মুসলিম নিধনে সৌদি সরকারের ভূমিকা। পর্ব-০৩

লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ২৯ আগস্ট, ২০১৪, ০১:৫৬:২৬ রাত

ইখওয়ানুল মুসলিমীন প্রতিষ্ঠা হওয়ার ৮৫ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বাদ পায়।এই ৮৫ বছরে ইখওয়ান তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগটুকু স্বীকার করেছিলো।

এই সময়ের মাঝে জালিম শক্তির হাতে ১৯৪৯ সালে শাহাদত বরন করেছেন ইখওয়ানুল মুসলিমীনের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্না।

১৯৫৪ সালে ইখওয়ানের পক্ষালম্বন করায় প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাদের আওদাহ এর শরীরকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেয়া হয়।

১৯৬৬ সালে ইসলামী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ সাইয়েদ কুতুবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা হয়।

ইখওয়ানের যেসকল নেতা-কর্মীদের জেলে পুরে রাখা হয়েছিলো,তাদের কারা সময়সীমা বিশ হাজার বছরেরও বেশী।

এত জুলুম নির্যাতন করার পর হুসনে মোবারক সরকারের পতনের পর নির্বাচনের মাধ্যমে ২০১২ সালে ইখওয়ানুল মুসলিমীন ক্ষমতায় আসীন হয়।কিন্তু ইখওয়ানের ক্ষমতায় আসীন হওয়াকে ভালোভাবে গ্রহন করেননি মধ্যেপ্রাচ্যের মুসলিম নামধারী দেশগুলো।

ইখওয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছিলো বেকারার।এর পিছনে পরোক্ষ সহযোগিতা ছিলো সৌদী আরবের।কিন্তু ইখওয়ানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার জন্য কোন কিছু করতে সক্ষম হয়নি।

২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে বিরোধী দল আন্দোলনে নামে।সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো।বিরোধী দলের পক্ষে সবাই সাফাই গাইতে থাকে।সেনাবাহিনী প্রধান সিসিকে তার পূর্বসূরীদের কথা স্মরন করিয়ে দেয়া হয়।

সৌদি সরকার ইখওয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার সেনাপ্রধানের মাধ্যমে জেনারেল সিসিকে ১০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহযোগিতা করে।জেনারেল সিসি ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের মাধ্যমে ইখওয়ানকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করে।

ইখওয়ান ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সাথে সাথে রক্তের বন্যায় ভেসে যায় মিসর।কয়েক সহস্রাধিক মুসলিমের রক্তে রঞ্জিত হয় মিসরের পূণ্যভূমি।আজো নিরব রক্তের স্রোত ভেসে চলেছে মিসরের অলিগলি।

আর কারাগারে বসে বসে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন ইখওয়ানের ৫২৯ জন নেতা।

সৌদি সরকার কি পারবে মুসলিমদের সাথে এই গাদ্দারীর জবাব দিতে?পারবে কি শহীদের রক্তের মূল্য দিতে?

বিষয়: বিবিধ

১২৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File