আপুরা জানেন কি ? লিপস্টিকই হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ !!!
লিখেছেন লিখেছেন নিভৃত চারিণী ১৩ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৪৭:২৬ বিকাল
মেয়েরা সাজবে কিন্তু লিপস্টিক মাখবে না তা কি হয়?মেয়েদের জরুরি প্রসাধনীর মধ্যে এটি অন্যতম। আর এ কারণেই হয়তো প্রায় প্রত্যেক মেয়ের পার্সের অন্দরে লিপস্টিকের অবাধ বিচরণ। বিভিন্ন ছোটবড় মার্কেটগুলোতে রয়েছে এর রমরমা বেচা-কেনা। সর্বনিম্ন ৬০-৭০টাকা থেকে শুরু করে ১৮০০- ২০০০ টাকা পর্যন্ত এর দাম। লিপস্টিক হচ্ছে এক প্রকার প্রসাধনী দ্রব্য যা বিভিন্ন রকম রঞ্জক পদার্থ, তেল, মোম, এবং ত্বক কোমলকারী পদার্থের সন্নিবেশে তৈরিহয়, এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তা ঠোঁটে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু জানেন কি আপনার এই শখের লিপস্টিকই হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ ? হ্যা সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা অকল্যান্ডের ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সী ১২ জন মেয়ের ব্যবহৃত লিপস্টিক ও লিপগ্লসের নাম ও ব্যান্ড নিয়ে গবেষণা করেন।
গবেষকেরা দেখেন এসব লিপস্টকে শিশা,ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম,অ্যালুমিনিয়াম ও অন্য আরো ৫টি ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যা মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।যেমন সিসা থাকে ১০ লাখ ভাগের মাত্র এক ভাগের সামান্য বেশি (এক পিপিএম)। কিন্তু বারবার ব্যবহারে ঠোঁট থেকে জিহ্বা হয়ে পেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শরীরে সিসা ঢুকলে তা ভেতরেই থেকে যায়। এখানেই ভয়। লিপস্টিকে সিসার উপস্থিতি ধরা পড়ে ২০০৭ সালে (দেখুন, নিউইয়র্ক টাইমস, ২০ আগস্ট ২০১৩)। সে সময় নিরাপদ প্রসাধনীর জন্য ‘বিষ চুম্বন’ আন্দোলন শুরু হয়
গবেষকেরা জানান,প্রায় সব লিপস্টিকেই এই ধরনের উপাদান কম বেশি মাত্রায় রয়েছে। লিপস্টিক ঠোঁটে ব্যবহার করা হলেও মুখে চলে যায় ফলে এর থেকে ক্যান্সারের সম্ভবনা থাকে।সম্প্রতি এই গবেষণাটি এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেকটিভ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় লিপস্টিকের প্রচলন শুরু হয়েছে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার নারীদের থেকে।
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার নারীদের মাঝে মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।[ প্রাচীন মিশরীয়রা সামুদ্রিক আগাছা থেকে আরোহিত পার্পল-লাল রংয়ের এক প্রকার পদার্থের সাথে ০.০১% আয়োডিন, এবং কিছু ব্রোমিন মিশিয়ে এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করতেন, যা লিপস্টিক হিসেবে প্রয়োগ করা হতো। রানী ক্লিওপেট্রা তাঁর ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহার করতেন যা তৈরি হতো মেরুন রংয়ের বিটল পোকা থেকে, এর ফলে ঠোঁটে একটি গাঢ় লাল আভা ফুটে উঠতো, এছাড়া বেজ দেওয়া জন্য ব্যবহৃত হতো পিপড়া।
এছাড়া জায়েয – নাজায়েয ও পাক-নাপাকের বিষয়টি তো রয়েছেই।বিশেষ করে মেট লিপস্টিকগুলো সাধারণত ওয়াটার প্রুফ হওয়ায় ঠোঁটের চামড়ায় পানি পৌঁছতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। আর অজুর ক্ষেত্রে মাসআলা হল যদি শরীরের একটা পশমের গোড়াও শুকনা থেকে যায় তাহলে অজু হবে না।আর অজু না হলে নামাজও হবেনা। অথচ আমরা অনেকেই এই সাধারন বিষয়টা মোটেই খেয়াল করিনা।তাছাড়া বেশী বেশী লিপস্টিক লাগানোর কারণে ঠোঁট তার আসল আদ্রতা হারিয়ে ফেলে। রুক্ষ সূক্ষ্ম একটা ভাব চলে আসে ঠোঁটে যার দরুন লিপস্টিক ছাড়া চলাই মুশকিল হয়ে যায়। তাই আসুন ! নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।
বিষয়: বিবিধ
২০৩৭ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আচ্ছ আগের মা/বোনরাতো এসব জিনিস ব্যবহার করেননি, তাতে কি তাদের সৌন্দর্য্য কমে গিয়েছিলো?
আসুন... নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি। এত ঝামেলায় নিজেকে না জড়িয়ে "লিপস্টিক" ব্যবহার করাথেকে বিরত থাকি।
লিখুন বেশি বেশি
ভাইজান আপনি তো ছেলে তাই এটা বলে খুব সহজ ।
লিপস্টিকের উপাদান আর "লিপজেলের" উপাদানতো এক নই। লিপজেলতো ঠোঁট না ফাটার জন্য (অনেকটা ওষধ হিসেবে) ব্যবহার করতে হচ্ছে। লিপস্টিকতো (অতিরিক্ত + অপ্রয়োজনীয় ভাবে) শুধুমাত্র সৌন্দর্য্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে।
তাই অতিরিক্তটা এ্যভয়েড করলেতো সমস্যা নাই।
ধন্যবাদ আপনাকে
বুঝেছি ভিশু ভাইয়ের সাজুগুজু ওয়ালা লাল টুকটুকে বৌ লাগবে।
ইউরোপে শিল্প বিপ্লব পরবর্তীতে শুকরের চর্বি শুধুমাত্র সাবান উৎপাদনে ব্যবহার না হয়ে, যখন খাদ্য উপাদানেও ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করল। তখন ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানি গুলো তাদের পণ্যকে আকর্ষণীয় পন্থায় বাজার জাত করতে অত্যাধুনিক ও নান্দনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে চর্বি সংক্রান্ত ব্যবসায়ে জড়িত কোম্পানিগুলোও তাদের ব্যবসায়ের স্বার্থে একত্রিত হয়ে চর্বিকে রাসায়নিক উপাদানের মাধ্যমে প্যাকেট ও বাজারজাত করার প্রতি নজর দেয়। একই সময়ে ইউরোপিয়ান দেশ গুলো একত্রিত হয়ে একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছে যে, বাজারজাত সকল খাদ্যের গায়ে, প্যাকের মাঝে কি কি খাদ্য উপাদান আছে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুকরের চর্বির প্যাকেটের গায়ে খাদ্য উপাদান হিসেবে লিখিত হল ‘PIG FAT’ তথা শুকরের চর্বি।
সময় থাকলে চর্বি সংক্রান্ত এই অতীব গুরুত্বপূর্ন প্রতিবেদনটি পড়ুন, সেখানে আপনার ট্রপিক্সের অনেক অজানা কথা জানতে পারবেন।
E-CODES এর আবরণে মুসলমান হারাম খেতে বাধ্য হচ্ছে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন