আপত্তিজনক সাহিত্য পোড়ানো অধিকার: মনুস্মৃতি পোড়ানোর ব্যাখ্যা ছাত্রদের
লিখেছেন লিখেছেন ইনতিফাদাহ ২২ মার্চ, ২০১৬, ০৪:০৪:০৯ বিকাল
২২ মার্চ (রেডিও তেহরান): দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) মনুস্মৃতির প্রতিলিপি পোড়ানো প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছে ছাত্ররা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে একদল ছাত্র জেএনইউ ক্যাম্পাসে সবরমতি ধাবায় একদল ছাত্র প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ মনুস্মৃতির কপি পোড়ানোর পর থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে জেএনইউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে তলব করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
গতকাল সোমবার ওই ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দফতরে হাজির হয়ে তাদের সমর্থনে বক্তব্য দেন। অভিযুক্ত ছাত্রদের মধ্যে প্রদীপ নারওয়াল দিল্লির বাইরে থাকায় তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।
এন সাঁই বালাজি নামে এক ছাত্র বলেন, প্রক্টরের দফতরে পৌঁছানোর পরে জেএনইউ প্রশাসনিক কমিটি ৮ মার্চের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত সব কিছু জানান। মনুস্মৃতি কেন পোড়ানো হল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা মনুস্মৃতির কিছু পৃষ্ঠা পুড়িয়েছি। এতে নারীদের সম্পর্কে ভুল কথা লেখা আছে। আমরা প্রতীকী হিসেবে একে পুড়িয়েছি।
স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্স-এর ছাত্র বলেন, মনুস্মৃতি কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় বরং একটি সামাজিক গ্রন্থ। এছাড়া ভীমরাও আম্বেদকরই প্রথমে প্রকাশ্যে একে পুড়িয়েছিলেন। সেই থেকে অনেকবার একে পোড়ানো হয়েছে। কুশপুতুল পোড়ানো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আমরা তার অনুসরণ করে মনুস্মৃতির কিছু পৃষ্ঠাকে প্রতিবাদস্বরূপ শান্তিপূর্ণভাবে পুড়িয়েছি।
এদিকে, জেএনইউ ক্যাম্পাসে মনুস্মৃতির প্রতিলিপি পোড়ানোর ঘটনায় সোমবার পুলিশকে অ্যাকশন টোকেন রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
অজয় গৌতম নামে এক ব্যক্তির দাবি, ইউটিউবে জেএনইউ ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, ওমর খালিদসহ অন্যদের হিন্দু ধর্ম এবং ব্রাম্মণ্যবাদবিরোধী স্লোগান দিতে দেখেছেন। একজন ব্রাহ্মণ হিসেবে এই ফুটেজ দেখে তিনি বিরক্ত।
তাছাড়া ৮ মার্চ জেএনইউ ক্যাম্পাসে কিছু ছাত্র মনুস্মৃতির প্রতিলিপি পুড়িয়েছেন। তার মতে, কোনো ধর্ম বা জাত থেকে ‘আজাদি’ চাওয়ার কথা কেউ বলতে পারেন না। অজয় গৌতমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। আগামী ১ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।#
বিষয়: রাজনীতি
৭৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন