্রাদ শ্রেনির রকেট গুলো এই কাজ করে। তাহলে সাহাব শ্রেনির রকেট গুলো কি করতে পালে একবার ভেবে দেখেছেন? তাহলে প্রশ্ন হইতেছে তারা কেন সেই রকেট গুলো হামাসকে দিচ্ছে না?
উত্তর হচ্ছে সৌদিআরব। সৌদিআরব কোনভাবেই চায়না ফিলিস্তিনিদের হাতে অস্ত্র যাক। এজন্যই তারা নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি রাখে ইরান, হিজবুল্লাহ এবং হামাসের উপর। তবে এক্ষেত্রে তুরস্ক আগাইয়া আসতে পারে। কিন্তু তারা আগাবেনা কারন তাদেরকে ফ্রান্স তখন ইউরোপিয় ইউনিয়নে ঢোকার রাস্তা আটকাইয়া দিবে। স্বার্থপরতা কাকে বলে একবার চিন্তা করেন। অথচ এই ইউ এর অবস্থ এখন মারাত্মক বেগতিক। সিরিয়া নিজেই আছে ব্যাপক ফাপরে। তারা এইমুহুর্তে অস্ত্র দেয়ার অবস্থায় নাই। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা। আর হিজবুল্লাহর হাত পা বাইন্ধা রাখছে আইএসআইএল। আইএসআইএল কোন একটা ছুতা খুজতাছে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধ বাধানোর জন্য। পুরাটাই তাদের প্রভু ইসরাইলের পরিকল্পনা।
এবার আসি আইএসআইএল এর নতুন খলিফা আর তার খিলাফতের বিষয়ে। মনে হচ্ছে উনারা এখন জিহাদে নিকাহ নিয়া ব্যাপক মাত্রায় ব্যাস্ত আছেন। নতুন খলিফা কত নাম্বার বিবি নিয়া আমোদে আছেন সেটা এখনো ক্লিয়ার না তবে সেটা ৩০ নাম্বার এর নিচে হবেনা সেটা নিশ্চিৎ। এনএসএর এডওয়ার্ড স্নোডেন তথ্যউপাত্ত দেয়ার পরও মানুষ কিভাবে এই আইএসআইএলকে জীহাদি ভাবে আমার মাথায় ঢুকে না। এরাতো পুরানা সেই পাগলা সাদ্দামের ভুত। এদরে ব্যাপারে কোন বুঝ খাটে না। এদের ব্যাপারো কোন নিয়ম খাটে না। এদের জন্য একটাই জিনিষ সেটা হচ্ছে ধরে ধরে হত্যা করা। প্রত্যেকটারে কুকুরের মত লরাইয়া ধইরা তার পিষে পিষে হত্যা করা। মনে হচ্ছে ইরাকি বাহিনি সেটাই করতে যাচ্ছে ঈদের পরে। রাশিয়া ব্যাপক পরিমানে সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে গত কয়েক দিনে ইরাকি বাহিনিকে। দেখা যাক এই নব্য শয়তান খলিফার জিহাদে নিকাহ কতদিন টিকে থাকে।
তবে ফিলিস্তিনের জন্য এইমুহুর্তে আরো উন্নত ধরনের রকেট ছারা কোন গতি নাই। এক্ষেত্রে বেসরকারি অস্ত্র নির্মান প্রতিষ্ঠন গুলো এগিয়ে আসতে পারে। ইউরোপে অবস্থিত অস্ত্র নির্মান প্রতিষ্ঠান থেকে মিসাইল টেকনোলজি এনে চেস্টা করা যেতে পারে নতুন ভার্সন তৈরি করা। কারন ইউরোপ অলরেডি ইসরাইরের আয়রন ডোম ভাঙ্গার জন্য প্রচুর গবেষনা করছে। আর ইরানিদেরকে নিজেদের স্বার্থ ছেরে দিয়ে আরো আগাইতে হবে ফিলিস্তিনিদের জন্য। আর নতুন খলিফাকে বাংলাদেশে থেকে তার মর্দে মুজাহিদরা পারলে একটা বিবি তোফা হিসাবে পাঠাইয়া দিতে পারেন। জীহাদে নিকাহ আরো বেগবান হবে। পরকালে জান্নাত নসিব হইয়া যাবে।
সর্বশেষে লেবাননের একজন সুন্নি আলেমের কথা দিয়া শেষ করি। তিনি বলেছিলেন "ইসরাইলকে যদি আজকে থেকে শিয়াস্টেট ঘোষনা করা হয় তবে কালকে থেকে পুরা আরব বিশ্ব তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করবে, কিন্তু ইহুদি হিসাবে তারা আরবশেখদের বন্ধু হিসাবেই থেকে যাবে"
বিষয়: বিবিধ
১৪০৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন