মুসলিম নিধনে সৌদী সরকারের ভূমিকা। পর্ব-০১
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৭ জুলাই, ২০১৪, ০৩:৪৫:৫১ দুপুর
ছোটসময় থেকেই ইসলামী ভাবধারায় বড় হওয়ায় সবসময় সৌদী আরবের প্রতি অন্যরকম সহানুভূতি কাজ করত।কাবা শরীফ,মসজিদে নববী,হেরা গুহা,রাসুল (সাঃ) এর রওজা মোবারক এই বিষয়গুলো বার বার আমার অবচেতন মনকে টানতো।
তখন মুসলমানদের টিকে থাকার প্রধান কারন ভাবতাম সৌদী আরবকে।বিশ্বের মুসলিম এনজিওগুলো পরিচালিত হয় সৌদী আরব থেকে।ইসলামী আদর্শ ধরে রাখার জন্য সৌদী সরকারের অবদান অনেক বেশী।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ যখন গ্রেফতার হয়,তখন মনে করেছিলাম,সৌদী সরকার ইসলামী নেতৃবৃন্দকে ধরে রাখার বিরোধিতা করবে।অনেক দায়িত্বশীল ভাইদের বলতাম-ভাই,আওয়ামীলীগ চাইলেই তো আর সবকিছু হবেনা।অনেক মুসলিম দেশ আমাদের পক্ষে থাকবে।তারা বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে।
তারা বলতেন-বিপদের সময় কেউ কারো পাশে থাকেনা।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমার অসংখ্য স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে থাকে।
২০১২ তে যখন ইখওয়ানুল মুসলিমীন মিসরের ক্ষমতায় আসলো,তখন আনন্দ লুকিয়ে রাখতে পারিনি।মুরসীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড,রাষ্ট্র পরিচালনা সকল বিষয়ে খোজখবর রাখতাম।কিন্তু ২০১৩ তেই যখন মুরসীর পতনে সৌদী সরকার পরোক্ষ ভূমিকা রাখলো,তখন বুঝলাম-আমি চোরাবালিতে বসে আছি।
শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা ভাইয়ের ফাঁসির রায় দিলো।জাতিসংগ ফাঁসি দিতে নিষেধ করলো,যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশ ফাঁসির রায়ের বিরোধিতা করলো।কিন্তু সৌদী সরকার ছিলো অস্বাভাবিকভাবে নিরব।
এই বছরের শুরুতে সৌদী আরবে অবস্হানরত ইলসামী আন্দোলনের কয়েকজন ভাইয়ের সাথে কথা বললাম।ইসলামী আন্দোলনের ভাইয়েরা যে সৌদী সরকারের দ্বারা চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার,সেটিও বুঝতে পারলাম।
বর্তমানে ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের হত্যার পিছনে সৌদী সরকার পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে।ইসরাঈল,যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি ইন্ধন যোগাচ্ছে।একেকটা মুসলিম ভাই হত্যার সাথে সাথে সৌদী সরকার আনন্দে লাফিয়ে উঠছে।
সালাহউদ্দীন আইয়ুবীর একটা কথাই বারবার মনে পড়ছে-আমি ইসলামের দুশমনদের দ্বারা যতটা বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছি,তার চেয়ে বেশী বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছি ইসলামের গাদ্দারদের দ্বারা।
সৌদী আরবের মত ইসলামের গাদ্দাররা মুসলিম জাতির আজ এই করুন অবস্হা।
আল্লাহ!ইসলামের গাদ্দারদের হাত থেকে তোমার প্রিয় নবীর উম্মতদের রক্ষা করো।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খোবের আগুনে আমার, কলিজা আংগার।
ইউ কে আর্কাইভ হতে পাওয়া তথ্যানুযায়ী - মাসে মাত্র ৫০০০ পাউন্ড ব্যায়ে বর্তমান মোনার্কি তথা সৌদ ফ্যামিলিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় শেষ দিকে বৃটেন কিনে নিয়েছিল এবং নিজের ইচ্ছামত মুসলিম সম্পদ ও জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করতে শুরু করে। এই ফ্যামিলির মাধ্যমে মুসলিমদের 'খেলাফত' (আল্লাহর আইনের মাধ্যমে শাসন) ধ্বংশ পূর্ন করা হয় এবং যাতে খেলাফত কিংবা আল্লাহর শাসন যাতে আর কখনো কোন মুসলিম ভূখন্ডে না আনা যায় তা নিশ্চিত করা হয় - (কাউন্টার কায়রো কনফারেন্স দ্রষ্টব্য)।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে আমেরিকা বৃটেন হতে সৌদী মোনার্কির বন্ধক পত্র কিনে নেয় এবং সে থেকে সৌদী মোনার্কি আমেরিকার প্রক্সি হিসাবে মুসলিম বিশ্বে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে চলে। আর একই সময়ে আমেরিকা মুসলিম সম্পদ তথা মিডল ইস্টের তেল গ্যাস ইত্যাদি সম্পদ যেমন নিয়ে যেতে থাকে এবং তার বিনিময়ে ১৯৭৩ সাল হতে (বোগাস তথা ১০০% ভূয়া ডলার - যার কোন ট্রু ভ্যালু নেই) দিতে থাকে এবং সেই বোগাস ডলার এর মূল্যমান নিয়ন্ত্রনের জন্য সৌদি আরবকে দিয়ে ওপেক কে বাধ্য করে।
সেপ্টেম্বর ১১ এর পর সৌদী মোনার্কের মেজরিটি শেয়ার এখন ইসরাইল ঔন করছে, আর সৌদী মোনার্ক বাধ্য ইসরাইলের ডিকটেশান অনুযায়ী কাজ করতে। স্বভাবতঃই তাই আপনি আর কোন দিন পাবেন না - যখন সৌদী কোন এ্যাকশানকে আপনি সততার সাথে যৌক্তিক আচরন বলতে।
উপরের কথাগুলো বলার জন্য আপনাকে অনেক গুলো বিষয় পড়তে ও শুনতে হবে। আপনি শুরু করতে পারেন মডারেট ওয়ান দিয়েঃ
Click this link
স্পষ্টভাষায় জানতে
http://www.youtube.com/watch?v=g1zsBhtOfnE
পড়তে পারেন
ইমরান হোসেন এর লিখা - The Caliphate, The Hijaz and the Saudi Wahabi Nation State
এরপর আপনি অনলাইনে বৃটিশ আর্কাইভ হতে অনেক তথ্য পাবেন - যদি আরো ফ্যাক্টস ও ফিগার চান।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন