আল্লাহর মাইর,দুনিয়ার বাইর.....
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ২১ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৩০:০৭ বিকাল
১.
২৮ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৩।আল্লামা সাঈদী সাহেবের যুদ্ধাপরাধী মামলার রায়ের দিন।পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে আসামীর কাঠগড়ায় দাড়ালেন সাঈদী সাহেব।
বিচারক রায় ঘোষণা করলেন।সাঈদী সাহেব চুপ করে শুনলেন।তারপর ধীর কন্ঠে কথা বলা শুরু করলেন।সাথে সাথে দর্শকের আসন থেকে লাফিয়ে উঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন বলে উঠলেন-কুত্তার বাচ্চা!তুই কোন কথা বলবিনা।
জাবি ক্যাম্পাসসহ সমগ্র বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় বইয়ে গেলো।আর এই কথাটিই যেনো আনোয়ার হোসেনের ক্ষেত্রে আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে গেলো।
জাহাঙ্গীরনগরে প্রতিপত্তি হারানো শুরু করলেন।ছাত্র-শিক্ষক সবার কাছে লাঞ্চিত হতে লাগলেন।ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে মাইর খেলেন।শিক্ষকদের দ্বারা অপমানিত হতে লাগলেন।
দুর্নীতিবাজ,চাঁদাবাজ,চোর ভিসি হিসেবে পরিচিত হলেন।শিক্ষকদের কঠোর আন্দোলনের মুখে অবরুদ্ধ হয়ে রইলেন।শিক্ষকরা উনাকে পশ্চাৎভাগ প্রদর্শন করলেন।
ছাত্ররা একাধিকবার ভিসির বাসভবনে হামলা করে বাসভবন ভাংচুর করে।ছাত্ররা স্যারদের বলে-স্যার!অনুমতি দিন কুত্তার বাচ্চাটাকে টেনে-হিচড়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসি।
শিক্ষক সমাবেশে অধ্যাপককে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ছিলেন বলে অভিহিত করা হলো।তরুন স্যাররাও কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিতে কার্পন্যবোধ করেননি।
ভিসি থাকাকালীন সময়েই ক্যাম্পাসে উনাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।১৬ ই ডিসেম্বর উপলক্ষে ক্যাম্পাসে আসলে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
সর্বশেষ অনেক লাঞ্চনা,অপমানের মধ্যে দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
২.
ফেসবুক জগতে পা দেয়ার পর থেকে অনেক বাঁধা বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছি।অসংখ্য অশ্লীল গালাগালি,কটু কথা,বিভিন্ন উপাধির মোকাবেলা করতে হয়েছে।
একে এম ওয়াহিদুজ্জান স্যার ইনবক্সে থ্রেট দিয়ে আমাকে বললেন-'জামায়াতের সাথে মিশে আম্লীগের দালালী করে বিএনপিকে নষ্ট করে দিচ্ছি আমরা।মুনাফিকী আচরন করি আমরা'।কিন্তু আজ বাংলাদেশের সকল শিক্ষিত লোক জানে,কোন লোকগুলো গাদ্দার ও জাতির বেঈমান হিসেবে পরিচিত।
ফেসবুকে একজন আমাকে মিথ্যাবাদী ও অপবাদদানকারী বলে অভিহিত করেছেন।কিন্তু এরপর থেকেই বাস্তবে তিনি চরম মিথ্যাবাদী ও অপবাদদানকারী হিসেবে পরিচিত।
একজন আরেকজনের কাছে আমাকে অন্যজনের সাথে তুলনা করেন।সেদিন যুক্তি-প্রমান দিয়ে উনাকে বুঝিয়ে দিয়েছি-ঐ জাতীয় স্বভাবের লোক আপনি।কিন্তু আমি নই।
যিনি ফেসবুকে বসে বসে আমার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন,বাস্তবে খোজ নিয়ে দেখি সাংগঠনিকভাবে উনার ভিত্তিই নেই।
ভয়ে যখন ফেবু ছেড়ে যান বা নিজের নিকৃষ্ট চরিত্রটা প্রকাশ করে দেন,তখন বলেন-অন্যরা ফেসবুকে আন্দোলনের আবেগকে নিয়ে লাইক ব্যবসা করে।কিন্তু তিনিই যে আন্দোলনের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ফেবুতে সেলেব্রেটি হয়ে গেছেন,সেটি বুঝতে পারেননা।
শুধু একটা কথাই বিশ্বাস করি,নিরপরাধ কাউকে যখন কোন উপাধি দেওয়া হয়,ঐ উপাধিটাকেই আল্লাহ ঐ ব্যক্তির প্রতি ফিরিয়ে দেন।
বাস্তবের এরকম হাজার হাজার উদাহরন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।
বিষয়: বিবিধ
১৬২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি পারছেন না তার উপর প্রতিশোধ নিতে কারণ তার সামর্থ্য আপনার চেয়েও বেশী এবং আপনার সামর্থ্য নেই সে প্রতিশোধ নেবার । আপনি সবর করে যাচ্ছেন আল্লাহর মদদে।
আপনার পক্ষে আল্লাহই সেই প্রতিশোধ নিয়ে নিবেন ।
আর আল্লাহর মাইর অনেক ভয়ংকর ।
এরচেয়ে বড় যন্ত্রনাদায়ক আল্লার মাইর আছে কি?
এরচেয়ে বড় যন্ত্রনাদায়ক আল্লার মাইর আছে কি?
মন্তব্য করতে লগইন করুন