রোজার রকমফের

লিখেছেন লিখেছেন জুম্মি নাহদিয়া ২৭ মে, ২০১৪, ০৪:১৪:০৩ বিকাল



জার্মানিতে প্রথম রমজান মাস পেলাম দু বছর আগে । খুব মিক্সড অভিজ্ঞতা হল ।বাংলাদেশে রোজা শুরুর দিন পনের আগে থেকেই মনের ভেতর কেমন যেন একটা বাতাস বইতো । তেঁতে ওঠা দুপুরবেলায় কোন যানবাহন না পেয়ে অগত্যা পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই চলে গেছে কারেন্ট , কিন্তু দক্ষিনে যে জানালা টা আছে সেদিক দিয়ে এত মিষ্টি বাতাস বইছে যে পর্দা উড়ে যাচ্ছে । মনের ভেতর রোজা আসি আসি করা বাতাসের অনুভূতি অনেকটা এরকম ।

একটা নিয়মতান্ত্রিক পরিশুদ্ধ জীবনের প্রত্যাশা ছাড়াও সমস্ত রোজায় কিছু ইউনিক দৃশ্য দেখতে পাবার আনন্দ মনের ভেতর উঁকিঝুকি দিত । জমজমাট অলি গলি । পাড়ার বেকার এবং টেডি ছেলেপেলে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে ছোট্ট ঈদ কার্ড কিংবা ইফতারের দোকান সাজিয়ে বসেছে , সেহেরীর সময় স্বেচ্ছাসেবক ঘুম ভাঙ্গানির দল তাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে অ্যানাউন্সমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েছে , মাদ্রাসার ছেলেরা নিজস্ব সুরে বহুল পরিচিত ইসলামী গান গুলো গাচ্ছে , ইফতারের আগ মুহূর্তে গ্যাসোদ্দির [অরিজিনাল নাম খুব সম্ভবত গিয়াস উদ্দিন] মায়ের আগমন এবং ´´আইজ আফার বাসাত ইস্তারি খাইয়াম´´ উক্তি , আম্মু অফিস থেকে ফেরার সাথে সাথে আম্মুর হাতের দিকে তাকানো এবং´´ কিছু আনছো ´´জাতিয় প্রশ্ন , এই মুহূর্তগুলো কি যে ভাল লাগার বোঝাতে হয়ত পারবোনা । বিশেষ করে আব্বুর সাথে ছোলা ভাজা খাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়তই মান অভিমানের ঘটনা ঘটত সে সময় । কেমন করে মেনে নিই যে আমি আমার সেই প্রানবন্ত সময় কে পেছনে ফেলে এসেছি । এই দুঃখবোধ একদিকে যেমন কাজ করছিল অন্যদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও নতুন দায়িত্ববোধের জীবনে রোজা আমাকে কতটুকু পরিশুদ্ধি এনে দিতে পারবে এটা নিয়েও কিছুটা এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল ।

যতটা নিরিবিলি জার্মানিতে রোজা আসে ভেবেছিলাম আসলে অতটা না । আমি অনেক বেশি অবাক হয়েছি এত চমৎকার ভাবে এখানকার মুসলিমরা রোজার উদ্দেশ্য কে ধারণ করার চেষ্টা করে ।

তবে ঐ যে বললাম মিক্সড অভিজ্ঞতা , মুসলমানদের হৃদয় দিয়ে রোজা রাখার দৃশ্যের পাশাপাশি অদ্ভুত কিছু কথা বার্তা - চিন্তা ভাবনার সাথে নতুন করে পরিচয় হল।

আমার আহমাদ তখন পেটে ছিল । ইনটেনসিভ একটা ভাষা শেখার কোর্স করতে হত বাসা থেকে বেশ দূরে গিয়েই ।

তাই রোজা আমার জন্য ফরজ ছিলনা আবার নাজায়েজও ছিলনা , চেষ্টা করতাম কিছুটা রিল্যাক্স মুডে রোজা রাখার । এই যেমন ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ব্যাগে একটু খাবার রাখা যাতে করে আহমাদের কষ্ট হচ্ছে আমার কারণে এরকম কোন সিগন্যাল পাওয়া মাত্র রোজা ভাঙতে পারি । আল্লাহর রহমতে বেশির ভাগ দিনেই কোন সমস্যা হয়নি । আমার কোর্সমেট দের ভেতর কয়েকজন ইরানি ছিল । ইরানিদের সম্বন্ধে আমাদের সাধারণদের পোষণকৃত ধারনা যে অনেকাংশে ভুল সেটা ওদের সাথে না মিশলে বুঝতাম না । ওরা আমাকে প্রায় ক্লাসেই নামাজ রোজা বিষয়ক বেশ থিওরি শোনাত । মোহাম্মদ নামের একটা ছেলে ছিল । সারাক্ষণ হারিবো চিবাতো সে । হারিবো হচ্ছে শুকরের চর্বি থেকে বানানো জেলোটিন মিস্রিত এক রকমের ক্যান্ডি । একদিন এক টিচার বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন , ´তুমি তো মুসলিম , তুমি তোমাদের উপোস দিবসেও হারিবো খাচ্ছ ?´ সে উত্তর দিল , আমি মোডারেট মুসলিম ,অত প্রিজুডিস নাই আমার । সব কিছু আমার জন্য এগাল´( মানে ব্যপার না) । আরেকদিন শেহজাদি মেয়েটা বলে বসলো , রোজা তার জন্য ইরানে ফরজ কিন্তু জার্মানিতে না । এত লম্বা সময় রোজা রাখা ইরানিদের পক্ষে কষ্টকর তাই একজন ইরানি হিসেবে সে রোজা রাখেনা । ফারশিদ দাবিরি ছিল আরেক কাঠি সরেস । আমি উপায়হীন হয়ে একাডেমী বিল্ডিং এর সিঁড়ির চিপায় নামাজের ব্যবস্থা করে নিয়েছিলাম আর এত ঘণ্টা ক্লাস করেও রোজা রাখছিলাম সে কারণ আমাকে সে চরমপন্থি আখ্যা দিয়েছিল । চুক চুক করে মাথা নাড়ত আর আমার অনাগত সন্তানের খারাপ ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার চেহারা করত । বলত ´´ডু ,ইজলাম , খোমেনি, আহমাদেনিজাদ আলে জিনড শাইসে এক্সট্রিমিষ্ট ´´অর্থাৎ তোমরা সবাই শিট কিসিমের চরমপন্থি । এরা ছাড়াও প্রচুর পরিমানে আধুনিক হিজাব পরা তুর্কি , আফগানিদের রোজার দিনে দুপুরে লাইট বিয়ার কিংবা সিগার টানতে দেখেছি । এদের অবাস্তব মোডারেটপনা আমার চোখ খুলে দিয়েছে সত্যি ।

´´প্রাগৈতিহাসিক´´ ইসলামের আধুনিকায়ন করাটা সুবিধাবাদীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এটা আমার কাছে স্পষ্ট হল । অনেকটা শেখ সাদি স্টাইলে বেয়াদবের বেয়াদবি দেখে নিজের আদবের অবস্থা মুল্যায়ন করার মত আমি যেন এদের দেখে দেখে প্রতিনিয়তই শিখেছি ।

তবে বর্তমান জার্মানির সাথে দশ বছর আগের জার্মানির অনেক ফারাক । দশ বছর আগে একেবারে সেন্ট্রাল স্টেশনের পাশেই যেখানে লাইসেন্সড ব্রোথেল ছিল আজকে সেখানে মসজিদ । দিনমান প্র্যাকটিসিং মুসলিমদের আনাগোনা আর সন্ধ্যা থেকে তারাবির পর পর্যন্ত মসজিদ ও মসজিদের আশপাশ মুসল্লিদের দখলে থাকে। কদর রাতের সন্ধানে মানুষ সারা রাত মসজিদে কাটিয়ে দিচ্ছে । ছোট ছোট বাচ্চারাও পিছিয়ে নেই । আব্বু আম্মুর সাথে পাল্লা দিয়ে তারাও রমজান মাস উদযাপন করছে ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি একরকম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছিল । তখন তুরস্ক থেকে প্রচুর মানুষ এসে এখানকার রাস্তা ঘাট সহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন সেক্টরে অনেক অবদান রেখেছে । সে কারনে , এখানে তুর্কিদের আধিক্য যেমন আছে , দাপটও বেশ আছে। জার্মানিতে ইসলাম গ্রহনের হারও আশা ব্যাঞ্জক । আমি কনভার্টেড মুসলিমাহদের একটা গ্রুপের সাথে জয়েন করেছি জার্মানিতে আসার পর পরই । তাদের ইমান আমলের ধারে কাছেও আমি নাই এটা ভেবে একদিকে মন খারাপ লাগে অন্যদিকে জেনে বুঝে ইসলাম মানার প্রচণ্ড উৎসাহ পাই ।

এখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটিরও মসজিদমুখী এবং ইবাদতমুখী হবার কিছুটা চেষ্টা করে , তবে জাতি হিসেবে আমরা বোধহয় একটু বেশিই উৎসবপ্রিয় । তাই হয়ত নামাজে আনুপাতিক হারে উপস্থিতির চাইতে ইফতারের আইটেমের দিক থেকে অন্যদের চেয়ে, এমন কি পার্শ্ববর্তী ইনডিয়ানদের চেয়ে আমরা বেশ এগিয়ে থাকি । এটা আমার ব্যক্তিগত পর্যালোচনা তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে ।

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছিল , বুকের ভেতর কেমন যেন করছিল । সারাবছর যদি রমজান মাসের মত উপলব্ধি হত! আমল বাড়ানোর জন্য একটু হলেও চেষ্টা থাকত ! দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই আছি না কেন সবশেষে আসলে মিলিয়ে দেখলাম , রোজার আবেদনে আসলে কোন তারতম্য নাই । ভাললাগার মুহূর্ত গুলো পৃথিবীর সব প্রান্তেই এক রকম সুন্দর । প্রিয় মানুষ গুলো কে কাছে পেলে অথবা স্বদেশের ঘ্রাণ পেলে সময়টা পূর্ণতা পায় , পার্থক্য এতটুকুই ।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭৭ বার পঠিত, ৭০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

227000
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
173902
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : :ধন্যবাদ
227007
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:২৩
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : ভালো লাগলো লেখাটা। এক কথায় সুন্দর লিখেছেন। আপনার পরিবারের সবাই কি সেখানে থাকেন? দেশে কেহো নেই আর?
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
173903
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : দেশে সবাই আছে , শুধু আমিই নাই ।
227012
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো লিখাটি
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
173904
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও , সন্ধ্যাতারা ।
227030
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : আমি তো মনে করি বিদেশের মাটিতে আনন্দটা একটু কম। রোজা ঈদ এসব বেশী মানুষ না হলে মজে না।
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:২২
173934
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : হুম , চোর ভাইয়া খুব দামী কথা বলেছেন , বেশী হাউ কাউ না হলে এসব মজে না । ব্যপারটাই তো ভাগাভাগির ।Happy>-
227045
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
পুস্পিতা লিখেছেন : শুধু ইরানী বা আফগানি নয়, আমাদের দেশেও মুসলিম নামধারী এমন কিছু মানুষ আছে যারা কাজে, চলনে, বলনে, ব্যবহারে সবসময় চেষ্ঠা করে ইসলামের বিপরীত চলতে এবং ইসলামের বিরোধীতা করতে।
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
173941
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : জ্বি ,পুষ্পিতা । এটা অনেক সত্যি কথা । আর একটা সত্যি কথা কি , অমুসলিমদের কাছ থেকে অনেক পজেটিভ আচরণ পাওয়া যায় বিভিন্ন সময় ইসলাম প্র্যাকটিস করতে গিয়ে । কিন্তু এদের কাছ থেকে কিছু উৎকট মন্তব্য ছাড়া অন্য কিছু আশা করা উচিৎ না ।
227051
২৭ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৪
নোমান২৯ লিখেছেন :







ভাল লাগল ।
চম..........লিখেছেন আপু ।
ধন্যবাদ ।শুভেচ্ছা নিবেন - Good Luck Rose- Good Luck Rose- Good Luck Rose- Good Luck Rose- Good Luck Rose
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
173959
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : হা হা , ব্লগে এসে কত কি যে শিখলাম ! চম লিখেছেন ,Happy । ধন্যবাদ ।
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:০৭
174063
নোমান২৯ লিখেছেন :




