আমাদের বই ঘর

লিখেছেন লিখেছেন জুম্মি নাহদিয়া ১৯ মার্চ, ২০১৪, ০১:৪২:০৪ রাত



শেখেরটেক ৮ এর নীচতলা একটা বাসা আমরা সে বছর ভাড়া নিলাম, নীচতলা হিসেবে বেশ খোলামেলা বাসাই আম্মু খুঁজে বের করেছিল। ওখানে জানালার বাইরে ইট পাথরের দেয়ালের বদলে নগরজীবনের দৃশ্য ছিল, বারান্দার গ্রীলজুড়ে বাড়িওয়ালা আঙ্কেলের লাগানো নীল অপরাজিতা আর মানিপ্ল্যান্ট ছিল।

নতুন নতুন বাসা চেঞ্জ করলে যা হয় আর কি, বাসাকে ঘিরে পরিবারের লোকজনের উৎসাহ উদ্দীপনা- প্ল্যান পরিকল্পনার কোন শেষ থাকে না। আম্মু তখন নতুন চাকরীতে জয়েন করেছে। এতকাল দরিদ্র অথচ হাতখোলা এক কবির সংসারে কত অনিবার্য প্রয়োজনই তো পূরণ করা যায়নি- এখন তাই ফেরার পথে বেশ সাহস করেই এটা সেটা কিনে বাসায় ফিরছে।

আমি পড়তাম ক্লাস ফোর-এ। টুকটাক বান্ধবী হয়েছে তখন আমার। কারো কারো বাসায়ও গিয়েছি। ওরা যেগুলো দিয়ে ঘর সাজায় আমারও ইচ্ছে হত আমাদের ড্রইংরুমটা-বেডরুমটা সেভাবে সাজাতে, এ্যাকুরিয়াম, প্লাস্টিকের ফুল, দেয়ালে জোড়া দামী পেইন্টিংস, বিছানা ভর্তি তুলতুলে পুতুল, টেডিবিয়ার এগুলো দিয়ে ঘরসাজানো ছিল আমার স্বপ্ন।

আম্মুকে এ্যাকুরিয়ামের কথা বলতেই খেলাম ঝাড়ি। “তোমাদেরকেই পালার লোক নাই আবার মাছ পালা! শখ কত!”

আম্মুর এই ঝাড়ির পেছনে সঙ্গতকারণ ছিল বলে আর কথা বাড়াইনি। তার নিজের নয়টা-পাঁচটা অফিস, স্বামীটির দিন রাতের অধিকাংশ সময় কাটে প্রত্যাশা প্রাঙ্গন, সাহিত্য সভা, সফর আর মিটিং মিছিলে। বাসায় ফোর থেকে প্লে গ্রুপ পড়ুয়া তিনটি শিশুর দেখা শোনার দায়িত্ব ছুটা বুয়ার আছিয়ার, যে কিনা বেশীরভাগ দিনই ছুটিতে থাকে।

যাই হোক, আর পুতুল ফুতুল দিয়ে ঘর সাজানোও আব্বু আম্মু আ্যালাউ করবেনা। তাছাড়া আব্বুরও এই বাসা নিয়ে নিজস্ব প্ল্যান অলরেডি হয়ে গিয়েছে। সেটা হল বই দিয়ে ঘর সাজানো।

আমার মনটা গেল ভেঙে। ধুৎ! বই দিয়ে আবার ঘর সাজায় কিভাবে? আগের বাসাগুলোতে একটা স্টীলের শো-কেসে গাদাগাদি অবস্থায় বই ঠেসে রাখা ছিল। ওগুলো কি কখনো শো-পিস হতে পারে? অথচ তুলিদের আ্যাকুরিয়ামে কত চমৎকার সব মাছ। শান্তাদের বসার ঘরে এই এদ্দুর থেকে শুরু করে আমার সমান লম্বা পুতুলও আছে। আয়শা আপুদের তো কথাই নেই। পৃথিবীর আশ্চর্য সুন্দর শো-পিস দিয়ে ওদের শো-কেসগুলো ঠাসা। আর আমাদের বাসা আব্বু কিনা বই দিয়ে সাজাবে।

এদিকে আমাদের মহাব্যস্ত আব্বু কিছুদিন বাসায় অবস্থান করবে বলে জানা গেল। উদ্দেশ্য বাসা গোছানো। জায়গার অভাবে এতদিন কাড়ি কাড়ি বই বস্তাবন্দী ছিল। এবার সেগুলো উদ্ধার হবে এবং পুরো একটা আস্ত ঘর ভরা হবে শুধু বই দিয়ে।

আমার ছোট বোন নাজমী বরাবরই আব্বুর এক নাম্বারের এসিসটেন্ট। টুকটুক করে আব্বুকে বস্তা খোলায় সাহায্য করছে,- জিনিসপত্র এগিয়ে দিচ্ছে। আর আমি হতাশ হৃদয় নিয়ে আব্বুকে বললাম,

- “আব্বু, বইগুলোতো পুরোনো হয়ে গিয়েছে।”

- “বই কোনো দিন পুরোনো হয়নারে মা।”

- “এই যে এগুলোর কভার ছিড়া, অনেকগুলোর ভেতর তেলাপোকার ডিম, ল্যাদাপোকা; আমরা এসব দিয়ে ঘর সাজাবো !”

- “ছেড়া কভারে আমরা আস্তে আস্তে মলাট লাগাবো, তেলাপোকার ডিমও পরিস্কার করা যাবে। এখন বুঝবেনা মাগো, বই হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস আর আমরা সেটা দিয়েই না হয় আমাদের ছোট্ট ঘরটা সাজাচ্ছি।”

- “কিন্তু আমরা এত বই রাখবো কই? আমাদের তো বইয়ের আলমারী আর নাই।”

- “সেটা তো একটা সমস্যাই….. দেখা যাক, আল্লাহ ভরসা।”

নাজমীটা কটকট করে বলে উঠলো, “আব্বু জুম্মি আপু না ক্যালেন্ডারের পৃষ্ঠা দিয়ে ওর ক্লাসের বইয়ের কভার লাগায়- এই ছিড়া বইগুলো জুম্মি আপুই আমার মনে হয় লাগাতে পারবে।”

আব্বু তো মাথা নেড়ে নেড়ে বললো, “তাহলে তো খুবই ভালো কথা ছেড়া কভার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণই দেখছি না।”

এমনিতেই মনোকষ্টে ভূগছি তার ভেতর ইচঁড়ে পাকা মেয়েটার মাতুব্বরীতে আরো তিতা হয়ে গেলাম। দাঁড়া তোকে একলা পেয়ে নেই!

বিকেলবেলা কি কাজে আব্বু যেন বেরিয়েছে। আর আছিয়া বুয়াও বাসায় এসেছে, এসেছে ইতি উতি তাকিয়ে আমাকে একাকী একটা প্রস্তাব দিল। ওটাকে আসলে কুপ্রস্তাব বলাই ভাল। বললো, “আফা ও বড় আফা! হুনেন, আংগোর গেসোদ্দীনের দুস্ত ছিড়া বই খাতা কিনে- খালায় ট্যার ফাইবো না, কতডি বই বেইচ্যা দেন। যেডি ট্যাহা ফাইবেন অনেকডি জিনিস খাইতারবেন।

অনেক কিছু খাওয়ার লোভ যে মনের ভেতর জাগেনি এমনটা বলবোনা তবে মোরালিটি তারচেয়ে বেশী সাহসের অভাব হয়তো কিছটা ছিল বলে রাজী হলাম না। “এডি কতা কাউরে কইয়েন নাগো বড় আফা। খালাম্মায় হুনলে দুইন্যার গোস্বা করবো।

রাতে আম্মু ঘরে ফেরার পরপরই আছিয়ার কুপ্রস্তাবের কথা বলে দিলে আম্মুর মেজাজ হয়ে গেল গরম। তার ভেতর আমি আবার কানের কাছে ঘ্যানর ঘ্যানর শুরু করলাম।

- “আম্মু, আব্বু না বস্তার সব বই খুলে ফেলেছে।”

- “তা তো দেখতেই পাচ্ছি, সারা ঘরে তেলাপোকা…..,

- “আব্বু ছিড়া বই দিয়ে ঘর সাজাবে।”

- “ভালো কথা- তো আমি কি করবো?

- “আমাদের তো বইয়ের এত র‍্যাক নাই- আব্বু কেমনে সাজাবে?”

- “যে সাজাচ্ছে এটা তার টেনশন, তোমার সমস্যা কি?

-পড়া নাই লেখা নাই সারাদিন ঘর সাজানো-ঘর সাজানো…

বয়স কত তোমার? এমনিতেই বাসার একটা মানুষের ওপরও ভরসা করা যায় না…. সারাদিন খাটা খাটুনির পর এত কথা ভাল্লাগেনা যাও….”

জানতাম, আম্মুর ধমক খাবো, তবুও শান্তারা মনিরা বেড়াতে এলে বাসায় একগাদা পুরোনো বইয়ের বাহার ছাড়া কিছুই দেখতে পাবে না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছিলো খুব।

পরদিন স্কুল থেকে ফিরেই দেখি বাসায় অদ্ভুত কিছু বস্তু আনা হয়েছে। একটা শীতল পাটি, একটা মহাজনদের ক্যাশবাক্স, একটা বেতের ঢাকনাওয়ালা ঝুড়ি আর কিছু তেলাপাোকা আর ইঁদুর মারার ওষুধ। ঘরভর্তি বইরে স্তুপ এর ভেতর আব্বু বসে বই ভাগ করছে।

বাড়িওয়ালা আঙ্কেল কি এটা কাজে এসে ক্যাশবাক্স দেখে প্রশ্ন করলো, “তারপর কবি সাহেব, এই ক্যাশবক্স কি মনে করে কিনলেন?”

- “এই টেবিলের বিকল্প আর কি।”

উনি সম্ভবত কিছু বুঝলেন না। সরু চোখে ‘ও আচ্ছা’ বলে চলে গেলেন।

পাশের বাসার হীরা আন্টি জানিনা কেন যেন বাক্সটা দেখে হিহিহিহি হাসতেই থাকলো।

নাজমী আবার আব্বুকে কটকটিয়ে বললো,

-দোকানদের বক্স কেন কিনলেন আব্বু? আমরা কি বইয়ের দোকান বাসাতেই দিচ্ছি?

আব্বু হেহে করে হেসে বললো, “দেখই না কি হয়!”

এভাবে বিকেল গেল- সন্ধ্যা গেল। আব্বু একা একা বই ঘেটেই যাচ্ছে। আম্মু বাসায় ফিরে এই ক্যাশবক্স দেখে গেল রেগে। “এই টানাটানির সংসারে এসব বিচিত্র জিনিস কেউ ফট করে কেনে? মানুষটার জীবনেও আক্কেল হল না”- এই সব আর কি।

পরদিন সকাল বেলা চোখ ডলতে ডলতে পাশের ঘরে ঢুকেই কেমন চমকে গেলাম। চার দেয়াল জুড়ে এই উঁচু পর্যন্ত বই আর বই। একপাশে আমাদের পুরোনো বুক শেলফ আর দুটো বাশের র‍্যাকে কিছু বই আর বাকি তিনদিকে কোনরকম আশ্রয় ছাড়াই বইগুলো দাঁড়িয়ে আছে। আর সারারাত আব্বু বিষয়ভিত্তিক বই বাছাই করেছে- জোড়া তালির মলাটও লাগিয়েছে অনেক বইয়ে ফলে ওগুলো তেমন পুরোনোও লাগছেনা।

আমাদের রঙজ্বলা কার্পেটটার ওপর বিছানো হয়েছে শীতল পাটি। ঢাকনা ওয়ালা বেতের ঝুড়ির ওপরে কলমদানি- লেখার আনুসঙ্গিক টুকিটাকি, পাটির একপ্রান্তে জানালার কাছে রাখা হয়েছে সেই মহাজনী ক্যাশবাক্স যার ডালা খুললেই দিস্তা দিস্তা কাগজ। দেয়ালের ফাকা অংশে আব্বুকে দেয়া মান পত্রগুলোও ঝুলানো হয়েছে। আর সকালের নরম রোদ ঘরটাকে কি যে অদ্ভুত রূপবতী করে তুলেছিল!

এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। এখনও ঐ ঘরটার কথা মনে পড়লে বুকের ভেতর খুব স্নিগ্ধ একটা অনুভূতি হয়। চোখ বুজলেই যেন দেখতে পাই একজন লেখক তার সারাজীবনের একটু একটু করে সঞ্চিত অসংখ্য বইয়ের মাঝখানে পাটি পেতে বসে আছে আর ক্যাশবাক্সকে টেবিল বানিয়ে সৃষ্টি করে যাচ্ছে অনবদ্য সব সাহিত্যকর্ম। ঘরটা ছিল তার যাবতীয় বিলাসীতার কেন্দ্রবিন্দু। সে সময়গুলোতে প্রচন্ড আনন্দ দিয়ে মানুষটাকে আমি লিখে যেতে দেখেছি।

এই বইঘর থেকে আমরা যারা বাকিরা, এদের প্রাপ্তিও কিন্তু কিছু কম না। আমার আম্মু প্রায়ই বলে যে তার বাচ্চাদের মন ভোলানোর উপকরণ রকমারী খেলনার বদলে ছিল বই।

মনে পড়ে, ছোট্ট মুন্না মনোযোগ দিয়ে ‘আম আঁটির ভেপু’ পড়তো আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতো; যদিও ওর যুক্তাক্ষর জ্ঞান ছিল ‘উদে বাধন’, ‘মুগধ’ ‘দগধ; কিসিমের। নাজমীটাও এপার বাংলা- ওপার বাংলা সাহিত্যের তুলনামূলক পর্যালোচনায় বেশ ভারী কন্ঠে বড়দের সাথে তর্কে যেতে পারতো।

এর আগে আমার নিজেরও বই পড়তে হয়তো কিছুটা ভাল লাগতো তবে এই ভালো লাগাটা ধীরে ধীরে শখে পরিণত হলো। কত আলস দুপুর –মেঘলা বিকেল- ছুটির সকাল কাটিয়ে দিতাম বইয়ের সঙ্গে। আব্বুর সংগ্রহও ছিল খুব সতর্ক –একদম বাছা বাছা। যার জন্য যে কোনো ধরনের বই পড়ার অনুমতিই আমার ছিল। আর আমি এই বই এর হাত ধরে যেন গোটা পৃথিবীর পথ প্রান্তরে হেঁটে বেড়াতে পারতাম। ভীষণ ব্যস্ত বাবা মায়ের সন্তান হবার পরও আমরা হয়তো এ কারণেই কখনো একাকীত্বের অভিযোগ তুলতে পারিনা।

যেহেতু বইগুলো তালাবদ্ধ ছিল না এবং খোলা জায়গায় ছিল সে কারণে পরবর্তীতে অনেক বই হারিয়েও যায়-নষ্টও হয়। আর এর মাঝে বেশ ক’বার বাসা অদল বদলও হয়। সময়ের সাথে সাথে শীতল পাটির গাঁথুনিও নরম হয়ে যায়- আর ক্যাশবাক্সের জায়গা হয় পেছনের বারান্দায়।

অসুস্থ হবার ক’মাস আগে আব্বু আবার সেই বইঘরটাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। তবে কিছুটা লাইব্রেরীর আঙ্গিকে যাতে বই পত্রের হিসাব ঠিক থাকে, কেনাও হয়েছিল তিনটা বড়সড় আলমারী। কিন্তু আর হলো কই? মানুষটাই তো রইলোনা।

এখন মাঝে মাঝেই মনে হয় ঠিক সে রকম একটা বইঘর বানাই। হাস্যকর দেখালেও একটা মহাজনী ক্যাশবাক্স কিনতে ইচ্ছা করে। সাধ্য আছে তবুও সাধ হয় দেয়ালজুড়ে রাশি রাশি বই উন্মুক্ত সাজিয়ে রাখি।

আমার আব্বু নিদারুণ আবেগ আর ছেলেমানুষী দিয়ে সাজিয়ে তোলা বইঘরটা হয়তো পৃথিবীর কাছে অনেক কমদামী- উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু না। কিন্তু আমার কাছে চিরদিনই ভীষণ অভিজাত। তামাম দুনিয়ার সমস্ত মূল্যবানের চেয়ে অধিক মূল্যবান হয়ে থাকবে। কারণ হৃদয় দিয়ে যেটুকু হয় ঐ সেটুকুর সাথে আর কোনকিছুর তুলনাই বোধহয় চলে না।

বিষয়: বিবিধ

৩৯১৬ বার পঠিত, ১৩৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

194445
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১৮
পলাশ৭৫ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১৩
144934
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৪
145182
গেরিলা লিখেছেন : আপনি তো মনে হচ্ছে, কবি মল্লিকের মেয়ে @ জুম্মি নাহদিয়াYahoo! Fighter Yahoo! Fighter
194448
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৪
রাইয়ান লিখেছেন : এতক্ষণ যেন আপনার সঙ্গে আপনাদের লাইব্রেরীটাতে ঘুরে বেরিয়েছি , যে জানালাটি দিয়ে আসে সকালের মায়াবী রোদ , সেখানে দাঁড়িয়ে গায়ে মেখেছি সে নরম রোদ ও। আমাদের প্রিয় কবি সাহেবের অনবদ্য সৃষ্টিগুলো আমাদের ইসলামী সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক বিশাল সম্পদ .... আল্লাহ সেসবকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল করুন। আর এত সুন্দর করে যে লেখেন , কি বলব ! কবিকন্যাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। Rose Rose Rose
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১৫
144936
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমি প্রায় সময়ই ঘুরে বেড়াই সেখানে , মন যখন বেশী খারাপ হয় স্পেশালী তখন। অনেক ধন্যবাদ , আমার লেখা পড়েন , উৎসাহ দেন ।Happy
194452
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪২
ভিশু লিখেছেন : ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck
নিয়মিত লিখবেন প্লিজ!
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:১৮
144937
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাদের মত কলমের আগায় লেখা রেডি থাকেনা । লেখতে তো চাই ।Winking
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:২২
144938
ভিশু লিখেছেন : রেডি কি আর থাকে?! করতে হয়...Whew! কিন্তু তবুও পড়তে তো চাই...Rolling EyesChatterbox Day Dreaming
194482
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
তারাচাঁদ লিখেছেন : তোমার আম্মুর চেয়েও ভাল লিখ তুমি । আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, উলন বিলের গল্পের চেয়েও অনেক অনেক ভাল গল্প লিখতে পারবে তুমি । শুধু পারবে না, এখনই পারছ ।এবং পারতেই হবে । কারণ, তোমার আব্বু এবং আম্মু দুজনের ধমনীতে গল্প প্রবাহমান ।
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
145275
অনুরণন লিখেছেন : থাম্বসআপ!
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৯
145377
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : জুম্মি আপুর মা ব্লগেও লিখেন নাকি? ব্লগের লিংকটা পাইলে খুশি হতাম।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪০
145396
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : দোয়া করবেন আমাদের সবার জন্য । আব্বু আম্মুর জন্য একটু বেশী ।Happy
194483
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৫৭
আফরোজা হাসান লিখেছেন : মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা আপু। পড়তে পড়তে বাবার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আমার বাবাও বই পাগল মানুষ। বলেন, ভাত না হলেও আমার চলবে কিন্তু দিনে কমপক্ষে একটা বই না খেলে আমি বাঁচবো না।
শুভকামনা রইলো।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৩
145397
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : বই পাগল মানুষগুলো এমনই হয় বোধ হয় ! অনেক শুভকামনা।
194490
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:৪৪
চোথাবাজ লিখেছেন : দারুন্স। নিয়মিত চাই
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৩
145398
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ইনশাল্লাহ , চেষ্টা করব লিখে যেতে ।
194509
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : অসাধারণ!ভাষার সুন্দর গাঁথুনি৷
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৪
145399
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ।
194511
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৭:৪০
সাফওয়ান লিখেছেন : সুন্দর লেখা! ভালো লাগলো বোন। আল্লাহ আপনার লেখনীতে বারাকাহ দিন।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৪
145400
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : জাজাকুমুল্লাহ খাইরান Happy
194527
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:১১
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে আমিও আপনার আব্বুর সাথে একমত
- “আব্বু, বইগুলোতো পুরোনো হয়ে গিয়েছে।”
- “বই কোনো দিন পুরোনো হয়নারে মা।”
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৪৫
145401
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy Happy
১০
194578
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : আপনাদের বইঘরের কথা পড়ে আমার বইঘরটার কথা মনে পড়ল। আমার বিয়ের পর থেকে বিদেশ আসা অবধি দশ বছর আমার কোনদিন কোন ফার্নিচার কেনা হয়নি, শোপিসের শখ তো নেইই। ঘরে আসবাব বলতে ছিল একটা পুরোনো খাট যেটা প্রায়ই বহিষ্কৃত হত যেহেতু আমার সন্তানরা ছোট থাকতে আমি ঘরে খাট রাখতাম না; দু’টো বেতের চেয়ার, বেতের টেবিল আর একটা বেতের শেলফ যেগুলো ছিল আমাদের সহকর্মীদের পক্ষ থেকে বিয়ের উপহার; একটা পুরোনো পড়ার টেবিল আর একটা আলমারী। আমাদের কয়কশত বই রাখার জন্য আর কিছু না পেয়ে পরে হাফিজ সাহেবের বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকুয়ারিয়াম ব্যাবসার অ্যাকুয়ারিয়ামগুলো কাজে লাগালাম। পড়ার টেবিল, বিছানা, মাটিতে যেখানে শুতাম (মাটিতে শুতে ভালবাসি সেই ছোটবেলা থেকে) সব ভর্তি থাকত বইয়ে। কোনদিন মনে হয়নি কোন অপূর্নতা রয়েছে। দেশে ছেড়ে আসার সময় কাপড়চোপড়, গহনা সব বিলি করে দিয়ে এলাম, বইগুলোর মধ্যে যেগুলো দুষ্প্রাপ্য সেগুলো আলমারীতে ভরলাম; যেগুলো জায়গা হোলনা (অধিকাংশই জায়গা হোলনা) সেগুলো রেখে এলাম আমার ননদের জিম্মায়; আর দিয়ে যে কত দিলাম তার হিসেব নেই; খুব কম বই সাথে আনতে পেরেছি (ঠিক যেমন আমার বাবার বাড়ীতে শত শত বই আমার কেনা, কিন্তু বিয়ের পর ওগুলো আর আমার নেই); এখনও কেউ দেশে গেলে বই আনাই যে কয়টা পারি, এখানে তো কিনিই; এগুলো আমার কত যে প্রিয় বন্ধু কাউকে বলে বোঝানো যাবেনা। আপনার বাবামা আপনাকে যে উপহার দিয়েছেন তা অতুলনীয়। স্মৃতি উসকে দিলেন আর দেখুন তো কত্তগুলি কথা বলে ফেললাম!
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫২
145402
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল আপু । পড়ার জন্য তৃষিত মানুষকে আর কোন পার্থিব কিছু তেমন টানে না , তাইনা ? স্মৃতিগুলো আমার অনুপ্রেরণা খাতায় জমা করলাম।
১১
194625
১৯ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:২১
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : আমার আব্বু নিদারুণ আবেগ আর ছেলেমানুষী দিয়ে সাজিয়ে তোলা বইঘরটা হয়তো পৃথিবীর কাছে অনেক কমদামী- উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু না। কিন্তু আমার কাছে চিরদিনই ভীষণ অভিজাত। তামাম দুনিয়ার সমস্ত মূল্যবানের চেয়ে অধিক মূল্যবান হয়ে থাকবে। কারণ হৃদয় দিয়ে যেটুকু হয় ঐ সেটুকুর সাথে আর কোনকিছুর তুলনাই বোধহয় চলে না।

আামার কাছে সেই শ্রেষ্ট মানুষ যে চিন্তা রুচি আর জ্ঞানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ। আপনার আব্বু তাদেরই একজন্য। ধন্যবাদ।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫৫
145403
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । জানেন , আমাদের গত তিন বছর ধরেই সারাক্ষন আব্বুর কথা শুনতে -পড়তে ইচ্ছা করে !
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:২৪
145447
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : মল্লিক ভাই সাইফুল্লাহ মানসুর ভাই সহ এসেছিলেন জেদ্দায়। সময়টা অনুমানিক ১৯৯৭-৯৮। জেদ্দাস্থ কাফেলা সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েকদিন আগেই এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে লিখলেন নতুন গান

টিক টিক টিক টিক এই ঘড়িটা বাজে...

আরও অনেক কিছু স্মৃতি জড়িত। নির্বাক স্বার্থহীন এক সংগীতারুগী সম্রাট। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চাসনে স্থান দিন। আমীন।
১২
194658
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমি যেন দেখছি সেই বইঘরটি। থরে থরে সাজান বই চারদিকে। বই এর সেীন্দর্যে ম্লান সকল কিছু। নিজেও সপ্ন দেখি কোনদিন সে রকম কোন ঘরের জন্য।
স্মৃতিতে মনে করিয়ে দিলেন পনের বছর আগের একটি দিন। কবি ফররুখ আহমদ এর স্মৃতিতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে। প্রত্যাশা প্রাঙ্গনে নামাজে দাড়িয়ে ছিলাম। একেবারে শেষ সারিতে। আমার পাশে ডান পাশে তিনি। বাম পাশে পরিচালকের রুমের ভিতর চেয়ারে সৈয়দ আলি আহসান কবি আলমাহমুদ সহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি। নামাজে জোড়ে তকবির দিচ্ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে পরিচয় হলো। আমি তখন নামকরা প্রতিষ্ঠানের চাকুরি জিবি। দামি প্যান্টসার্ট পড়া। অথচ পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা মানুষটির কাছে নিজেকে মনে হচ্ছিল বামন। না তার শরিরের বিশালত্ব ছিলনা। কিন্তু হৃদয় এর বিশালত্ব আর স্নিগ্ধতা ছিল।

আপনাকে স্বাগতম ব্লগে।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫৭
145404
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আল্লাহ আপনার স্বপ্নকে সত্যি করে দিন । আমার ব্লগে আমন্ত্রণ রইল ।
১৩
194690
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৩৯
ভিশু লিখেছেন :
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন আপনাকে...Rose Rose Rose থামবেন না কিন্তু একটুও...Good Luck ইনশাআল্লাহ...Praying
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫৮
145405
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy Happy ইনশাল্লাহ !
১৪
194692
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৪৪
গেরিলা লিখেছেন : স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন আপনাকে...Rose Rose Rose থামবেন না কিন্তু একটুও...Good Luck ইনশাআল্লাহ
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:৫৯
145406
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ইনশাল্লাহ ! ভাল লাগল এই রোজ রোজ কনসেপ্ট ।
১৫
194697
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার পরিচয় পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো লেখকের মেয়ে ভালো লেখিকা না হয়ে যায়না। আপনার লেখার হাত সত্যিই চমৎকার।

আল্লাহ এ জ্ঞানী ভালো মানুষটিকে জান্নাতে নসীব করুন। আমিন।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০১
145407
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমিন ইয়া রব ।দোয়া অব্যাহত রাখবেন আশা করছি ।
১৬
194706
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার কত সৌভাগ্য একজন গর্বিত বাবার মেয়ে আপনি হিংসে হয় আপনাকে নিয়ে..... আসলেই আপনি একজন সৌভাগ্যশীলা। অভিনন্দন ব্লগে............মুক্ত মনে লিখে যান আপনার বাবাকে অনুপ্রেরনা বানিয়ে।
আর মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা তিনি আপনার বাবাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৩
145408
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপুরে ,এত দোয়া করলেন ! আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন । আমিন ।
১৭
194720
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৫৩
শিহাব আল মাহমুদ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৪
145409
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ।
১৮
194734
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : আমি লেখাটা পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম আমার অতীতে। অদ্ভুদভাবে আমার বাবাও ছিলেন বই পাগল। আমার ছোটবেলাতেই উনি আমাকে প্রচুর বই কিনে দিয়েছিলেন যার বেশিরভাগই ছিল বিখ্যাত সব মনিষীদের জীবনী।
আপনার লেখার সাথে আরো একাত্ব হবার কারণ হলো, শেখেরটেক ৮ নং রোডে আমিও দীর্ঘদিন ছিলাম। কাজেই সবকিছুই আমার নিজের ঘটনা মনে হচ্ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। লিখে যান।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৫
145411
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : তাই নাকি ,আপনিও ছিলেন ঐ গলিতে ! ৮ নম্বর তো তাহলে বই পাগলদের গলি ।
১৯
194747
১৯ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
নতুন মস লিখেছেন : আপু ভাল লাগল।
প্রতিটি ঘরে এমন বইঘর খেলার উপকরণের বিকল্প হিসেবে থাকলে কত্ত কত্ত জুম্মি নাহদিয়া জন্ম হবে।অসাধারণ।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৬
145412
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ নতুন মসকে । ব্লগে নিমন্ত্রণ রইল ।
২০
194772
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : অনেক পুরাতন লেখা আগে কোথায় যেন পড়েছিলাম মনে পড়ছে না। একদম হুবহু এই লেখাই
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৭
145413
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : হুম , এটা পুরনো লেখা । গত বছরের ।
২১
194777
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৪
চেয়ারম্যান লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো। মিসিউ মল্লিক ভাই।
আর নিয়মিত লেখা চাই
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৮
145414
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমিও মিসিউ আব্বু । ইনশাল্লাহ লিখব চেয়ারম্যান ।
২২
194779
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
নীল জোছনা লিখেছেন : এক কথায় অসাধারণ । চালিয়ে যান
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:০৮
145415
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক ।
২৩
194781
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : উফ কতদিন পর মল্লিক ভায়ের ছবি দেখলাম। নিয়মিত লিখবেন সে প্রত্যাশা করা কি খুব বেশি।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১১
145416
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : লিখতে চাই । দোয়া করবেন ।Happy
২৪
194782
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১৪
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : অসাধারণ!অসাধারণ!অসাধারণ! মুগ্ধতা ছড়ানো একটি পোস্ট! খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১২
145417
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy Happy অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । দোয়া চাই ।
২৫
194791
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৯
আবু জারীর লিখেছেন : বই দিয়ে ঘর সাজানোর আমারও খুব ইচ্ছে কিন্তু ঘরই নেই তাই সাজাব কি?
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১৩
145418
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ঘর না থাকলে কি আর করা , চারপাশটাকেই সাজিয়ে ফেলুন বই দিয়ে ।
২৬
194792
১৯ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : যাকে আমি মনে এবং বিশ্বাস করতাম - বাংলার শেখ সাদি। সেই মানুষটা সম্পর্কে যা লিখা হল -একমত - অসুস্থ হবার ক’মাস আগে আব্বু আবার সেই বইঘরটাকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। তবে কিছুটা লাইব্রেরীর আঙ্গিকে যাতে বই পত্রের হিসাব ঠিক থাকে, কেনাও হয়েছিল তিনটা বড়সড় আলমারী। কিন্তু আর হলো কই? মানুষটাই তো রইলোনা।
জেদ্দায় এই আল্রাহর ওলীকে খেদমত করার সুযোগ হয়েছিল।আমাকে মনে হয়েছে একজন চলমান সাহাবী আবুজর গেফারী (রাঃ)। অনুগ্রহ করে আমাদের প্রিয় ব্লগে নিয়মিত হবেন।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১৫
145419
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ,স্মৃতি শেয়ার করার জন্য । আমাদের এগুলো জানতে অন্যরকম ভাল লাগে । ধন্যবাদ ।
২৭
194818
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৫
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ! বাংলা সাহিত্য আরও একটা নক্ষত্রের উদয় হলো। "টুকটুক করে আব্বুকে বস্তা খোলায় সাহায্য করছে "টুকটাক বান্ধবী হয়েছে" নাজমীটা কটকট করে বলে উঠলো"যেডি ট্যাহা ফাইবেন অনেকডি জিনিস খাইতারবেন।"
আপনার নিজের ষ্টাইলে লেখা এই শব্দগুলি লেখাটিকে অসাধারন করে তুলেছে । বুয়ার মুখে 'খাইতারবেন' শব্দটা যেন আমি নিজের কানে শুনতে পাচ্ছি ।
কলম যেন থেমে না যায় ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের

ধন্যবাদ সম্পাদক সাহেবকে, স্টিকি করে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য

২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:১৬
145420
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ,একদম পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়ার জন্য । বারাকাল্লাহু ফী ।
২৮
194823
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
ইবনে হাসেম লিখেছেন : শ্রদ্ধেয় মল্লিক ভাইয়ের মেয়ের লিখা পড়ে অতীতের অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। সবচেয়ে যেই স্মৃতিটা আমার মানসপটে বেশী গভীর হয়ে আঁকা হয়ে আছে সেটা হলো সম্ভবতঃ ৮২ সালের দিকে বায়তুল মোকাররম এর পূর্ব দহলিজে মা্ওঃ সাঈদী সাহেবের এক মাহফিলে গাওয়া তাঁর সেই দরাজ গলার গান "দাও খোদা দাও হেথায় পূর্ণ ইসলামী সমাজ......", যেই দরদ দিয়ে সেদিন গানটি গেয়েছিলেন, আমার মনে হয় উপস্থিত নব্বই ভাগ শ্রোতা সেদিন সেই গানের গায়কীর আবেগকে ধারণ করে হু হু করে কাঁন্না করছিলেন..। সেই স্মৃতি কোনদিন ভূলার নয়। সেই দরবেশ ভাই এর সাথের আর একটি স্মৃতি আমার নিজস্ব সম্পদ হয়ে আছে। ৮২ সালেরই ঘটনা। ডাকসুর নির্বাচনে শিবির এর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সাইমুম এর সঙগীত পরিবেশনা চলছিল, আর ছাত্রলীগ এর সন্ত্রাসীরা সহ্য করতে না পেরে দিল শিল্পীদের মাঝে বোমা ছুড়ে। আহতদের অনেককেই ঢাকা মেডিকেল এ নেয়া হলো। মল্লিক ভাই ও ছিলেন তাদের একজন। হাসপাতালে এক আত্মীয় ভর্তি থাকার সুবাদে সেখানেই নিয়মিত থাকতে হতো, সুযোগটির সদ্ব্যবহার করে মল্লিক ভাইর সান্নিধ্যে থাকতাম বেশ সময়, তাঁর নামাজের সময় হলে তাঁকে তায়াম্মুমে সাহায্য করতাম...
এই চাচুর দোয়া রইলো তোমার প্রতি,পরিবারের সবার প্রতি।।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২০
145421
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান চাচু । এই দোয়াটাই আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২০
145422
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান চাচু । এই দোয়াটাই আমাদের পরিবারের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
২৯
194824
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
স্বপন১ লিখেছেন : আপু, আপনার লেখাটা হৃদ্বয় ছুঁয়ে গেল, অসাধারন লেখা এবং প্রাণবন্ত।মনে হচ্ছে মল্লিক ভাই আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছে ।ইসলামী আন্দোলন যারা করে। তাদের ছোটখাট একটা লাইব্রেরী থাকে। সেই সুবাদে দেশে আমারও একটা ছিল। বাহিরে( আমেরিকায়) আসার পর কয়েক বছর লেগেছে নুতন লাইব্রেরী সাজাতে। বর্তমানে
eLibrary রয়েছে। আশা করি লিখে যাবেন।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২২
145423
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ।ইসলামী আন্দোলন যারা করে। তাদের ছোটখাট একটা লাইব্রেরী থাকে। সেই সুবাদে দেশে আমারও একটা ছিল। বাহিরে( আমেরিকায়) আসার পর কয়েক বছর লেগেছে নুতন লাইব্রেরী সাজাতে। বর্তমানে
eLibrary রয়েছে। থাম্বস আপ !
৩০
194830
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ আপনি বেশ ভাগ্যবতী এরকম একটি লাইব্রেরী পাওয়ায়। আমার কাছে বই হারানোর কষ্ট কি যে?
সেটা হয়তো লিখে বুঝাতে পারবোনা আর আপনি কাজের আন্টির কথা শুনে যদি সত্যিই বই বিক্রি করে দিতেন তবে একটা অট্টচিৎকার দিতাম যেটা ব্লগেও হয়তো শুনতে পেতেন। বই বিক্রি না করাতে বেঁচে গেলেন। আপনার বাবার মত আল্লাহ আপনাকেও যেনো বইয়ের প্রতি মমতা দান করেন। আমিন।
আর এ ব্লগটির দ্বারা আমিও লাইব্রেরীর একটা ধারনা নিয়ে নিলাম। একদম অন্যরকম লাইব্রেরী।
আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতবাসী করুন এই কামনা করি।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক শুকরিয়া।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৫
145424
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আর আমি ব্লগে বসে চিৎকার শোনার ধারণা নিলাম । জাজাকাল্লাহু খাইরান ।
৩১
194842
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
নয়ন খান লিখেছেন : "তোমার সৃষ্টি যদি হয় এত সুন্দর না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর" আমার প্রিয় কবি, গায়ক, লেখক, গীতিকারের মেয়েকে ব্লগিং জগতে স্বাগতম।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৫
145425
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক অনেক ।
৩২
194848
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
অনুরণন লিখেছেন : দুর্দান্ত লেখা!
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৬
145426
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy
৩৩
194849
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : কবি মতিউর রহমান মল্লিক ভাইয়ের স্মৃতির উপর লেখাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৬
145427
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৪
194850
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৯
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমিও আপনার বাবার মত বই পাগল। তবে বইয়ের মধ্যে আমার পুরাতন বইয়ের প্রতি দুর্বলতা একটু বেশি তাই পুরান বইয়ের দোকানে প্রায় ঢু মারি।
একদিন এক লোক আমাকে পুরান বই কিনতে দেখে বললঃ এগুলোত পুরান বই ?
আমি বললামঃ ভাই বই কি কখনও পুরান হয়? বই একমাত্র জিনিস যা শত হাজার বছর পরেও যে পড়েনি তার জন্য চির নতুন থাকে । ঠিক যেন ঘোমটা পড়া নববধু ।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৭
145428
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : Happy
৩৫
194871
১৯ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
নূর আল আমিন লিখেছেন : ভালো লাগলো
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৭
145429
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
৩৬
194928
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৩৯
সাময়ীক লিখেছেন : মা সা আল্লাহ আপনার লিখার মান অনেক ভাল। আমার মনে হয় সেই মার্কটোয়েনের লাইব্রেরি থেকেও আপনার লাইব্রেরি অনেক বড় মনে হচ্ছে।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৮
145430
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অন্তত আমার তো কাছে বড় । আপনাকে ধন্যবাদ ।
৩৭
194930
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৪৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সম্ভবত আপনার লেখা প্রথম পড়ছি। প্রথমেই মাত করলেন। অসাধারণ স্মৃতিচারণ। লেখার নৈপূণ্যর জন্যে পড়তে বাধ্য হলাম। জাজাকাল্লাহ খায়রান। আপনার পিতারকে আল্লাহ জান্নাত দান করুন
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:২৯
145431
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফী । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৮
194932
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:৫২
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : জীবনের এই মরু বিয়াবানে
প্রাণ আনতেই হবে আনতেই হবে তোমাকে.।.।.।.।

