শাহরিয়ার কবির আপডেট।
লিখেছেন লিখেছেন নিভৃত চারিণী ০৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:৪১:৩৩ সন্ধ্যা
মনে আছে গতবছরের আজকের এইদিনে মুরগী কবীর কাহিনীটা ???
নারায়ে তাকবির ধ্বনি শুনেই প্রাণভয়ে পালিয়েছিল নাপিতের দোকানে। সেদিন ওর পালানোর দৃশ্যটা যদি কোন মোরগ দেখিতে পাইত তাহলে আমি নিশ্চিত অবশ্যই সে অপমানে আত্মহত্যা করিয়া নিজের প্রান বিসর্জন দিত । কারণ স্বীয় জাতির অপমান সহ্য করতে পারেনা কেউই।
সকাল থেকে দুই চারজনের জটলার মধ্যে খুব ভাব মারছিলেন বেচারা। সেই কি গলাবাজি !!! - কাউরে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে পাহারা দিবো আমরা।ঢাকার মাটিতে পা রাখে এমন সাহস কার আছে ? আমরা ২য় মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী। আমাদের সাথে টক্কর লাগায় এমন সন্তান জন্মায়নি বাংলার কোন মা। আরও কত ভক্কর চক্কর কথা। সেদিন হেডফোনটা কানে লাগিয়েই ছিলাম সর্বক্ষণ।সাংবাদিকরাও খেলা পেয়ে বসেছিল সেদিন। একদিকে খোদাপ্রেমিকদের গণজোয়ার অপরদিকে দুই একটা বিড়ালের মিউ মিউ। খুব মজা করে সংবাদ প্রচার করছিলেন সাংবাদিকরা।এভাবেই চলছে।
সকাল ১০টার দিকে মহাখালীতে ঘটে সেই হাস্যকর ঘটনাটি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মহাখালীর ফ্লাইওভারের নিচে অস্থায়ী গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মতিঝিলে লংমার্চে অংশগ্রহনকারী আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনতাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল।
নবীপ্রেমীদের নারায়ে তাকবীর ধ্বনি শুনে ভয়ে ওদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠেছিলো। আর সেই ভয়ে জান বাঁচানোর তাগিদে আশ্রয় নেন পাশেই থাকা একটা নাপিতের দোকানে। অথচ আদৌ হেফাজত কর্মীরা এসব খুনাখুনির ধারে কাছেও যেতেন না। মনের ভয় বলতে যা হয় আরকি সেই অবস্থাই হয়েছিলো ওদের। তারপর থেকে মুরগী কবিরকে কয়েকদিন দেখা যায়নি মিডিয়ায়।বেচারা বোধহয় বহুত ভয়-ই পেয়েছিলো সেদিন। কে জানে হয়ত ফেরাউনের মতো ডায়রিয়া শুরু হয়ে গেছিলো ওর।
পরে মুরগীটা সাক্ষাতকারে বলেছিল “আমিই ছিলাম হামলাকারীদের টার্গেট। হামলার ধরণ দেখে বুঝেছি, তাদের এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত।”যতক্ষণ তারা হামলা চালায়, আমার দিকেই তাদের নজর ছিল। আর আমাকে বাঁচাতে গিয়েই আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।”
এক সাংবাদিক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন কি দিয়ে ওরা আপনার উপর হামলা করেছে ? মুরগীটা কতকত করে বলে কিনা “এক দেড় লিটারের পানির বোতল ছুড়ে মেরেছিল আমার উপর।
আসলেই, মুসলমানের একটা হুঙ্কার নাস্তিকের হাজারটা গোলা বারুদের চাইতেও শক্তিশালী। এখন শুধু প্রয়োজন হিম্মতের। একটা প্রবাদ আছে না - " الهمة هوالاسم الاعظم "
ইনশাআল্লাহ অচিরেই জেগে উঠবে খোদার সেই বীরসেনানী। আবারো মুখরিত হবে লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ'র স্লোগান।
বিষয়: বিবিধ
২৪৮৭ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর লিখেছেন
হা হা হা...ঠিক মনে আছে!
আর এই কারণে আপনি আমার নামে রিপোর্ট করবেন? এই সমস্ত মুরগী কবিররা (নাস্তিকরা) যখন নবীজিকে নিয়ে কটূক্তি করা তখন আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরে না ?
কথা সত্য। কিন্তু এটা কখন যখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হবে। নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে ই তা অর্জন করা যায়।
আশা করছি এমনই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মুরগী ও তার বাচ্চা অরক্ষিত
খবর পেয়ে এক পাইকার তার বাইক ঘুরাতে শুরু করলো
খবরটা গেল শাহরিয়ারের কানে
সেও নেমে আসলো , এটা তার পুরনো বিজনেস ।
ধন্যবাদ
হানাদার ক্যাম্পের মুরগী সাপ্লাইয়ার এখন মহান দেশ প্রেমিক . . .
ঘাদানীক শাহারীয়ার মুরগী সাপ্লাই দিচ্ছে প্রধান মন্ত্রী সেই মুরগী রান্না করছে . . .
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ,এতবড় ভুলটা শুধরে দেয়ার জন্য। >-
মন্তব্য করতে লগইন করুন