বাকিটা আপু ঐ ডট চিহ্নে হারিয়ে গেছে !
227107
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : বেশি ব্যস্ত ছিলেন বুঝি Day Dreaming এত্ত দিরী করা কিন্তু ভালো না। Chatterbox বকতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। যাইহোক পড়ে মন্তব্য করবো, কেমন? Winking
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:০১
173994
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : বকাটা দিয়েন প্লিজ। কাজে লাগবে ।
২৭ মে ২০১৪ রাত ১০:১৪
174045
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : পড়েছি পুরোটা। জানা হলো অনেক কিছু। ধন্যবাদ আপনাকে। Good Luck Good Luck Good Luck আপনি আমার বড়, বড়দের বকতে নেই Crying Crying
227111
২৭ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
বেদূঈন পথিক লিখেছেন : ভালো লাগলো
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:০১
173995
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ।
227135
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৮:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগল।
বিদেশের মাটিতে রমজান ও ঈদের অভিজ্ঞতা গুলি ভাল লাগল। গত বছর শুনেছিলাম লন্ডন এর মসজিদে শেষ দশদিন ইতেকাফ কারিদের সুযোগ দেয়ার জন্য লটারি করতে হয়েছিল। আর আমাদের দেশে ইতেকাফের মানুষ পাওয়া যায়না। অনেকে খতম তারাবি পরার পর আর পরেননা। যেন তারাবি আর পড়তে হয়না!!
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:১১
174065
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ভাই , লন্ডনের কথা আর কইয়েন না ! আমি ইস্ট লন্ডনের মারিয়াম সেন্টারে তারাবীর নামাজ পড়ছি এক হাত জায়গার ভেতরে । পুরা ফুল । মেয়েদের জন্য আলাদা সেন্টার করেছে এবং সেটা কানায় কানায় ভরা । আমাদের দেশে বরং এরকম দৃশ্য , মানে শত শত মেয়েরা মসজিদে তারাবী পড়ছে এরকম দেখিনি ।
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:৫৭
174077
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মেয়েরা তারাবি পড়বে!!!!
এই দেশে কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একজন ফতোয়া দিয়েছেন যে মেয়েদের মসজিদে যাওয়া নাকি কুফরি!
হযরত উমর (রাঃ) নাকি এটা নিষিদ্ধ করেছিলেন।
২৮ মে ২০১৪ রাত ১২:১৩
174085
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমি জানিনা ভাই । তবে লন্ডনে আমি দেখেছি অনেক পরিচিতারা শুধুমাত্র তারাবী পড়ার জন্য সারাদিন গুছিয়ে কাজ করেন । ইফতারের আইটেম সাধারণ তৈরি করেন , খুব আড়ম্বর কিছু করেন না । রাতে ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে তারাবীতে চলে যাচ্ছেন । বাচ্চারা মসজিদে খেলছে , আবার নামাজে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে । আমার কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছে । জানিনা কি প্রেক্ষাপটে এমন ফতওয়া !!Surprised
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৯:০৭
174148
ইমরান ভাই লিখেছেন : যে এই ফাতাওয়া দিছে তাড়ে নর্দমার পানিতে ১০ বার চুবানো দরকার।
১০
227147
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৯:০৩
সুশীল লিখেছেন : দারুন লিখেছেন। অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। নিয়মিত হবেন তো? Yawn Yawn Yawn Thinking Thinking Worried Worried
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:১২
174066
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে । নিয়মিত হচ্ছি ইনশাল্লাহ ।
১১
227151
২৭ মে ২০১৪ রাত ০৯:১৫
ভিশু লিখেছেন : খুব ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck Rose
দয়া করে যদি আ১টু রেগুলার হতেন, তাহলে আর্ড়ো ওন্নেক ভাল্লাগতোহ্‌... Rolling Eyes Sad Sad
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:১৩
174067
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপণাড় বাণাণ ড়ীটী ডেখে আমী মূগঢহ। ড়েগূলাড় ণা হোয়ে কৈ জামূ ?
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:২৯
174072
ভিশু লিখেছেন : Surprised Surprised Surprised
Rolling on the Floor
১২
227192
২৭ মে ২০১৪ রাত ১০:৫৩
আনিস১৩ লিখেছেন : Thanks for sharing.
Converted muslims are more dedicated than born muslim.
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:১৮
174069
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Because , they try to seek knowledge , by Born muslims don´t have interest to gain it .
১৩
227194
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:০০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : কানাডায় থেকে আপনার মত আমারও নানারকম মুসলমান আর তাদের রীতিনীতি দেখার সুযোগ হয়েছে। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আমার দেখা অভিজ্ঞতার সাথে খুব একটা তফাৎ নেই। রোজায় দিন অনেক লম্বা বলে অনেকে দেখি নিজেদের ইচ্ছে মত টাইম ফিক্স করে রোজা রাখে,খাবারে হালাল-হারামের ব্যাপারেও নিজেদের সুবিধামত যুক্তি দাঁড় করায়। কনভার্টেড মুসলমানরা আমাদের চেয়ে সচেতন। তবে সব জায়গায় মনে হয় ভাল-মন্দ দুই দিকই আছে। আমাদের মধ্যেও অনেক ভাইরা মসজিদে ইতেকাফে বসে, মহিলারা একসাথে রাত জেগে কিয়ামুল লাইল করে,মসজিদে তারাবীহ পড়ে,এত লম্বা দিনে বাচ্চারাও রোজা রাখে। আসলে সদিচ্ছা থাকলে পরিবেশ কোন ব্যাপার না যে কোন জায়গায় থেকে ধর্ম পালন করা সম্ভব।

খুব ভাল লাগলো। নিয়মিত লিখবেন Good Luck Rose Love Struck
২৭ মে ২০১৪ রাত ১১:২১
174070
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : খুব সত্যি বলেছেন যে বাইরের দেশ গুলোতে যারা ইসলাম প্র্যাকটিস করতে চায় , একটু সদিচ্ছা থাকলেই করতে পারে । আর এটাও ঠিক যে যারা প্র্যাকটিস করছেন একদম চমৎকার ভাবে করতে পারছেন । আপনাকেও ধন্যবাদ , সাথে থাকুন ।Happy
১৪
227227
২৮ মে ২০১৪ রাত ০১:১১
চেয়ারম্যান লিখেছেন : মাসাল্লাহ অনেক চমত্কার লিখেছেন।
জার্মানির রোজা সম্পর্কে জানতাম না।
আপনার লেখা পড়ে প্রচুর জানলাম Happy
২৮ মে ২০১৪ রাত ০১:১৫
174097
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : প্রচুর ধন্যবাদ আপনাকে । Tongue
১৫
227233
২৮ মে ২০১৪ রাত ০২:৩৭
পিপীলিকা লিখেছেন : চারপাশের পরিবেশ ও নিজের অনুভূতি দিয়ে যদি ভাল দিকে নজর দেওয়া যায় তাহলে ভাল হওয়া সম্ভব হয়ে উঠে।
ইস্ট লন্ডন মসজিদ এলাকায় রমজানের মাসে আসলেই একটা আলাদা উৎসব ভাব লক্ষ্য করা যায়। সবার মাঝেই একটা উৎফুল্লতা দেখি।
একদিন এক পাকিস্তানী সহকর্মী বলল তোমরা তো ভাগ্যবান যে তোমরা ইস্ট লন্ডন মসজিদে নামাজ পড়তে পার!আসলেই ওইখানে নামাজ পড়ে কেন যেন তৃপ্তি পাই। ভালো লাগলো আপনার অনুভূতিগুলো জেনে। অনেক ধন্যবাদ Thumbs Up Thumbs Up Good Luck Good Luck Rose Rose
২৯ মে ২০১৪ রাত ০৩:৩৯
174560
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে । ওখানকার পরিবেশটা আসলেই তৃপ্তিদায়ক ।Happy
১৬
227239
২৮ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪৬
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : Dear sister, it's really nice to get ur feeling, thanks
২৯ মে ২০১৪ রাত ০৩:৪০
174561
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।
১৭
227250
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৭:২১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপু, আমি তো দেখি ক্যানাডায় লোকজন ইসলাম পালনের প্রতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি আন্তরিক, নও মুসলিমরা আরও বেশি। আর যারা নিজেদের মডারেট মুসলিম বলে তাদের একটি নাম ছাড়া ইসলামের আর কিছুই নেই, অনেক সময় সেটাও থাকেনা। তবে তাদের দাওয়াহ দেয়া গেলে অনেকসময় ভাল ফল পাওয়া যায়, কারণ এদের অনেকেই পারিবারিক কারণে এই অবস্থানে।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৪
174712
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমি একমত । দেশের চেয়ে বাইরে বিদআত অনেক কম এবং ইবাদত মানুষ জেনে বুঝে করে ।তবে দাওয়াহ এর বিকল্প নেই ।
১৮
227280
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৮:৫৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দারুনভাবে নিজের উপলব্ধী বলেছেন। পড়ে খুব ভাল লাগল। এবার এখানে বোধহয় ১৭/১৮ ঘন্টা দীর্ঘ রোজা রাখতে হবে। শুনেই জিহবা শুকিয়ে আসছে। এত সময় খাবার ছাড়া কিভাবে যে বাচব ! কিন্তু কিছু করার নেই,আল্লাহর হুকুম...দোয়া করেন
১৯
227292
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৯:১০
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার মনেহয় বাংলাদেশের চেয়ে বাহিরের অমুসলিম রাস্ট্রে যারা আছে তারা ইসলামকে অনুধাবন ও ফিল করতে পারে হৃদয় থেকে যা বাংলাদেশের আহলে বিদআতিদের জন্য আমরা করতে পারি না।

তবে দারুল হারব থেকে দারুল ইসলামে যাওয়া জরুরী জদিও তাতে আহলে বিদআতি থাকে।

জাজাকাল্লাহু খায়রান।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
174713
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : হুম , আমি একমত । বাইরে এলে জানার সুযোগ বা আগ্রহ একটু হলেও বাড়ে ।
২০
227294
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। +
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
174714
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও ।
২১
227299
২৮ মে ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
egypt12 লিখেছেন : ধন্যবাদ আপু আপনার লিখাটি পড়ে নতুন কিছু জানলাম Rose Rose Rose
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
174716
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদGood Luck Good Luck Good Luck
২২
227307
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : খুউউউববববববব ভাল্লো লাগ্লো পিলাচ (+)
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
174717
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy Tongue পিলাচের জন্য ধন্যবাদ
২৩
227310
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
লোকমান লিখেছেন : সুন্দর পোস্ট ভালো লাগলো
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
174718
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
২৪
227323
২৮ মে ২০১৪ সকাল ১১:১৪
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : দীর্ঘ অভিজ্ঞতালব্ধ স্মৃতিচারন সত্যিই অসাধারন লেগেছে। বাংলা-জার্মান দুইপ্রান্তের রোজার আবহ-প্রস্তুতি-উদযাপন তুলনমূলক বর্ননার স্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে। জানলাম,তথাকথিত মডারেট মুসলিম আল্লাহর হুকুম অমান্য করে নিজে মুসলিম দাবি করে আর প্র্যাকটিসিং মুসলিমকে বলে চরমপন্থী।সর্বশেষ, ভাল লাগলো যে পাশ্চাত্যের দেশ জার্মানিতেও ক্রমান্বয়ে মুলসমানের হার দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবারো ধন্যবাদ কষ্টসাধ্য-সুন্দর লেখনীর জন্য।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
174719
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আসলে আমার অভিজ্ঞতা খুব বেশী দিনের না । এবারের রমজান পেলে ইনশাল্লাহ সেটা হবে স্বদেশের বাইরে তৃতীয়তম রমজান । নিশ্চয়ই নতুন অনেক কিছু জানব প্রতিবারের মতই । জেনে জানাবো আল্লাহ চাইলে ।
২৫
227423
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
আতিকুর রহমান ফরায়েজী লিখেছেন : ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৩
174720
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy Happy Happy Happy ধন্যবাদ
২৬
227440
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০৭
দিগন্তে হাওয়া লিখেছেন : প্রিয় স্বদেশে রমজান মাস পালন আর দেশের বাইরে পালন অনেক তফাত। যারা প্রবাসে আছেন তারাই কেবল তা সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন। আমার ইরানের সাথে যেমন আকাশ-পাতাল তফাত Happy সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
174721
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ইরানের অভিজ্ঞতা জানতে ইচ্ছা করছে । আমাদের জন্য লিখে ফেলতে পারেন ।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
174780
দিগন্তে হাওয়া লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ, সামনে লিখার চেষ্টা করবো।
২৭
227452
২৮ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : আসলেই বাস্তব। অনেক ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
174722
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ।
২৮
227535
২৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
আবু জারীর লিখেছেন : মডারেট নয় বরং ওরা সেকুলার (দীন হীন) মুসলিম।

ভালো লাগলো
ধন্যবাদ
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
174724
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : নিজেরা দাবী করে আর কি । আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২৯
227599
২৮ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
সাফওয়ান লিখেছেন : একটু ব্যস্ততার মাঝে আছি। একটা লেখা লিখেছিলাম সেটা পোস্ট করতেই ব্লগে ঢুঁ মারতে আসা। হোমপেইজের স্টিকি পোস্টে আপনার নামটা দেখে লেখাটা না পড়েই একটা ভিন্ন প্রসঙ্গে অনুরোধ করতে এলাম।

আমি আপনার লেখা পড়েছি ফেসবুকে, নিরব পাঠক বলতে পারেন। আপনার লেখায় আল্লাহ অসাধারণ শক্তি দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। চাচার সন্তান হিসেবেই হয়ত অসাধারণ গুণ পেয়েছেন অনেকটা। আপনি দয়া করে নিয়মিত লিখবেন। ব্লগে লিখুন। আপনার পছন্দের আর চিন্তার বিষয়গুলোই লিখুন। সুন্দর আর সৃষ্টিশীল সাহিত্যনির্মানে ইনশা আল্লাহ আপনার লেখনীকে আল্লাহ কবুল করে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। এখন আলোকিত সাহিত্য লেখার মানুষেরা এদিক ওদিক অল্প কয়েকজন হলেও একদিন ইনশা আল্লাহ এই মাটিতে, এই ভাষায় অনেক অনেক লেখক জন্ম নিবে যাদের কলমে ফুটে উঠবে স্রষ্টার ভালোবাসায় সিক্ত শব্দ, দৃশ্যপট, অনুভূতিমালা। আল্লাহ চাচাকে জান্নাত দান করুন, আল্লাহ সকল আলোকিত মানুষদের এবং আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টায় রত বিশাল হৃদয় মানুষদের জান্নাতি হিসেবে কবুল করুন, তাদের কাজে বারাকাহ দিন।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০০
174727
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : না না , ওনার মত আমার লেখা এত শক্তিশালী না , আমি বুঝি । এ ধরণের লেখকদের আশে পাশে কিছুদিন থাকলে এমনিতেই কাগজ কলম নিয়ে বসতে ভাল লাগে । আপনাকে ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য । আমি আমার সামান্য যা আছে সেটা নিয়েই লিখে যেতে চাই । দোয়া করবেন ।
৩০
227669
২৮ মে ২০১৪ রাত ১০:০০
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। সুন্দর লিখেছেন । আরেকটু লিখলে ভাল লাগত কারন মনে হল হঠাৎ করে লেখটা শেষ করেছেন । আপনার লেখার প্রথম দিকে পড়ে মনে হয়েছিল বিস্তারিত থাকবে কিন্তু শেষ দিকে এসে বোধহয় মত পালটেছেন । তাই এইটুকুতে শেষ করেছেন।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০২
174729
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আচ্ছা আরেকটু লিখব আরেকদিন ইনশাল্লাহ । পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ । কাজে লাগবে ।
৩১
227729
২৮ মে ২০১৪ রাত ১১:৩৫
সুমাইয়া বিনতে আফসারী লিখেছেন : অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপি।
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০২
174730
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : তোমাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য । Good Luck Good Luck
৩২
227818
২৯ মে ২০১৪ সকাল ১০:১৭
বিদ্যালো১ লিখেছেন : মুগ্ধ হয়ে আপনার লিখা ও সব কমেন্ট পড়লাম। জানলাম অনেক কিছুই।
আসলেই বাংলাদেশে আমরা যে কতভাবে আশীর্বাদপুষ্ট তা আমরা উপলদ্ধি করতে পারছিনা। বাপ-দাদার ধর্ম একটা পাইছি, ধর্ম-কর্ম না করলেও শুদু কলমা পড়ায় বেহেস্তে যাওয়ার আশা করি। আল্লাহ এ আমাদের বুঝার ও মেনে চলার তাউফিক দান করুক। আমিন
৩৩
227909
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আসলেই । কিছুই জানিনা ,জানতেও আগ্রহী না । খবর আছে আমাদের ! ধন্যবাদ বিদ্যালো ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File