জাফ্রিক ষাঁড়ের কলামঃ তোমরা যারা টি এস সি তে হ্যাং আউট করো-
লিখেছেন লিখেছেন সোহান আর চৌধুরী ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:০০:১৭ রাত
বেশিরভাগ সময়েই চেতনা জাগিয়ে লিখি বলে আমার লেখালেখিতে দুঃখ কষ্ট বেশি থাকে না,থাকে আবেগের ফুলঝুঁড়ি। যদি কখনো কাহিনীর খাতিরে অল্প বিস্তর দুঃখ চলে আসে সেটা লিখতেও আমার চেতনা কথা বলে। মাঝে মাঝে লিখতে লিখতে চেতনার শির ভিজে আসে।
বিভিন্ন মাধ্যম মারফত জানতে পারলাম গতকাল টি এস সি তে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে কতিপয় তরুণীর নাকি শ্লীলতাহানী ঘটেছে। আর এসব নিয়ে রঙচঙ মেখে প্রচারণা চালাচ্ছে চেতনা বিরোধীরা....
খবরের কাগজে এসব রগরগে নিউজ দেখে
নিজেকে খুব বঞ্চিত মনে হয়। মাঝে মাঝে যখন চেতনা জাগানো ছবিগুলো একাকী দেখি তনুমনে দোলা দিয়ে উঠে! কিন্তু মৌলবাদীরা যখন সাংস্কৃতিক চর্চার বিরোধীতা করে তখন হতাশ হয়ে যাই। তবুও স্বপ্ন দেখি একদিন এই দেশ থেকে মৌলবাদ দূর হবে আর জয় হবে চেতনার।
তারুণ্যের কোন বয়স নেই। এর জন্য প্রয়োজন
টগবগে এক যৌবনদীপ্ত মন। এসব ঘটনা দেখে আজও আমার মাঝে সুপ্ত তরুণ মনটা জেগে উঠে। দৃশ্যপটে কল্পনা করি নানা উর্বশী। আজ এই বয়সেও সেই সাধ আমার হারিয়ে যায়নি। আজও আড় চোখে খুকিদের দেখি আর সেই যৌবনা মনকে জাগিয়ে তুলি। এটাকে ঐ মৌলবাদীরা ভিন্ন চোখে দেখবে। আমি মূলত চাই তোমরাও তারুণ্যের জোয়ারে নিজেকে ভাসাও। বদ্ধদ্বার খুলে দিয়ে বেড়িয়ে আস যৌবনের ছায়াতলে। পান কর তারুণ্যের শুধা। জাগিয়ে তোল নিজ চেতনা। সেই চেতনায় বয়ে আসুক ঝলমলে বাঁধাহীন এক নতুন সমাজ। যে সমাজে থাকবে কেবল তারুণ্যের জয় গান।
টিএসসির এ নজরানা যেন শাহাবাগী চেতনার অন্যপিঠ। শাহবাগী চেতনা অমর হোক।
তোমরা যারা আজ চেতনার ফিলটার টেষ্ট
পরীক্ষা দিতে লাল পর্দা রুমে যাও কিংবা সংস্কৃতিমনা পরিচয় পোক্ত করতে টি এস সি যাও, মনে কোন দ্বিধা রাখবে না। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা যেন তোমাদের উদ্দ্যমকে দমিত করতে না পারে। তোমরা হয়ে যাও মুক্ত বিহঙ্গ। তরুণীদের বলবো-তোমাদেরকে শিশুর মতো সরল মানসিকতা নিয়ে অনেক বেশি সংস্কৃতিমনা হতে হবে,করতে হবে হ্যাং আউট। তোমাদের সাফল্যের কল্পনায় আমি দিবারাতি স্বপ্নে বিভোর হই। প্রতি মুহূর্ত জাগরণে সেই ভাবনায় পুলকিত হই.....
বিষয়: বিবিধ
১৩৮২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন