আমেরিকা এবং রাশিয়ার অস্ত্রের তুলনামুলক চিত্র পর্ব - ২ (রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান)

লিখেছেন লিখেছেন বশর সিদ্দিকী ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:১৪:৩৪ রাত

মিগ:



মিগ হচ্ছে রাশিয়ার মিকোয়ান কোম্পানির তৈরি একটি বিশেষ মডেলের যুদ্ধ বিমান। আকাশের ত্রাস এই ভয়ানক যুদ্ধ বিমানটির ডিজাইন শুরু হয় ষাটের দশকে যখন সেভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মধ্যে চলছিল চরম স্নায়ু যুদ্ধ। সোভিয়েত তখন আমিরিকার লকহিড এবং ম্যাকডয়েল কোম্পানিকে কাউন্টার দেয়ার জন্য নিজস্ব কিছু করার পরিকল্পনা করে এবং সেখান থেকেই শুরু হয় মিগের যাত্রা। বর্তমান পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত যত প্রকার যুদ্ধ বিমান নির্মান করা হয়েছে তার কোনটাই মিগের সমক্ষ হতে পারে নাই। তবে এটা ডিপেন্ড করে এর চালকের দক্ষতার উপরে। প্রথশ মিগ আকশে টেস্ট ফ্লাইট করে ১৯৭৭ সালে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ হয় ১৯৮৩ সালে।

বর্ননাঃ

• বৈমানিক : ১ জন

• দৈর্ঘ্য : ৫৭ ফুট(১৭.৩৭ মি)

• উচ্চতা : ১৫ফিট ৬ ইঞ্চি(৪.৭৩মি)

• খালি অবস্হায় ওজন : ১১০০০ কেজি

• বোঝাই অবস্হায় ওজন : ১৬৮০০ কেজি

• সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন : ২১০০০ কেজি

• শক্তির উৎস : ২টি ক্লিমোভ আরডি-৩৩কে আফটার বার্নিং টার্বো ফ্যান

• সর্বোচ্চ গতিসীমা : ২৪৪৫ কিঃমিঃ/ঘণ্টা(১৫১৮ মাইল/ঘণ্টা)

• পাল্লা :৭০০ কিঃমিঃ(যুদ্ধাবস্হায়)২৯০০ কিঃমিঃ (ফেরি)

• ১*৩০মিমি জিএসএইচ-৩০-১ কামান(১৫০ রাউন্ড).

• সর্বোচ্চ ৩৫০০ কেজি ওজনের অস্ত্র ৬টি এন্টি এয়ার ক্রাফট মিসাইলসহ .

• সাইড উইন্ডার মিসাইল/ রাডার গাইডেড মিসাইল ব্যাবহার করা যায়।

• মারভিক(৬০০ পাউন্ড),হারপুন(৫০০ পাউন্ড) বোমা ব্যাবহার করা যায়।

• সব ধরনের জি পি এস গাইডেড মিসাইল ও বোমা মারা যায়।

এ ছাড়াও আরো কিছু উটিলিটি রয়েছে, বিভিন্ন ভাবে রাডার কে ফাকি দেয়া, মিসাইল থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য অতি দ্রুত টার্ন নেয়া। সমুদ্রের জাহাজে অনেক উচু থেকে আঘাত করা। শত্রু বাহিনীর উপর অতি দ্রুত বোমা মেরে দেয়া। বিশাল ট্যাঙ্ক বহরকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া।অতি দ্রুত মিশন শেষ করে নিরাপদে ফিরে আসা। মিগ ২৯ এর অন্যতম ইউনিক ফ্যাসিলিটি হল এর কোবরা ম্যানুভারিটি, (অর্থাৎ আকাশে চলমান অবস্থায় হঠাৎ থেমে গিয়ে অন্যদিকে চলা) । যার মাধ্যমে এই ফাইটার ইনকামিং মিসাইলকে ধোকা দিতে পারে। মিগ ২৯ এর আরেকটি ইউনিক ফ্যাসিলিটি হল হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে যার সাহায্য পাইলট হেলমেটেই সমস্ত কিছু দেখেতে পায় এবং পাইলটের মাথা যেদিকে ঘোরে টার্গেটিং কম্পিউটার সেদিকেই টার্গেট করে।

