"ঈমানের হাকিকত” বই এবং দুটি বাস্তব ঘটনা

লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৩ জুন, ২০১৪, ০২:৪৭:১৫ দুপুর

ঘটনা- ১

শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মতিউর রহমান আকন্দ ভাই বলেছেন, সরকারী চাকুরী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এক অফিসারকে ঈমানের হাকিকত বইটি উপহার দেয়া হয়েছিল। ইসলামের প্রতি আগ্রহ না থাকায় ঐ কর্মকর্তা বইটিকে খুব গুরত্ত দেয়নি। কিছু দিন পর কি মনে করে যেন তিনি বইটি পড়েছেন। পড়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি। হঠাৎ রাতের দেড়টার দিকে আকন্দ ভাইকে ফোন করে বলল, “আকন্দ, তুমি সাক্ষী থাক, ৬৮ বছর বয়সে এসে আমি নতুন মুসলমান হয়েছি”

ঘটনা- ২

আমার স্নেহভাজন এক দীনি ভাই “আহলে হাদিস” এর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে দাওয়াত পেয়ে শিবিরের সাথী হয়েছেন, যদিও অনেক সময় নিয়েছেন কারণ শিবির সম্পর্কে তার নানান প্রশ্ন ছিল। তিনি আহলে হাদিস পরিচালিত এক মসজিদের খতিব। সবাই তাকে ভাল হিসেবেই জানে, কারণ যে কথাই বলেন আন্দাজে গাল গল্প না বলে কোরআন হাদিসের মজবুত দলিল দিয়েই বলেন। সে কারণে কিছু ভক্তও তৈরি হয়েছে। এক ভক্তকে তিনি লেখকের নাম সম্বলিত কভার পেজটি ফেলে “ঈমানের হাকিকত” বইটি পড়তে দিয়েছেন। আর বলেছেন, “এই বই পড়ে আমি মুসলমান হয়েছি”।

এ কথা শুনে লোকটি খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়েছেন আর লেখকের নাম জেনে নিলেন। লেখকের নাম জেনে হতভম্ব হয়ে গেলেন, আর বললেন “এত খারাপ! লোকের লেখনী কিভাবে ঈমানকে এত তাজা করে?

আমার আশঙ্কা হয় কেউ কেউ এ লেখা পড়ে গালাগালি করতে পারে, “ঈমান নাই, আকিদা খারাপ” ইত্যাদি। এত দরকার কি? মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার বই, আপনিই পড়ে দেখেন না কেমন লাগে?

-সংগৃহীত

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

234509
১৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
হককথা লিখেছেন : আমি এ জীবনে মাত্র ৩ ফর্মার এ বইটা কতবার যে পড়েছি, তার সঠিক সংখ্যা হিসেব করে বলতে পারবো না। যতবার পড়ি, ততবারই নিজের ভেতর এক অগ্নিগীরির লাভা টগবগ করে ফুটতে থাকে যেন! আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন।
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৪
181524
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : আল্লাহুম্মা আমিন
234515
১৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আমিও ঈমানের হাকিকত বইটি পড়ে বাস্তব ইসলামকে বুঝতে পেরেছি । আল্লাহ বইটির লেখক মওদুদী সাহেবকে জান্নাঁত দান করুন।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
যাজাকাল্লাহ খায়ের
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৫
181525
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর
234522
১৩ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
মিঃ কপিপেস্ট লিখেছেন : আমি চরমোনাইর পীরের মারাত্মক এক ভক্ত যিনি আধুনিক শিক্ষিত এবং জেলাশহরের প্রধান ডাকঘরের পোস্টার এবং মাওলানা মওদুদীর চরমবিরোধী; তার ছেলে আমার খুব ভক্ত ও শিবির কর্মী হওয়ায় তিনি আমার প্রতি কিছুটা
দুর্বল ছিলেন।

একদিন কথাপ্রসংগে তাকে মাওলানার খেলাফত ও রাজতন্ত্র'' বইটি দিয়ে পড়তে বলি এবং মতামত চাই। তিনি বইটি পড়ে আবেগআপ্লূত হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে চীৎকার দিয়ে বলেন---কই কোনো ইসলামবিরোধী আকিদাতো পেলাম আর এতো চমৎকার বই জীবনেও পড়িনি।
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৬
181526
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : Happy এটাই বাস্তবতা।সবাই চ্যাচামেচি করে,মওদূদীর বই পড়লে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে,কিন্তু বাস্তবে এর উল্টোটা ঘটে।
234528
১৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:১৩
লোকমান লিখেছেন : আমরা যারই সমালোচনা করি না কেন আমাদের উচিৎ আগে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জানা। না জেনে শুধু লোকের মুখে শুনে কারো বিরোধীতা করা কোন জ্ঞানী লোকের কাজ নয়।
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৭
181527
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : একমত।
234540
১৩ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
আবু জারীর লিখেছেন : সত্য বলেছেন। কোন লোকের ভাগ্যে হেদায়েত থাকলে যে যত গোমরাহই গোকনা কেন মনযোগ সহ ঈমানের হাকীকত বইটা পড়লে ইনশা'আল্লাহ তিনি গেমরাহী থেকে হেদায়েতের আলোকে আলোকিত হবেন।
১৪ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৭
181529
বদর বিন মুগীরা লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ।
235057
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:১০
ইয়াফি লিখেছেন : না পড়ে বিনা যাচাইতে যারা অপবাদ ছড়ায় তারা বড় মিথ্যাবাদী!
235074
১৫ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : উপকৃত পোস্ট

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File