একজন ইসলামী নেতার বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত?
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৪ জুন, ২০১৪, ১১:১৪:৩১ রাত
তেহরানে বাসে চড়েছিলেন এক বিদেশী সাংবাদিক।তিনি ড্রাইভারের পাশের সিটটিতে বসেছিলেন।হঠাৎ বাসে দাড়ানো এক যাত্রীর দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলেন।একাধিকবার চোখ কুচকালেন।নাহ!চোখে ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন।
সাংবাদিক ড্রাইভারকে ফিসফিস করে বললেনঃ ঐ যে যাত্রীটি দাড়িয়ে আছে,উনাকে আপনাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের মত মনে হচ্ছে।
ড্রাইভার বললোঃ মনে হচ্ছে নয়।উনিই পাশ্চাত্যেকে কাঁপিয়ে তোলা ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
সাংবাদিকঃ তা উনি এইভাবে গাড়ীতে করে সাধারন যাত্রীদের ন্যায় দাড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?
ড্রাইভারঃ উনি প্রতিদিনই এই গাড়ীতে উনার কর্মস্হলে যান।যেদিন সিট পান,সেদিন সিটে বসে যান।আর যেদিন সিট পাননা,সেদিন দাড়িয়েই অফিসে গমন করেন।অন্য কেউ সিট ছেড়ে দিলেও উনি ঐ সিটে বসেননা।
মূল ঘটনাঃটানা আট বছর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিন কাটিয়েছেন যিনি, আজ তিনিই সাধারণ মানুষের কাতারে। সময়ের সেই সাহসী রাষ্ট্রনায়ক এখন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেছেন। তাও প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন বাসে! তিনি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। সাধারণ জনগণের মতোই ভিড় বাসে দাঁড়িয়ে ঝুলে নিয়মিত অফিস করেন তিনি। টানা দ্বিতীয় মেয়াদের রাজনৈতিক জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট তার মূল পেশা শিক্ষকতায় ফিরে গেছেন। এ বছরের শুরুর দিকে তিনি একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেছেন। ইনসার্ভিয়া নিউজ জানিয়েছে, আহমাদিনেজাদ এখন প্রতিদিন বাসে চড়ে তার কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে তেহরানের পাশে গার্মসার নামে একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করে চলেছেন এবং সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি তেহরান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রাফিক অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বিষয়ের ওপর পিএইচডি করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জালাময়ী বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন