ইস!আর কয়েকটা বছর সুযোগ পেতেন যদি!
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৯ জুলাই, ২০১৪, ১১:২৪:৫১ রাত
হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে ধরা যায় ইসলামের নিকৃষ্টতম দুশমন,আবার ইসলামের সর্বোৎকৃষ্ট বন্ধু।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফের তলোয়ার মাঝে মাঝে সীমা ছাড়িয়ে যেতো।যার ফলে অনেক মজলুম মানুষ ও ইসলামপ্রিয় লোকগুলো মারা যেতো।এমনকি হাজ্জাজ বিন ইউসুফের হাতে যুবাইর (রাঃ) শাহাদত বরন করেন।
ইসলামের সর্বোৎকৃষ্ট বন্ধু বলার কারন হচ্ছে,হাজ্জাজ বিন ইউসুফের হাত ধরেই ইসলামের সর্বাধিক প্রসার হয়েছে।
একই সময়ে তিনটি মুসলিম বাহিনী তিনদিকে ছুটে গিয়েছিলো।
মুহাম্মদ বিন কাশিমের নেতৃত্বে সিন্ধু পার হয়ে হিন্দুস্তান অভিমুখে।মুসা বিন নুসায়ের ও তারিক বিন জিয়াদের নেতৃত্বে আফ্রিকা,মরক্কো ও জিব্রালটার প্রণালী পার স্পেনে।কুতায়বা বিন মুসলিমের নেতৃত্বে তুর্কিস্তান,সমরকন্দ,কাশগড় পার হয়ে চীন সীমান্তে।
কিন্তু মুসলিম ইতিহাসের দুর্ভাগ্য!
মুসলমানরা আর ইতিহাস রচনা করার সুযোগ পাননি।খলিফা ওয়ালিদ ও হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মৃত্যুর সাথে সাথে তিন মুসলিম সেনাপতির রাস্তাকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়।
মুহাম্মদ বিন কাশিমকে রাজধানী দামেস্কে ডেকে এনে শহীদ করে ফেলা হয়।মুসা বিন নুসায়ের ও তারিক বিন জিয়াদের তলোয়ার ছিনিয়ে নেয়া হয়।কুতায়বা বিন মুসলিমকে গুপ্তহত্যা করা হয়েছিলো।।
সামান্য সময়ের ব্যবধানে যে হিন্দুস্তান,সমগ্র ইউরোপ ও চীন মুসলমানদের পদতলে করাগত হতো,সেই বিজয় থেকে মুসলিমদের বিরত থাকতে বাধ্য করা হলো।
আজ এই তিনটি অঞ্চলই বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে।প্রতিটা অঞ্চলেই মুসলিমরা প্রচন্ড জুলুম-নির্যাতনের শিকার।
ইসলামের সেই গাদ্দারেরা আজো তাদের স্ব স্বপদেই বহাল তবিয়তে টিকে আছে।যেসব গাদ্দারদের কারনে ইসলামের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ হয়ে যায়,আজ সেই একই ধরনের গাদ্দারদের দ্বারা ইসলামের পতাকা ধুলায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং মুসলিমদের উপর জুলুম-নির্যাতনের পরিমান বেড়েই চলছে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাদের সুযোগ হয় নি বিধায় আজ আমি বুঝতে পারতেছি যে – আমি হাফ ঈমানদার হাফ কাফির – আর এজন্যই পৃথিবীতেও আমার দুর্ভোগ, আর আখিরাতে মহা আজাব (যদি আল্লাহ মাফ না করেন)
আপনার কি অবস্থা? কেমন বুঝতেছেন নিজেকে? জানাতে ভুলে যেয়েন না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন