স্বপ্ন দেখি বলেই আমরা বেঁচে থাকি।
লিখেছেন লিখেছেন নিভৃত চারিণী ২২ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৪৯:৩৭ দুপুর
“মানুষের অবদমিত ইচ্ছাগুলোর পুনরায় সাজানো আর সমাধানের একটা অনিয়ন্ত্রিত মাধ্যমই হল স্বপ্ন।”—
স্বপ্ন দেখা মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। এই স্বপ্ন দুই রকমে দেখা যায়। ঘুমিয়ে এবং জেগে। মানুষ জীবনের ৩৩% সময় ঘুমিয়ে কাটায়। এবং স্বপ্ন দেখে। এই স্বপ্ন মানুষের ঘুমন্ত জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এই স্বপ্ন মানুষের একটি মানসিক অবস্থা, যাতে মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় বিভিন্ন কাল্পনিক ঘটনা অবচেতনভাবে অনুভব করে থাকে। ঘটনাগুলি কাল্পনিক হলেও স্বপ্ন দেখার সময় আসল বলে মনে হয়।
অথবা জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু অবস্থার পর্যবেক্ষণ হয়। ঘুমের ভেতরের এই স্বপ্নে মানুষ কি না পারে! পঙ্খীরাজের ঘোড়ায় চড়া থেকে শুরু করে আপাত অসম্ভব প্রতীয়মান সব কিছুই সম্ভব এই স্বপ্নে। কখনো নিজেকে রাজা / রানী আবার কখনো হুর / গিলমান। অনেকটা রুপকথার মত। কিন্তু এই স্বপ্ন হল ক্ষণিকের। যা অধিকাংশ সময়ই বাস্তবতার সাথে মেলে না। তবে অনেক সময় ঘুমন্ত এই স্বপ্নটা বাস্তবের কোন স্বপ্নের সাথে মিলে যায়। তখন তা হয় পরম আনন্দের। ঘুমে হলেও একটা স্বপ্ন তো পূরণ হল !
আসল স্বপ্ন তো হল যা আমরা জাগ্রত অবস্থায় যা দেখি। বরং আমরা প্রতিনিয়ত স্বপ্নে বেঁচে থাকি। প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। হয়ত কোন কোন স্বপ্ন সামর্থ্যের অতীত। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো কোন বাঁধা নেই। সামর্থ্যের অতীতটাকে অবলীলায় স্বপ্নের রুপালী ফ্রেমে বন্দি করা যায়। এতে মানুষ আনন্দ পায়। ভরসা পায়। সামনে এগিয়ে চলার শক্তি পায়।
এই পৃথিবীতে স্বপ্নকে নানা রঙে দেখা যায়। কারো স্বপ্ন এক টুকরো রুটি, কারো বা তিন বেলা পেট পুরে ভাত, গোলা ভরা ধান ও শান বাধানো ঘাট। কারো স্বপ্ন দামি ফ্লাট, মন মত জীবনসঙ্গী। সাথে টয়োটা গাড়ি। কারও বা আবার আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন। এই পৃথিবীকে নিজ বলয়ে আবদ্ধ করা। কারও কারও স্বপ্নটা একটু অন্ন রকম। এই যেমন ছোট্ট শিশুর নির্মল হাসি, সবুজ একটা ধান ক্ষেত কিংবা স্বচ্ছ নীল আকাশ যেখানে মেঘ নেই।
কেউবা আবার লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখে আবার কেউ একনিষ্ঠ পাঠক ! লেখক চায় হাজারো পাণ্ডুলিপিতে বইবাজার ছেয়ে যাক। পাঠক চায় পৃথিবীর সব দুর্লভ বইগুলো দিয়ে তার সখের লাইব্রেরী খানা ভরে যাক। এরকম হাজারো বিচিত্র বিচিত্র স্বপ্নের মাঝে আমরা অবিরত ঘুরপাক খাচ্ছি। কিন্তু এমন ভাগ্যবান কমই আছে যারা স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছে। কেউ হয়ত স্বপ্ন দেখতে দেখতেই এই স্বপ্নের পৃথিবী ত্যাগ তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে বাঁচে।
জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে স্বপ্ন দেখার বিকল্প নেই। এই পৃথিবীতে স্বপ্নকে নানা রঙে দেখা যায়। কারো স্বপ্ন এক টুকরো রুটি, কারো বা তিন বেলা পেট পুরে ভাত, গোলা ভরা ধান ও শান বাধানো ঘাট। কারো স্বপ্ন দামি ফ্লাট, সুন্দরী স্ত্রী সাথে টয়োটা গাড়ি। কারও বা আবার আকাশ ছোয়া, এই পৃথিবীকে নিজ বলয়ে আবদ্ধ করা।
কারও কারও স্বপ্নটা একটু অন্ন রকম। এই যেমন ছোট্ট শিশুর নির্মল হাসি, শ্যামল ধান ক্ষেত কিংবা স্বচ্ছ নীল আকাশ যেখানে মেঘ নেই। এরকম হাজারো স্বপ্নের মাঝে আমরা অবিরত ঘুরপাক খাচ্ছি। কিন্তু এমন ভাগ্যবান কমই আছে যারা স্বপ্নকে ছুঁতে পেরেছে। কেউ হয়ত স্বপ্ন দেখতে দেখতেই এই স্বপ্নের পৃথিবী ত্যাগ করে।মাঝে মাঝে অনেকের স্বপ্ন কোন ঝডের আঘাতে দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়।
তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। বিজয়ের স্বপ্ন দেখে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। সুখী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ভালো থাকার স্বপ্ন দেখে।কঠিন বাস্তবতার মাঝে স্বপ্ন দেখে এক পশলা বৃষ্টির । গহিন হতাশার মাঝে স্বপ্ন আসে আলোর মশাল নিয়ে। জীবনযুদ্ধে পরাজিত সর্বস্বহারা মানুষটিও স্বপ্ন দেখে আবারো সে উঠে দাঁড়াবে। এই স্বপ্নই তার বেঁচে থাকার হাতিয়ার।
নিন্দুকরা বলে অত স্বপ্ন দেখে কাজ নেই, যা হওয়ার তা এমনিতেই হবে। কিন্তু আমি বলব তার পরেও আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। আমাজানের বিশাল স্রোতের মাঝে দাঁড়িয়ে, সাগরের প্রচন্ড সুনামীকে মাড়িয়ে, কিংবা ভারখয়ানস্কের তীব্র তুষার ঝরের মাঝে স্বপ্নকে ধারণ করেই জাগতে হবে।
এই পৃথিবীর মহৎ ব্যক্তিদের স্বপ্ন দেখার ইতিহাস জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার ইতিহাস, ঘুমিয়ে নয়। বরং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে স্বপ্ন দেখার ইতিহাস এবং সে স্বপ্নকে বাস্তবায়নের নিখুঁত কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করার ইতিহাস।তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে পৃথিবীটা আজ সবুজ। আর সেই সবুজ আঁকড়ে আমরা এখনো বেঁচে আছি।
কিন্তু তাদের এই স্বপ্নে পৃথিবীটা ‘চির’’ সবুজ হতে পারে নি। সমাজ অনৈতিকতার কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই মাঝে মাঝেই খরা লাগে। সবুজগুলো হলুদ হয়ে যায়। তাই আমাদেরও স্বপ্ন দেখে হবে। সুন্দর সুন্দর সব স্বপ্ন। যা একদিন বাস্তব হবে। পৃথিবীটাকে চির সবুজ করবে।
পুনশ্চঃ টুডে ব্লগে আমার সর্বশেষ লেখাটা ছিল স্বপ্ন নিয়ে একটা কবিতা। অনেকদিনপর আবার লিখলাম সেই স্বপ্ন নিয়েই। অবাক ব্যাপার হল লেখাটা লিখেছিলাম একটা পত্রিকায় দেবার জন্যে। কিন্তু এখানে কাকতালিয়ভাবে কেমন মিলে গেলো।
সময়ের অভাবে এদিকটায় আসা হয় না। একদম ভুলি নি তোমাদের। খুব মনে পড়ে সবাইকে। আমার কথা মনে আছে তোমাদের ?
বিষয়: বিবিধ
২৫৩৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"আমার 'মা' অসুস্হ্য হয়ে হাসপাতালে এখন,সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি যেন মহান আল্লাহ দ্রুত উনাকে ভালো করে দেন।
(সবার দৃষ্টি আকর্ষণে......কাহাফ।)
কাহাফ ভাইয়া সবার কাছে দুয়া চেয়ে একটা পোষ্ট দিতে পারতেন তো !
খুব মোহনীয় উপস্থাপনা।
আল্লাহ আপনার হাত আরো শক্তিশালী করুন।
ধন্যবাদ আপনাকে৷ :-)
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ধন্যবাদ ।
শত ব্যস্ততার ভীরেও মাঝে মাঝে আসবেন, এই কামনা।
এতদিন কয় ছিলেন?
আপনার বকুল গাছটা ভালে আছেতো?
সামনে শীতের মৌসুম শুধুই শিউলি ফুলে ছেয়ে যাবে এ রাজ্য।
পুস্পকলি আমাদের লাইটহাউজে যায়না কেনো?
সেটা ছোট ভাইটি জানতে চায়।
ধন্যবাদ পুস্পমনি।
সময় তুমি সহায় হও আমি সবখানে বিচরণ করিতে চাই৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন