আত্মহত্যার বিপদসঙ্কেত
লিখেছেন লিখেছেন আকরামস বিডি ১৫ মার্চ, ২০১৪, ০২:৫০:৪২ রাত
ইদানিং দেখা যাচ্ছে আত্মহত্যা যেন একটা ব্যধি হয়ে দাড়িয়েছে।কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোটেই কিছু বুঝা যায় না। দেখা যায়, হাসি খুসী মানুষ কিন্তু হঠাৎ করেই ঝোঁকের-মাথায়-নেওয়া সিদ্ধান্ত আত্মহত্যার মতো দূর্ঘটনা ঘটায়। এগুলো ইমপুলস্ সুইসাইড। হয়তো মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়া-প্রতিবেশী কিছু বললো; সেই কষ্ট, রাগে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটায়। কিন্তু বেশীর ভাগ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে সিগনাল বা বিপদ সঙ্কেত পাওয়া যায়। এখানে আমি সেই সাধারন বিপদসঙ্কেত গুলো ই বর্ণনা করছি।
সবচেয়ে সুদৃঢ় ও ভয়াবহ সঙ্কেত মৌখিক - "আর পারছি না", "সব কিছু অর্থহীন"এমনকি"সব শেষ করে দেব ভাবছি" এই সব মন্তব্যে সবসময় বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়৷
অন্যান্য সুপরিচিত বিপদসঙ্কেতঃ
*নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া বা বিষণ্নবোধ করা
*বেপরোয়াভাব
*সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া ও মূল্যবান জিনিসপত্র বিলিয়ে দেওয়া
আচরণ, ভাবভঙ্গি ও চেহারায় আমূল পরিবর্তন
*ড্রাগ ও এলকহলে আসক্তি
*বিপুল ক্ষতি বা জীবনে বিশালাকার পরিবর্তন
নিচের তালিকায় আরো উদাহরণ রয়েছে, এ সবই আত্মঘাতী হওয়ার অগ্রীম লক্ষণ হতে পারে৷ অবশ্যই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এই সব পরিস্থিতির পরিণাম আত্মহত্যা হয় না৷ তবে সাধারণভাবে একজন মানুষের মধ্যে যত বেশী লক্ষণ দেখা যায় আত্মহননের তত বেশী আশঙ্কা থাকে৷
পরিস্থিতি
*পরিবারে আত্মহত্যা বা হিংস্রতার ইতিহাস
*যৌন বা শারীরিক নির্যাতন
*ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু
*বিবাহ বিচ্ছেদ বা পৃথক হওয়া, সম্পর্কে ইতি
*পড়াশোনায় ব্যর্থতা, আসল পরীক্ষা, পরীক্ষার ফলাফল
*চাকরি হারানো, কর্মক্ষেত্রে সমস্যা
*আসন্ন আইনী প্রক্রিয়া
*সাম্প্রতিক হাজতবাস বা আসন্ন মুক্তি
আচরণ
*কান্নাকাটি করা
*ঝগড়া করা
*আইনভঙ্গ করা
*আবেগপ্রবণতা
*নিজেকে আহত করা
*মৃত্যু ও আত্মহত্যার বিষয়ে লেখা
*আগেকার আত্মহননমূলক আচরণ
*চরম ব্যবহার
*ব্যবহারে পরিবর্তন
শারীরিক পরিবর্তন
*কর্মশক্তির অভাব
*ঘুমের প্যাটার্নে বিঘ্ন-খুব বেশী বা কম ঘুম
*খিদে নষ্ট হয়ে যাওয়া
*হঠাত্ ওজন বৃদ্ধি বা কম
*অল্পস্বল্প রোগব্যধি বেড়ে যাওয়া
*যৌন উৎসাহে পরিবর্তন
*চেহারায় আকস্মিক পরিবর্তন
*নিজের রূপ বা চেহারায় অনীহা
*অনুভূতি ও ভাবনাচিন্তা
*আত্মহত্যার চিন্তা
*একাকীত্ব - পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্যের অভাব
*প্রত্যাখ্যান, বিচ্ছিন্ন বোধ করা
*গভীর অপরাধ বোধ বা দুঃখ
*সর্ঙ্কীর্ণ ভাবনাধারার বাইরে বৃহত্তর প্রেক্ষাপট দেখায় অক্ষমতা
*দিবাস্বপ্ন
*উদ্বেগ ও মানসিক চাপ
*অসহায়বোধ
*আত্মপ্রত্যয় হারানো
সবচেয়ে জরুরী কাজ, কারুর সঙ্গে কথা বলা৷ যাদের আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হয় তাদের একা সব সামলানোর চেষ্টা করা উচিত না ৷ তাদের এখনই সাহায্য চাওয়া উচিত৷
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন ৷ শুধুমাত্র পরিবারের সদস্য বা বন্ধু কিংবা সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলে অনেকটা আশ্বস্ত হওয়া যায় ৷ এটা মানুষের মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এমন হয়,ওষুধ ও থেরাপি দিয়ে এর চিকিৎসা করা যায়।
http://www.psychobd.com
বিষয়: বিবিধ
১২৭৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জানা দরকার সবারই!
মন্তব্য করতে লগইন করুন