এই ২ প্রযুক্তি কোবরা ম্যানুভারিরটি এবং হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে ২০০৩ সালের দিকে এফ ২২ র‌্যাপটরের মধ্যে দিয়ে আমেরিকান এয়ার ফোর্সে সংযুক্ত হয়। মিগ ২৯ সকল প্রকার পরিবেশেই ব্যাবহার উপযোগী। দিন- রাত, তু্ষারাচ্ছন ঝড়ো আবহাওয়া কিংবা ভারী বৃষ্টি সব ধরনের পরিবেশেই এই মিগ ২৯ সমান পারদর্শী। মিগ ২৯ এ ব্যবহৃত হয়েছে - Zhuk-ME Antenna। যার রেন্জ ১২৫ কি.মি.। মিগ ২৯ কমপ্লিটলি পাইলটস ফাইটার। দক্ষ একজন পাইলটের হাতে উপোরক্ত সুবিধা সম্পন্ন মিগ ২৯ একটি মারাত্বক ভয়ংকর যুদ্ধাস্ত্র । আবার এভ্যারেজ পাইটের হাতে এটা একটা এভ্যারেজ ফ্লাইং ফাইটার। মিগ ২৯ এর অন্যতম ঝামেলা হল এর মেইনটেইন্যান্স কস্ট। প্রতি ফ্লাইং এ একটা মিগ ২৯ তেল খরচ হয় মিনিমাম ৩০০০ লিটার। মিগ ২৯ এর ফ্যাসিলিটির দিক থেকে এর প্রতিদ্বন্ধী আমেরিকান এফ ১৬ থেকে আজও অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে। মিগ ২৯ কে এফ ১৬ দিয়ে পিছনে ফেলতে না পেরে আমেরিকা শেষমেষ ১৯৯৯ সালে মালডোভার থেকে এন্যালাইসিসের জন্য ২১ টা মিগ ২৯ নিকে নেয়। এবং সেই এন্যালাইসিস তারা এফ ১৮ সুপার হর্নেট আপডেট এবং এফ ২২ র‌্যাপটর তৈরিতে ব্যবহার করে।। কিন্তু মিগের বর্তমান মিগ-৩৫ ভার্সন দেখে মনে হচ্ছে এই বিমানটা আবারও আমেরিকাকে ভালো ভাবে ভোগাবে।

এছারা মিগ ৩১ ফক্সহাউন্ড - আইকন ইন্টারসেপ্টর ফাইটার আর একটা মারাত্মক ফাইটা বিমান রাশিয়ানদের। এটা নিয়ে বিশাল একটা মজার গল্প আছে। ঝামেলার শুরু হয় ১৯৭৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এক সোভিয়েত পাইলট Viktor Belenko তার মিগ ২৫ নিয়ে আকাশের মধ্যেই যান্ত্রিক সমস্যার মধ্যে পরে যায়। ফলে তাকে বাধ্য হয়ে জাপানের Hakodate Airport এ ল্যান্ড করতে হয় যা কিনা আমেরিকানদের ঘাটি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো। ঐ সময় আমেরিকানরা মিগ ২৫ কে ৬৬ দিন তাদের জিম্মায় রাখে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা করে। ঐ সময় তারা মোটামুটি এই বিমানের ব্যবচ্ছ্যাদ করে ফেলে। যা বিপদে ফেলে সোভিয়েতদের। আমেরিকানরা সংগ্রহীত ডাটা তাদের পরবর্তি বিভিন্ন আপগ্রেডেশনে ব্যবহার করে। যেমন - এয়ার টু এয়ার মিসাইল AIM-54 Phoenix এর আপগ্রেডেশন, এফ ১৬ এর ইন্জিন এর আপগ্রেডেশন ইত্যাদি। ১৯৭৬ এর ঘটনার পরে সোভিয়েতরা মিগ ২৫ সুপার ফক্সব্যাট এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নতুন কোন ফাইটার তৈরির চিন্তা করতে থাকে। সেখান থেকেই এই ভয়ানক মিগ-৩১ এর উৎপত্তি হয়।

সুখোই:



Sukhoi Su-27 সোভিয়েতদের তৈরি চতুর্থ জেনারেশনের একটা ২ ইন্জিনের সুপার ম্যনুভারেবল ফাইটার এয়ারক্রাফট। যদিও সুখোই ২৭ কে বেশির ভাগ সময়েই এয়ার সুপিউরিটির কাজে দেখা যায় কিন্তু এই বিমান যে কোন ভুমিকায় আক্রমনে সক্ষম। Sukhoi Su-27 এর হেভি আর্মামেন্ট , শক্তিশালী এভিওনিকস যেমন : নেভিগেশন , কমিউনিকেশন , হাই ম্যানুভারিটি এবং অবিশ্বাস্য রকমের ক্ষিপ্ততা একে দুনিয়ার কাছে "দি সোভিয়েত বিষ্ট" হিসাবে পরিচিত করে তোলে। রাশিয়া আমেরিকাকে কাউন্টার দেয়ার জন্য সত্তর এর দশকে এই প্রযেক্টটা হাতে নেয়। কিন্তু এর নির্মান প্রকৃয়া শুরু হওয়ার চার দিন আগেই হঠাৎ করে কেজিবির নির্দেশে বন্ধ করে দেয়া হয় আরো বেশি আপগ্রেডের জন্য। এবং শেষ পর্যন্ত ১৯৮৪ সালের শেষের দিকে বিমানটি নির্মিত হয়। মিগ এর প্রযেক্ট এর পরে সুখোই এর ডিজাইনে হাত দেয়া হলে রাশানরা এর অনেক কিছুকে রিডিজাইন এবং আপগ্রড করতে থাকে। যেমন এর‌্যোডাইনামিক্যাল বডি স্ট্যাকচার চেন্জ করা হয়।ইন্জিনের পজিশন কে আর ও পিছিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে এই বিমান হয়ে যায় এর‌্যোডাইনামিক্যাল ইনস্ট্যাবল একটা বিমান কারন এর সামনের দিকের ওজন হালকা হয়ে পড়ে।বাড়ানো হয় উইং এরিয়া, যাতে বেশি উইপন লোড নিতে পারে।সু ২৭ জন্য তৈরি করা হয় আলাদা মিসাইল আর রাডার। এয়ারব্রেক,টেইলপ্লেট এড করা হয়। এতে বাড়ে এর ক্ষিপ্ততা । এই বিমান পায় কোবরা নামে এক বিশেষ সুপার ম্যানুভারিটি। সু ২৭ ম্যাক ২ + গতিতে ১১০ ডিগ্রি স্ট্যান্ডআপ ম্যানুভারবল ছিলো যেখানে আলাদা ভাবে মডিফাই করা এফ ১৫ এর ক্ষমতা ছিলো মাত্র ৭০ ডিগ্রি । এই বিমান সার্ভিসে এসেই প্রমান করে এর ক্যপাবিলটি কে। ১৯৯০ এর দিকে আমেরিকা আর সোভিয়েত একটা ডেমো এয়ার ফাইটের আয়োজন করে ভার্জিনিয়া তে। যেখানে সব গুলো ডেমো ফাইটে সু ২৭ জিতে যায়। এর পরে আমেরিকান রা সু ২৭ কে নাম দেয় "দি সোভিয়েত বিষ্ট"। এই বিমানের প্রায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩২ টার মত বিশ্বরেকর্ড আছে যা এখনো অটুট।

• বৈমানিক : ১ জন

• দৈর্ঘ্য : ৭২ ফুট(২৯.১ মি)

• উচ্চতা : ১৯ফিট ৬ ইঞ্চি(৫.৯২মি)

• খালি অবস্হায় ওজন : ১৬৩৮০ কেজি

• বোঝাই অবস্হায় ওজন : ২৩৪৩০ কেজি

• সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন : ৩০৪৫০ কেজি

• শক্তির উৎস : ২টি Saturn/Lyulka AL-31F টার্বো ফ্যান

• জ্বালানি ধারনক্ষমতা : ৯৪০০ লিটার

• সর্বোচ্চ গতিসীমা : ২৫০০ কিঃমিঃ/ঘণ্টা(১৫৫০ মাইল/ঘণ্টা)

• পাল্লা : ৩৫৩০ কিঃমিঃ(যুদ্ধাবস্হায়)

• ১৫০ রাউন্ড সহ একটা ৩০ এমএম GSh-30-1 cannon

• ১০ টা হার্ড পয়েন্টে যার মাঝে ফিক্সড ২ টা এয়ার টু এয়ার ( সিরিজ )মিসাইল বাকি ৮ টায় যখন যা লোড করা হয়।

• এছারা এই বিমানে ৬ টা মিডিয়াম রেঞ্জের R-27 এবং দুইটা শর্ট রেঞ্জের R-73 হিট সিকিং মিসাইল থাকে।

তুপোলেভ (সুপারসনিক বম্বার):



বম্বার বিমান গুলো মুলত উপরের বিমানগুলো থেকে একটু ভিন্ন। কারন এগুলো সাইজে অনেক বড় থাকে এবং এগুলো মুলত প্রচুর ভারি অস্ত্র বহন করতে পারে। বিশাল সব পারমানবিক বোম হতে শুরু করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্লাস্টার বোমার পর্যন্ত এই বিমান গুলো বহন এবং ছুরতে পারে। তবে রাশিয়ার বোম্বর টাইপ বিমানের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। এর কারন আমি আলোচনা করব মিসাইল পরিচিতির সময়ে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে রাশিয়ার এই অগুরুত্বপুর্ন বম্বার গুলোর আশেপাশেও যেতে পারেনাই আমেরিকার বম্বার বা এইটাইপের বিমান গুলো। তোপলোভ মুলত রাশিয়ার একটা সামরিক বিমান নির্মান কম্পানি। তারা ড্রোন নির্মানে বিশেষ পারদর্শি। এবং সেটা গোপন রাখতে আরো পারদর্শি। তুপোলভ এর এই বিমান গুলো প্রথম ডিজাইন শুরু হয় ৭০ এর দশকে। এবং সর্ভিসে আসে ৮০ এর দশকে। Tupolev Tu-160 এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত গতির সুপারসনিক বোম্বার বিমান। এই ভার্সনটি এখন পর্যন্ত ৩৬ টার মত নির্মান করা হয়েছে। এছারাও এই বিমানের আরো দু্ইটা ভার্সন আছে।

• বৈমানিক : ৪ জন(২ জন পাইলট, ১ জন বম্বারডিয়ার, ১ জন ডিফেন্স অপারেটর।

• দৈর্ঘ্য : ১৭৭ ফুট ৬ ইঞ্চি(৫৪.১০ মি)

• উচ্চতা : ৪৩ফিট(১৩.১০মি)

• খালি অবস্হায় ওজন : ১১০,০০০ কেজি(১১০ টন)

• বোঝাই অবস্হায় ওজন : ২৬৭,৬০০ কেজি( ২৬৭ টন)

• সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন : ২৭৫.০০০কেজি

• শক্তির উৎস : ৪ টি Samara NK-321 টার্বো ফ্যান

• সর্বোচ্চ গতিসীমা : ২২২০কিঃমিঃ/ঘণ্টা(১৩৮০ মাইল/ঘণ্টা)

• পাল্লা : ১২৩০০ কিঃমিঃ(যুদ্ধাবস্হায়)

• দুই টি ইন্টারনাল বে তে ৪০ টন বোমা বহন করতে পারে।

• দুই টা রোটারি লাঞ্চার থেকে হয় ৬ টা Raduga Kh-55SM/101/102 cruise missiles থাকে অথবা ১২ টা Raduga Kh-15 নামের শর্ট রেঞ্জের নিউক্লিয়ার মিসাইল থাকে।

কি হা হয়ে যাওয়ার বিষয় না। আরো মজার বিষয় হইতেছে আমেরিকা জন্য বিশাল দুশ্চিন্তার কারন হইয়া আসতেছে এই সিরিজের পরবর্তি বোম্বার পাক-ডিএ। ২০২০-২০২৫ এর মধ্যে এই বিমানটা রাশিয়ান এয়ার ফোর্সে আসবে। পুরোপুরি না জানলেও মোটামুটি ধারনা করা যাইতাছে যুদ্ধের সময় একটা সাধারন পাক-ডিএ খুব সুন্দর ভাবে পুরো যুদ্ধের মোর ঘুরাইয়া দিতে পারবে। এবং আরো মজার বিষয় হইতেছে ইরান এই জিনিষ সবার আগে হাতে পাইতে যাইতেছে। কি মজা।

এক্সপেরিমেন্টাল:



এর মানে হইতেছে সামনের দিকে আসতেছে তো এই লিস্টে দুইটা বিমান সামনে আসতেছে। একটা হচ্ছে Sukhoi PAK FA এবং আর একটা হইতেছে Sukhoi Su-47। মনে হইতেছে আমেরিকারে এই দুইটার জন্য আরেকবার তাদের মিসাইল সিস্টেম নিয়া ভাবতে বসতে হইতেে পারে। তাছারা পরের টা মানে Sukhoi Su-47 এর কোন ডিটেইলস এখনো আমেরিকা হাতে পাইতাছে না। এটা নিয়া তারা আরো ঘোলার মধ্যে আছে। ধারনা করা হইতেছে আমেরিকার সমস্ত রাডার ব্যবস্থাকে টার্গেট ঘরে এইটা বিমানটা নির্মান করা হইতেছে। তাই এটা আমেরিকার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই আসতেছে।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

৬৭০৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

211477
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২৭
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ । চলুক
211490
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪০
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : অনেক কিছু জানা হল , চলুক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose
211507
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১১
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ২য় বিশ্ব যুদ্ধের আগ পর্যন্ত। আমেরিকা এবং
রাশা, এর কারো মাথায় টার্বো ইঞ্চিন সম্পর্কে
একটা ভাল ধারনা ছিল না। আমেরিকা প্রথমে
জার্মান ইঞ্ছিনিয়ার যারা টার্বো ইঞ্চিন/রকেট প্রজেক্টে জড়িত ছিল। তাদের মেজরিটিকে এরেষ্ট করে আমেরিকায় নিয়ে আসে। তার পর তাদেরকে কাজে লাগায়, তারাই আমেরিকান এফ ১৬ এর প্রজেক্ট কাজ করে। অন্য দিকে টার্বো ইঞ্চিনের মেনুয়াল পেয়ে যায় রাশা। রাশা, ঐ মেনুয়াল পেয়ে মিগের কাজ শুরু করে। তার পরের ঘটনা ঠিক আছে। চালিয়ে যান।
211521
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৫২
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমেরিকান সুপার ফাইটার এফ-২২ র‍্যপটর বাদ পড়ে গেল যে? এফ-২৩ ব্ল্যাক উইডো (২) ,এফ-৩৫ লাইটনিং(২) এবং এফ ১১৭ এ নাইট হক ও বাদ পড়ে গেছে। সবগুলুই কিন্তু সুপার ফাইটার!

আমেরিকান বি-২ স্পিরিট বোম্বার বা বি-৫২ বোমারু গুলু এক কথায় ভয়ংকর! এদের ১ টি বিমানের একবারের অভিযান ১ টি ছোটখাট জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।

দারুন লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
211530
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০২:১৫
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনার লিখা পড়ছিলাম আর আমি কেয়ামতের আগের ১০টি মেজর সাইনের একটি 'দুখান' তথা 'ধুঁয়া' নিয়ে ভাবছিলাম।

নিশ্চয়ই আমরা অচিরেই সেই 'দুখান' এর সাক্ষাৎ পাব। আল্লাহর নবী সত্যই বলেছেন।

ধন্যবাদ এ জাতীয় বিষয় নিয়ে লিখার জন্য।
211551
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৪:১৯
ডাঃ নোমান লিখেছেন : ভালো লাগল আর অনেক কিছুই জানলাম।
211623
২২ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম,আরও লিখুন
213983
২৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন : ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ

পিলাচ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File