চরিত্রহীনদের ইসলাম

লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ০১ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৫২:৩৬ দুপুর

গত বছর থেকে একটি বিষয় অনেক গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিলাম,যারা যে চরিত্রের হয়,আল্লাহ তাদেরকে সেই চরিত্রের সাথেই মিলিয়ে দেন।

ইসলামের নামে একদল চরিত্রহীন কুকরের সন্ধান পেয়েছিলাম।যাদের চরিত্র দেখে নিজের উপরই ঘূণার সৃষ্টি হয়েছিলো,এমন একদল চরিত্রহীনদের সাথে ইসলামের কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম।যখন তাদের চরিত্রের শিকার আমি নিজেই হয়েছিলাম,তখন আর নিজেকে সেই চরিত্রহীনদের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া ছাড়া আর উপায় খুজে পাইনি।

চরিত্রহীনেরা পরস্পর তাদের নিজেদের কাছে খুবই উত্তম।চোরেরা নিজেদের একটি গ্রুপ করে নিয়ে।ডাকাতরা নিজেদের গ্রুপ করে নেয়।মদখোর ও গাঞ্জাখোরেরাও একটি গ্রুপ করেই নিজেদের কাজ করে থাকে।সুতরাং চরিত্রহীনেরা নিজেদের কাজের জন্য কোন গ্রুপ করা ব্যতিক্রম কিছু নয়।

ইসলামের নামে চরিত্রহীন কাজ করলে কিছুই হয়না।আমাদের সমাজের ১% মানুষও ইসলাম বুঝেনা।এমনকি খুব কম সংখ্যক মানুষ কুরআন-হাদীস থেকে ইসলামের শিক্ষা নিয়ে থাকে।আবার যারা সরাসরি কুরআন থেকে ইসলাম বুঝার কথা বলে,তারাও অপব্যাখ্যার ইসলাম শিখেই বড় হচ্ছে।

ইনারাই ইসলামের বিভিন্ন অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ইসলামের ক্ষতিসাধনে নিমজ্জিত হয়েছেন।গীবত-অপবাদ ও অন্যান্যদের বিভিন্ন উপাধি দানের মাধ্যমে দলীয় ইসলামের বিজয় আনতে বদ্ধপরিকর।কেউ কেউ ফেবুতে ও পিছনে লুকিয়ে থেকে মারার হুমকি দিয়ে বেড়ায়।আবার কোন কোন মহিলার আঁচলের নিচে লুকিয়ে থেকে বীরত্ব দেখিয়ে বেড়ায়।আবার কোন কোন মহিলা নিজেকে উলঙ্গ করে দিয়ে হলেও অপরের ক্ষতি করে দলীয় ইসলামের বিজয় আনছেন।

ইনাদের ইসলামের ধরণ হরেক রকম।নিজেদের সুবিধার স্বার্থে সুযোগ পেলে যেদিকে খুশী,সেদিকেই দৌড় দেন।যাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিজেরা বড় হন,নিজেরা ‍সিক্রেট গ্রুপ খুলে তাদের বদনামেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন।সামনে বিড়ালের মত ম্যাও ম্যাও করলেও পেছনে বীরত্ব দেখিয়ে হুংকার দিয়ে উঠেন।

ফেবুতে পর্ণো দেখতে দেখতে ইসলামী পোস্ট দেওয়াটা নতুন কোন ঘটনা নয়।উনারা পর্ণোর বিপক্ষে বয়ান দিয়ে বেড়ালেও উনারাই পর্ণো সাইটগুলোর সবচেয়ে দামী কাস্টোমার।

ইসলামের গাদ্দার হয় ইসলামের মধ্যে থেকেই।আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই অনেক বড় আমলদার ও ঈমানদার হলেও ইসলামের সাথে গাদ্দারীই্ করেছেন।বর্তমানে ইবনে উবাইয়ের বংশধরেরা দলীয় রুপ নিয়ে ইসলামের ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে।যারাই তাদের গাদ্দারীকে প্রকাশ করে দেন,তাদেরকে জাহান্নামী উপাধি দিতে এরা সামান্যতমও দেরী করেনা।আর তাদের চরিত্র জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে পড়লে এটাকে আল্লাহর পরীক্ষা বলে নিজেদের গ্রুপের চরিত্রহীনদের কাছ থেকে করুণা ভিক্ষা করে নিজেদের গাদ্দারী মনকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকে।

বিষয়: বিবিধ

১৫২৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343931
০১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
ইয়াফি লিখেছেন : চরিত্রহীনদের হীনতা দূরীকরণের জন্য কিছু আমলের পরামর্শ দেন আর দোয়া করেন রাব্বুল আলামীনের কাছে। কারণ আপনি নিশ্চয় চাননা কারো কারণে ইসলামের ক্ষতি হোক।
০১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:২৭
285316
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : আমার আপনার দ্বারা ইসলাম ক্ষতিগ্রস্হ হবেনা।ইসলামের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা।তবে এদের কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্হ হবে।মানুষকে সতর্ক করাও ইসলামের পক্ষের কাজ হয়ে যায়।
আপনার পরামর্শের জন্য শুকরিয়া।
343940
০১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
343947
০১ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ। কার কাছে এমন আচরণের শিকার হয়েছেন তা উল্লেখ করেননি! উল্লেখ করলে ভালো হতো।
343963
০১ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : মুসলীম অর্থ যদি ভাল মন্দ, সুখ দুঃখে,সর্বাবস্থায় আল্লাহতে আত্মসমর্পণ হয় তবে ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হবে৷ এর পর আমাদের চরিত্রে একটা সাংঘাতিক গুন আছে তা হল,'হামচূনী দীগার নিস্ত'৷ যার অর্থ,আমার সমতূল্য আর কেউ নেই৷ মূল সমস্যা বোধ হয় এখানেই৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File