মল্লিক ভাইয়ের সেই আহ্বান যেন কোনদিন না ভুলি ।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩২
145432
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন :
সেই আহ্বান যেন কোনদিন না ভুলি ।আল্লাহ সাহায্য করুন ।
৩৯
194956
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৪৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : পড়তে গিয়ে কেন জানি চোখ ভিজে এলো। সকালে ঘুম ভেঙে প্রায় প্রতিদিনই দেখতাম বাবা তাঁর পড়ার টেবিলে বসে লিখছেন। বাবা বলতেন কলম এবং কীবোর্ডই লেখকের অস্ত্র। এই অস্ত্রের ব্যবহারে লেখক নিজের চিন্তা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেন এবং ছড়িয়ে যান। ঘরের দেয়ালজুড়ে সাদামাটা বইয়ের আলমারিটা বাবার সবকিছু। আমার মনন, প্রকৃত বেড়ে ওঠা বাবার বইগুলোর সাথে। কত বিকেল যে মাঠে খেলতে না গিয়ে বাবার পুরাতন বইয়ের স্তুপে বসে বসে কাটিয়েছি! সারি সারি বইয়ের মাঝে কোন বইটা কোথায় রাখা না দেখে কিভাবে যেন ঠিক ঠিক বলে দিতে পারেন। দেশে গেলে বই কিনে নিজে যত্ন করে লাগেজ গুছিয়ে দেন। বয়স হয়েছে, শরীরের দিকে খেয়াল না করে এখনও বইয়ের জগতে ডুবে থাকেন বলে ফোনে মাঝে মাঝে রাগ করি। প্রবাসে বাবার দেয়া বইগুলোর মাঝে প্রতিনিয়ত বাবার অভাব অনুভব করে চলেছি।

আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা রইলো। বাবা-মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে লিখে যান নিয়মিত। শুভকামনা রইলো Rose Rose Good Luck
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩৯
145433
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : প্রবাসে বাবার দেয়া বইগুলোর মাঝে প্রতিনিয়ত বাবার অভাব অনুভব করে চলেছি। Applause Applause বাবাকে-সন্তানকে আল্লাহ নেক হায়াত দিন । আপনাদের জন্য শুভ কামনা ।
৪০
194970
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:১৪
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো আপু লেখাটি। Good Luck Rose
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪০
145434
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু Good Luck Happy
৪১
194993
১৯ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:৩৮
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আপনার লেখনিতে একটা অদৃশ্য আঠালো-শক্তি / ভীষণ-মিষ্টি-স্বাধ / এ্যাট্র্যাক্টিভ-পাওয়ার আছে যা আমার মতো অলস পাঠককেও লেখা পড়ে স্থির করে রাখতে সক্ষম। হতে হবে না? জুম্মি আপুতো 'পৃথিবির-শ্রেষ্ঠ-মানুষদের-মধ্যে-একজনে'র সুযোগ্য কন্যা। Rose Rose Rose Rose আল্লাহ যেন আপনার বাবা'র কবর (আমার বাবা'র কবরকেও) রাওজাতুম-মির-রিয়াজিল জান্নাহ বানিয়ে দেন Praying Praying

লিখতে থাকুন আপু, অপেক্ষায় থাকবো নিত্য নতুন পোস্ট পাওয়ার আশায়। যাজাকিল্লাহু খাইর। Praying Praying
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪১
145435
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমিন । সুযোগ্য সন্তান না হতে পারি কিন্তু কু সন্তান হতে চাই না । দোয়া করবেন বেশী বেশী । বারাকাল্লাহু ফী ।
৪২
195005
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ১২:০২
সালাহ খান লিখেছেন : এই কবি যে কত কোমল মানুষ ছিলেন , তা আমি ভাষায় বোঝাতে পারব না । আমি একবার ওনাকে বলেছিলাম , স্যার একটা কবিতা শোনাবেন , তারপর আমার আবদার অনুযায়ী উনি সাত সাগরের কবিতাটা শুনিয়ে দিলেন । আমি সাথে সাথে ওনাকে পকেট থেকে বের করে দশ টাকা উপহার দিলাম । আসলে সেদিন আমি উপহারটা দিয়ে নিজেই লজ্জা পেয়েছিলাম । মনে হয় উনি কিছু মনে করবেন । আসলে উনি সেদিন কি যে বেহেশতী একটা হাসি দিয়েছিলেন আমি বোঝাতে পারব না । সেই হাসি এখনও আমার কলিজায় দাগ কাটে । আজ কবিতা লিখছি , অথচ প্রিয় কবিকে ফোন করে বলতে পারছি না , স্যার আমার কবিতাটা শুনবেন । কবির জন্য শুভ কামনা রইল
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪৩
145437
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনার স্মৃতিটিও আমার কলিজায় দাগ কাটল । অনেক ধন্যবাদ ।
৪৩
195018
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৩২
নিশা৩ লিখেছেন : অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় কবির জীবন মন্চে উঁকি দেয়ার একটু সুযোগের জন্য।
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০২:৪৪
145438
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।Happy
৪৪
195029
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৩:৫৩
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনার লিখাখানি মনে হলো শীতের নরম রোদের কোমল পরশ মাখানো! মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আলহামদুলিল্লাহ! কতো সরলতা আর ভালোবাসার গহীনতা থেকে লিখেছেন, কৃত্রিমতার লেশ মাত্র নাই!অনেক ভালো লেগেছে!

