আর কত বেঈমানীর শিকার হবো আমরা???
লিখেছেন লিখেছেন বদর বিন মুগীরা ১৬ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৫২:০৬ সন্ধ্যা
তিন দফা উপজেলা নির্বাচন হয়ে গেলো।প্রথম দুই দফা উপজেলা নির্বাচনে ঊনিশ দলীয় জোটের সফলতা বেশী ছিলো।কিন্তু তৃতীয় দফা নির্বাচনে জোটের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে গেলো।
যদিও বর্তমানে আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র নেই।কিন্তু তারপরও তারা ক্ষমতায় থাকা ও জোটের কোন্দলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যালট পেপার চুরি ও জাল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হয়ে যাচ্ছে।
তৃতীয় দফা নির্বাচনে বিএনপি ৭৯ ও জামায়াত ২৪ টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেয়।এর মাঝে প্রায় সবগুলো উপজেলাতেই বিএনপির বিদ্রোহীপ্রার্থী ছিলো।
গত ৫ টি বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ কোন মাঠ পর্যায়ের নেতাকে ময়দানে খুজে পাওয়া যায়নি।বেশীরভাগ সময় হেড অফিসে বসে ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বুলি কপচিয়েছে।
একজন কর্মীও ময়দানে পুলিশের গুলির সামনে বুক ফুলিয়ে দেয়নি।বলেনি-আমাকে মারতে পারো।কিন্তু যে জিয়ার আদর্শকে লালন করে বড় হয়েছি,সেই আদর্শের জন্য জীবন দিতে পারি।
পক্ষান্তরে জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহূ করে দেয়ার জন্য সরকার আটঘাট বেধে ময়দানে নেমেছে।শুধুমাত্র শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ ও গুমের স্বীকার হয়েছেন।জামায়াতের কয়েকশত ছাড়িয়ে গেছে।এখনও লক্ষ লক্ষ কর্মী ঘর ছাড়া।অনেকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগও পাননা।
এই অবস্হায় বিএনপি মন্তব্য করে,আমরা জামায়াত-শিবিরকে অনুগ্রহ করতেছি।কত বড় নেমকহারাম!যাদের পাঁচ বছরের আন্দোলনে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারছে,যাদের দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে নির্বাচনে সফলতার মুখ দেখছে,সেখানে তৃতীয় দফা নির্বাচনে এসে বলে-আমরা জামায়াত-শিবিরকে অনুগ্রহ করছি।
২০০৬ সালের দিকে এক আওয়ামলীগার স্যার বলেছিলেন,বিএনপি হচ্ছে গাদ্দারযুক্ত নেমকহারামের দল।এই দলগুলো খুব বেশীদিন স্হায়ী হয়না।ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ও জামায়াত ছাড়া আর কোন দল থাকবেনা।বিএনপির ভালো লোকগুলো জামায়াতে যোগ দিবে আর বেঈমানগুলো আওয়ামীলীগে যোগ দিবে।
আজ স্যারের সেই কথাই সত্য হয়ে উঠছে।বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দলপ্রেমিক কোন নেতা খুজে যাওয়া যায়না।কথা-বার্তায় আওয়ামীলীগার মনে হয়।হয়ত সময়ের আবর্তনে এরাই প্রকাশ্য আওয়ামীলীগে যোগ দিবে।
উপজেলা নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের বিএনপির সাথে সমঝোতার কোন সুযোগ নেই।সমঝোতা যা হবার,তা কেন্দ্রেই হবে।
জামায়াত নির্বাচনে পরাজিত হলে জামায়াতের একটু ক্ষতিও হবেনা।বরং ব্যর্থতা থেকে জামায়াতের জন্য সফলতার আরো একটি দুয়ার খুলে যাবে।
কিন্তু বিএনপি পরাজিত হলে শুধু ব্যর্থতা না,অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে।যার জন্য জামায়াতকে সমর্থন করতে বিএনপির এত অনীহা।
জামায়াত গত পাঁচ বছরে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের শক্তিকে সুসংহত করেছে।আর বিএনপি আন্দোলনে কাপুরুষতার পরিচয় দিয়ে জনগনের আস্হা হারিয়েছে।
মাননীয় স্পীকার,আমি বিএনপিকে শুয়োরের বাচ্চা ও বেঈমানের দল বললামনা।।।
বিষয়: বিবিধ
১০৭০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্যর্থতাই যাদের আজীবন সঙ্গি তাদের আবার ব্যর্থতা কিসের।
সরকার এরকম জুলুম নির্যাতন আরো করুক,তাহলে জামায়াত তাদের ভিত্তি আরো শক্ত করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন