''কওমী মাদরাসা'' হতাশার আঁধারে আশার বাতিঘর।
লিখেছেন লিখেছেন নিভৃত চারিণী ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০১:৫৮:০০ দুপুর
হক্ব-বাতিলের লড়াই চিরন্তর।শত-সহস্র যুগ ধরে যার ধারাবাহিকতা প্রতিয়মান।যখন-ই বাতিল কারো উপর অন্যায়-অবিচার যুলুম-নির্যাতন শুরু করে,সত্যান্বেষী একটি দল তৈরী হয়ে তাদের মোকাবেলায়।যার নেতৃত্ব দিতে যুগে যুগে বহু নবী-রসূল প্রেরিত হয়েছে এ ধরণিতে।রসূল (সাঃ) এর ইন্তেকালের পরও নিভে যায়নি সত্যের বাতি,মন্থর হয়ে যায়নি যানবাজ মুজাহিদের সাহসী গতি।রসূল(সাঃ) চলে গেলেও রেখে গেছেন তাঁর আদর্শ।যারা বরাবরই বাতিলের বিরুদ্ধে লড়েছেন এবং এখনো লড়ে যাচ্ছেন।হাজার বছর পর তৎকালীন বৃটিশ বেনিয়ারা এ বিষয়টি তীক্ষ্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারা সিদ্ধান্ত নেয়,সমগ্র পৃথিবীর আধিপত্য তাদের চাই।শুরু করে পরাশক্তির অসম খেলা। শুরুতেই ওরা মুসলিম শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করে মাদরাসাগুলো বন্ধ করে দেয় জঘন্য কায়দায়।এরপর আলেম-উলামা হত্যার নির্মম খেলায় মেতে উঠে তারা।হাজার বছর ধরে চলে আসা ইসলামী আদর্শের পরিবর্তে বৃটিশ আদর্শ বাস্তবায়নে গড়ে তোলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যেখানে শিক্ষা নিলে নামে মুসলমান থাকবে আদর্শে হবে অমুসলিম।
আপষহীন উলামায়ে কেরাম তার প্রতিবাদে শুরু করেছিলো ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের সর্বজনীন আন্দোলন।যার সূচনা ‘দারুল উলূম দেওবন্দা’ যার সাথে মিশে আছে বহু ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান।
রাষ্ট্র নয় বরং জাতির সহযোগীতায় জাতির কল্যানে জাতীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ কওমী মাদরাসা।যার সিলসিলা আজ অব্দি চলমান। সেই দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণে ও অনুকরণে বিশ্বময় গড়ে ওঠে হাজারো কওমি মাদ্রাসা।উম্মতের ফায়দার দিকে লক্ষ্য রেখে যদি এর ( সিলেবাস, নিয়মকানুন)কোন পরিবর্তন- পরিবর্ধনের দরকার হয়, তাহলে তার জন্যও বিজ্ঞ আলেম ওলামাগণ রয়েছেন।কারন এসব বিষয় নিয়ে এখন সবাই অনেক সচেতন হয়ে গেছেন।
সুতরাং যারা ‘যদি’/ ‘কিন্তু’/ ‘সুতরাং’ /‘মনে হয়’ /দিয়ে কওমী মাদরাসার বিরোধীতা করতে চায় তারা ভুলে গেছে এটা একটি আদর্শিক লড়াই, যে লড়াইয়ে প্রতিকুলতার আলিঙ্গন নিত্য ঘটনা।
আদর্শহীনরা বার বার আদর্শ বদলায়। কিন্তু আদর্শবানরা শত প্রতিকুলতা সহ্য করেও নিজ আদর্শে অটল থাকে। দিশেহারা জাতিকে আশার আলো দেখাতে কওমী মাদরাসা শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। জাগতিক শিক্ষার গহীন অন্ধকারে নিজ আলোয় আলোকিত হয়ে আছে কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৬ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
আসলেই তাই! ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার ব্লগ বাড়ীতে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মসজিদে আজান আর নামায পড়াতে পারি বলেই জন্মের পরে আর মৃত্যুর পরে মুসলমানদেরকে আমাদের কাছেই ধর্না দিতে হয়।
আর কিছু বললাম না। চোখ কাং খোলা রাখেন দেখতে পাবেন আমরা কি পারছি, আর কি পারছি না। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওদের ক্ষেত্র তো অল্প কয়েক টা পদ ছাড়া নাই।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
অজস্র ধন্যবাদ তোমাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন