রক্তপলাশ এক লাশের মিছিল।
লিখেছেন লিখেছেন নিভৃত চারিণী ১১ মে, ২০১৪, ০১:৪০:৪১ দুপুর
শেষ পর্ব।
কয়েক সেকেন্ড নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম। কেউ একজন টেনে হাত ধরে সিঁড়ির বাম পাশের খালি জায়গাটাতে নিয়ে বসালো আমাকে। সামনেই গলাকাটা মুরগির মতো ছটফট করছে কয়েকটা দেহ।এদের মধ্যে একটা দেহ যে মুহাম্মাদের তা বুঝতে আমার একটুও দেরী হল না। চোখের সামনেই ভাইটা তড়পাতে তড়পাতে একটা সময় নিস্তেজ হয়ে গেলো।
বুকের ভেতর থেকে কলিজাটা ছিড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো। আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম, আমার বিবেক বুদ্ধি ক্রমশ লোপ পেতে লাগলো।আমি চিৎকার করতে চাইলাম। কিন্তু পাশের লোকটা শক্ত করে আমার মুখ চেপে ধরল।কারণ আমার চিৎকারে ওদের অবস্থান সম্পর্কে শত্রুপক্ষ জেনে যেতে পারে। এখানে আরো জনা বিশেক লোক ছিলেন।কিছুক্ষণ পর এদিকটা একটু নীরব হতেই আমি ছুটে যেতে চাইলাম মুহাম্মাদের কাছে।কিন্তু আমি যে হাঁটতে পারছিনা।পা টা কেমন ভারী ভারী লাগছে। পায়ের দিকে ভালো মত দৃষ্টি দিতেই বুঝতে পারলাম গুলি লেগেছে পায়ে।রক্তে ভিজে আছে পায়ের দিকটা। অবশেষে হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছলাম মুহাম্মাদের শিয়রে।বুকটা ঝাঁঝরা হয়ে গেছে ওর।
আমি আর কান্না চেপে রাখতে পারলাম না। ইচ্ছা করছিলো চিৎকার করে কাঁদি। কিন্তু গলা দিয়ে কোন স্বর বেরুচ্ছিল না আমার। ছোটভাইয়ের লাশটা বুকে চেপে বসে রইলাম কিছুক্ষণ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো লাশ। পেছনদিকে ফিরে চাইতেই আহমাদের পিঠে থাকা রক্তমাখা ব্যাগটা নজরে পড়লো।ভালো করে অনুসন্ধানী দৃষ্টি ঘোরাতেই দেখতে পেলাম আহমাদের রক্তাক্ত লাশ।শোকে আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম আমি।কত ভাগ্য ওদের। শাহাদাতের তামান্না বুকে নিয়ে এসেছিলো।তাই বোধহয় আল্লাহ ওদের ডেকে নিয়েছেন আরশপানে।
চারিদিকে কেমন ভূতুড়ে পরিবেশ।একজন জীবিত মানুষেরও চিহ্ন নেই।সাড়া রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুধু লাশ আর লাশ।রক্তে পিচ্ছিল হয়ে আছে রাস্তাঘাট। ধীরে ধীরে আমার দেহটাও নিস্তেজ হয়ে আসছিলো।পুরোপুরি জ্ঞান হারানোর পূর্বে দেখেছিলাম সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী এসে জড়ো হচ্ছে সেখানটায়।এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।
তাহলে ! তাহলে আমি এখন পড়ে আছি কোন এক লাশের স্তুপে। আদৌ কী জীবিত ফিরে যেতে পারবো লোকালয়ে তা আমার জানা নেই। যে কোন মুহূর্তেই নিভে যেতে পারে আমার জীবন প্রদীপ।এই মুহূর্তে মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। তিনি হয়ত আমাদের খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছেন ওদিকে। খোদা তোমার কাছে একটাই মিনতি আমার ! তুমি আমাদের মা’কে ধৈর্য ধারনের তৌফিক দিও।
কয়েক সেকেন্ড নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম। কেউ একজন টেনে হাত ধরে সিঁড়ির বাম পাশের খালি জায়গাটাতে নিয়ে বসালো আমাকে। সামনেই গলাকাটা মুরগির মতো ছটফট করছে কয়েকটা দেহ।এদের মধ্যে একটা দেহ যে মুহাম্মাদের তা বুঝতে আমার একটুও দেরী হল না। চোখের সামনেই ভাইটা তড়পাতে তড়পাতে একটা সময় নিস্তেজ হয়ে গেলো।
বুকের ভেতর থেকে কলিজাটা ছিড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো। আমি যেন বোবা হয়ে গেলাম, আমার বিবেক বুদ্ধি ক্রমশ লোপ পেতে লাগলো।আমি চিৎকার করতে চাইলাম। কিন্তু পাশের লোকটা শক্ত করে আমার মুখ চেপে ধরল।কারণ আমার চিৎকারে ওদের অবস্থান সম্পর্কে শত্রুপক্ষ জেনে যেতে পারে। এখানে আরো জনা বিশেক লোক ছিলেন।কিছুক্ষণ পর এদিকটা একটু নীরব হতেই আমি ছুটে যেতে চাইলাম মুহাম্মাদের কাছে।কিন্তু আমি যে হাঁটতে পারছিনা।পা টা কেমন ভারী ভারী লাগছে। পায়ের দিকে ভালো মত দৃষ্টি দিতেই বুঝতে পারলাম গুলি লেগেছে পায়ে।রক্তে ভিজে আছে পায়ের দিকটা। অবশেষে হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছলাম মুহাম্মাদের শিয়রে।বুকটা ঝাঁঝরা হয়ে গেছে ওর।
আমি আর কান্না চেপে রাখতে পারলাম না। ইচ্ছা করছিলো চিৎকার করে কাঁদি। কিন্তু গলা দিয়ে কোন স্বর বেরুচ্ছিল না আমার। ছোটভাইয়ের লাশটা বুকে চেপে বসে রইলাম কিছুক্ষণ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো লাশ। পেছনদিকে ফিরে চাইতেই আহমাদের পিঠে থাকা রক্তমাখা ব্যাগটা নজরে পড়লো।ভালো করে অনুসন্ধানী দৃষ্টি ঘোরাতেই দেখতে পেলাম আহমাদের রক্তাক্ত লাশ।শোকে আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম আমি।কত ভাগ্য ওদের। শাহাদাতের তামান্না বুকে নিয়ে এসেছিলো।তাই বোধহয় আল্লাহ ওদের ডেকে নিয়েছেন আরশপানে।
চারিদিকে কেমন ভূতুড়ে পরিবেশ।একজন জীবিত মানুষেরও চিহ্ন নেই।সাড়া রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুধু লাশ আর লাশ।রক্তে পিচ্ছিল হয়ে আছে রাস্তাঘাট। ধীরে ধীরে আমার দেহটাও নিস্তেজ হয়ে আসছিলো।পুরোপুরি জ্ঞান হারানোর পূর্বে দেখেছিলাম সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী এসে জড়ো হচ্ছে সেখানটায়।এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।
তাহলে ! তাহলে আমি এখন পড়ে আছি কোন এক লাশের স্তুপে। আদৌ কী জীবিত ফিরে যেতে পারবো লোকালয়ে তা আমার জানা নেই। যে কোন মুহূর্তেই নিভে যেতে পারে আমার জীবন প্রদীপ।এই মুহূর্তে মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। তিনি হয়ত আমাদের খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছেন ওদিকে। খোদা তোমার কাছে একটাই মিনতি আমার ! তুমি আমাদের মা’কে ধৈর্য ধারনের তৌফিক দিও।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভয় দেখান কেনো ভাই? এমনি ডরে আছি
মন্তব্য করতে লগইন করুন