মুসলিম নিধনে সৌদি সরকারের ভূমিকা। শেষ পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:০৯:৫৪ দুপুর
রমজান মাসে ইসরাঈল তার হায়েনারুপ আবার প্রকাশ করলো।ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলিমদের উপর আক্রমণ শুরু করলো।
অগনিত নিষ্পাপ শিশু,মহিলা ও পুরুষ মারা যেতে লাগলো।কয়েকদিনের মধ্যে পাচ শতাধিক নিহত ও সহস্রাধিক আহতের আর্তনাদে গাজার আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে গেলো।
বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেলো।অমুসলিম দেশগুলো পর্যন্ত ইসরাঈলের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেলো।দেশে দেশে মানববন্ধন শুরু হয়ে গেলো।বিভিন্ন জায়গায় এই গনহত্যার বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষর জোগাড় হতে লাগলো।
জাতিসংঘের মহাসচিব যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য ইসরাঈলকে আহবান করলেন।বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন-ইসরাঈল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।এই দেশের পণ্যবর্জন করা উচিত।
মুসলিম দেশগুলো থেকে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কোন ঘোষনা না এলেও সাধারন জনগন পণ্যবর্জনের ঘোষণা দিলো।
যুদ্ধের মাঝামাঝি পর্যায়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আক্রমনে ইসরাঈলের অর্ধশতাধিকের মত সৈন্য মারা গেলো।এতে করে সৌদি আরবের মানবাধিকার চেতনা জাগ্রত হয়ে গেলো।
তারা ইসরাঈল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহবান করলেন।কিন্তু ইসরাঈল থামতে রাজী হলোনা।হামাসও পূর্ণশক্তিতে ইসরাঈলী বাহিনীকে প্রতিরোধ করে যেতে লাগলো।
কিন্তু সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইসরাঈলী পণ্যবর্জন বা ইসরাঈলের বিরুদ্ধে কোন ঘোষণা এলোনা।
কয়েকদিন পূর্বে সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতী ফতোয়া দিলেন-ইসরাঈল ফিলিস্তিনে আক্রমণ করলে তা নাজায়েজ হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৯২৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন