‘ইরানের সামরিক সক্ষমতা কিছুক্ষেত্রে আমেরিকা-রাশিয়ার মতো’

লিখেছেন লিখেছেন ইনতিফাদাহ ২১ মে, ২০১৬, ১১:১১:৩৯ সকাল



ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন রফিকদোস্ত

পার্স্ টুডে,মে ২১,২০১৬, ০২:০৬, এশিয়া/ঢাকা:-ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র সাবেক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন রফিকদোস্ত বলেছেন, বেশকিছু ক্ষেত্রে তার দেশের সামরিক সক্ষমতা আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে তুলনীয়।

তিনি বলেছেন, শুধু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই শক্তিশালী নয় বরং এ রকম বেশকিছু শক্তিশালী দিক রয়েছে যা উন্নত এ দুটি দেশের মতো।

মোহসেন রফিকদোস্ত জানান, ইরানের ট্যাংক, কামান ও মর্টার, ড্রোন, সাবমেরিন এবং সামরিক শিল্পের সব অংশই খুব উন্নত। তিনি বলেন, ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে তৈরি সামরিক সরঞ্জামে ব্যাপক এগিয়ে গেছেন। এতে ইরানের সামরিক বাহিনী অস্ত্রের দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অবশ্য, ইরান সবসময় বলে আসছে তেহরানের সামরিক শক্তি আঞ্চলিক কোনো দেশের জন্য হুমকি নয় বরং শান্তির বার্তা বহন করছে।#

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২১

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৭৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369745
২১ মে ২০১৬ রাত ০৮:১২
হতভাগা লিখেছেন : এসব এমনি এমনিই বলে
২১ মে ২০১৬ রাত ০৮:৪৩
306824
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এই সক্ষমতাই তো তারা প্রয়োগ করছে সিরিয়া আর ইরাকে নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করে। ৪ লাখ মানুষ গত হয়েছে ইরানের সুপার পাওয়ারের মহড়া দেখতে গিয়ে।
২১ মে ২০১৬ রাত ০৯:১৩
306829
হতভাগা লিখেছেন :

সুপার পাওয়ার গিরি দেখালে আগে ইসরায়েলের উপর প্রয়োগ করে দেখাতে পারতো
২১ মে ২০১৬ রাত ০৯:৫৩
306831
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : মনে হয় আপনার?? রাশিয়া আমেরিকা যেমন একে অপরকে হুমকি ধামকি দিলেও সরাসরি যুদ্ধে জড়াবেনা, ইরান আর ইজরাইলের সম্পর্কটাও এমন। আর ইরান একটা মিথে বিশ্বাস করে। ১২ তম ইমাম হিসেবে ইমাম মাহদির আগমণ ঘটবে ইরানে।
#ইরান নেতৃত্বাধীন শিয়াদের বিশ্বাস তারা ইমাম মাহদির খুব নিকটবর্তী সময়ে বসবাস করছে। ইমাম মাহদি (আঃ) তাদের ১২ তম ও সর্বশেষ ইমাম। তাদের বিশ্বাস, তিনি ঈসা (আঃ) এর মতই আগে জন্ম নিয়েছেন এবং এখন জীবিত এবং খুব তাড়াতাড়ি তিনি ইরানে আবির্ভূত হবেন এবং শিয়াদেরকে নিয়ে তিনি তার বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করবেন এবং মক্কা-মদিনা দখল করবেন এবং পৃথিবীতে শিয়া ইমামত কায়েম হবে। সাম্প্রতিক সময়কার ইরান নেতৃত্বাধীন শিয়াদের সামরিক কর্মকান্ড বিষয়ক ডকুমেন্টারি গুলোতে একটা জিনিস বেশ জোড়েই শোনা যাচ্ছে, তারা নামাজে ইমাম মাহদির জন্য দোয়া করছেন। তারা বিশ্বাস করছে সময় খুবই নিকটবর্তী। ইরানি সেনাবাহিনী পৃথিবীর শক্তিশালি সেনাবাহিনীর মাঝে অন্যতম। তারা লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনে হুতি, সিরিয়ার বাশার আল আসাদ, ইরাকে মুকতাদা আল সদরের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী গড়ে তুলেছে। রাশিয়ার সাথে জোট করে তাদের ক্রমাগত সামরিক প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে। তাদের প্রধান টার্গেট হল মধ্যপ্রাচ্যে এক বিশাল শিয়া সেনাবাহিনী প্রস্তুত করা। যেহেতু ইমাম মাহদি (আঃ) শীঘ্রই আসছেন কাজেই ইরান তার জন্য সামরিক বাহিনী প্রস্তুত করছে যেন তিনি এসে এই সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব বুঝে নেন এবং সুন্নীদের হটিয়ে মক্কা-মদিনা দখল করে নেন। এটাই বর্তমান শিয়া নেতৃত্বদানকারী ইরানের প্রধান টার্গেট। ইজরাইলের সাথে তারা হিসাব চুকাতে চায় পরে। আগে সুন্নীদের সাথে দফারফা করে মুসলিম নের্তৃত্বে নিজেরা আসীন হতে চায়। তাই সিরিয়া ও ইরাকে টার্গেট করেই সুন্নীদের উপর গণহত্যা চালিয়ে তা সুন্নীমুক্ত করা করা হচ্ছে। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই আবার আমেরিকা-ইজরাইল সুন্নীদেরও বাধ্য করছে শিয়াবিনাশী সর্বাত্নক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে।
২২ মে ২০১৬ রাত ১২:১৯
306845
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ঘুম ভাঙ্গানীর কথায় যুক্তি আছে। ...তারা ইসরাইলের সাথে কখনই লড়েনি,শুধু হুমকি ধামকি...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File