আপনার বাবাকে আল্লাহ উনার জান্নাতি মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন! আপনাদের সবার জন্য দোআ ও শুভকামনা রইলো!
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
148631
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপু । এত সুন্দর কমপ্লিমেন্ট দিলেন !Good Luck
৪৫
195031
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৪:০৬
বিডি রকার লিখেছেন : মনে পড়ে, ছোট্ট মুন্না মনোযোগ দিয়ে ‘আম আঁটির ভেপু’ পড়তো আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতো;
--
সেই মানহা মুন্নার কি অবস্থা এখন ?? উনিও লেখালেখি করেন নাকি ?? Happy
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
148633
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : মুনহামান্না । সুরিয়ানী ভাষায় এর অর্থ মুহাম্মাদ । আমরা কেটে ছেঁটে মুন্না ডাকি । আছে আলহামদুলিল্লাহ । আব্বুর লেখালেখির ভাল দিকগুলো ও সবচেয়ে বেশী পেয়েছে । কিন্তু তেমন লেখেনা ।
৪৬
195057
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : তারা গুলো আজ যেন নিবে গেছে সব..........
নদী গুলো কেন যেন হয়েছে নিথর.......
কেন হৃদয় বিনায় আজ সূর উঠেনা...........
কেন মনের বেতারে আর গান বাজে না?
চোখ দুটি যেন গেছে আঁধারে ডেকে...........
কেন মন থেকে আমি কিছু ভাবী না????????
কেন দৃষ্টি থেকে ও আমি কিছু দেখি না??????
ভোরের শীতের আকাশ.........
কেঁদে কেঁদে যেন করে শুধু হা হোতাস......
পাখিদের গানে গানে.......
আর কোন ফুল ফুটেনা বাগানে??????
কেন জীবন আকাশে সূর্য হাসে না???
কেন মনের পাখিদের গানে আর মন ভরে না??????
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
148634
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ঠিক বলেছেন ।Yawn
৪৭
195058
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১০
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন :
তারা গুলো আজ যেন নিবে গেছে সব..........
নদী গুলো কেন যেন হয়েছে নিথর.......
কেন হৃদয় বিনায় আজ সূর উঠেনা...........
কেন মনের বেতারে আর গান বাজে না?
চোখ দুটি যেন গেছে আঁধারে ডেকে...........
কেন মন থেকে আমি কিছু ভাবী না????????
কেন দৃষ্টি থেকে ও আমি কিছু দেখি না??????
ভোরের শীতের আকাশ.........
কেঁদে কেঁদে যেন করে শুধু হা হোতাস......
পাখিদের গানে গানে.......
আর কোন ফুল ফুটেনা বাগানে??????
কেন জীবন আকাশে সূর্য হাসে না???
কেন মনের পাখিদের গানে আর মন ভরে না??????
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৮
145659
তারাচাঁদ লিখেছেন : http://www.youtube.com/watch?v=Wde2p4ZbqFM
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫২
148635
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
৪৮
195059
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:১২
আয়নাশাহ লিখেছেন : ভাল লাগছে মল্লিক ভাইএর ছেলেমানুষিকেও তোমরা মেনে নিয়েছিলে দেখে। নইলে এমন একটা গাঁথুনি গাঁথতে পারতেনা।
তোমার আব্বুর মতো আব্বু হতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারলাম কৈ? আমারও শখ ছিল,সধ্য ছিলনা। তবুও হাত দিয়েছিলাম। দারুন পরবাস সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। এখন মাঝে মাঝে আবদুল করিমের গান শুনি।
'আগের বাহাদুরী এখন গেলো কৈ?
চলিতে চরণ চলেনা দিনে দিনে অবস হই।'
আর ভাবি যদি আবার সেদিন ফিরিয়ে আনা যে্তো।
মল্লিক ভাইকে যেনো আল্লাহ ভাল রাখেন। আর তোমাদেরকেও।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
148636
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : পরবাসে বানিয়ে ফেলেন একটা । শুরু হোক । আমি পরবাসী । খুব ইচ্ছা ছোট একটা লাইব্রেরী করার । দোয়া করবেন ।
৪৯
195060
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৮:২১
প্রগতিশীল লিখেছেন : মল্লিক ভাই যখন অসুস্থ তখন একটা ভিডিও ডকুমেন্টরি দেখেছিলা আমার কাছে বোধহয় এখনো সেটা আছে..আসহাবে রাসুলের জীবন কথা বইটা তার শয্যায় দেখে অবাক হয়েছিলাম...বই পাগল মল্লিক ভাই...তার আর একটা ভিডিও দেখেছিলাম...রাজশাহীর এক বরই বাগানের যেখানে তিনি যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার কথা অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছিলেন...তবে এখন আর একটা জিনিস দেখি দিন শেষে ঘুমানোর আগে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মল্লিক ভাইয়ের গান শুনে প্রেরণাকে শানিত করে...ইসলামের খেদমতের জন্য শত শত মল্লিক প্রয়োজন তবে কবি সচারচর জন্ম নেয়না...আপনার এ লেখার প্রাণ মল্লিক ভাই...লিখে যান আপনিও...অনেক ভাল করবেন আশা করি...শেখের টেকে (১০) একসময় ছিলাম...কিন্তু এ প্রশাসন...এখন কেবলই লিখি আর কিছুই করিনা...গানের পাখি মল্লিক আমার অনুপ্রেরণা...
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
148638
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ভাল লাগল । লিখে যাবেন প্লিজ ।Happy
৫০
195089
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
আবু আশফাক লিখেছেন : অতি সাধারণ কথামালাও যে অসাধারণ সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে, তা এরকম লেখা না পড়লে জানা হতো না। মরহুম কবি মতিউর রহমান মল্লিকের সাথে সাক্ষাত হয়েছে মাত্র দু বার। একবার সাইমুমের মগবাজার অফিসে, অন্যবার সিরাজগঞ্জে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সিরাজগঞ্জে তিনি
''কেউ না করুক, আমি করবো কাজ'' গানটি গেয়ে আমাদের এতো মুগ্ধ করেছিলেন যে, ঐদিনই গানটি মুখস্ত করে ফেলেছিলাম।
দুআ করি, আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
148639
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ অনেক অনেক ।
৫১
195118
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
বিদ্যালো১ লিখেছেন : MashaAllah khub valo likhechen; khub valo laglo.

May Allah allow u fulfill your dream. i have a dream too.
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
148641
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমিন । আপনার স্বপ্নও সত্যি হোক ।Praying
৫২
195125
২০ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
শাহ আলম বাদশা লিখেছেন : জুম্মি, তোমার স্মৃতিচারণ খুব ভালো লাগলো; মল্লিক ভাইর সাথে আমার সম্পর্ক বহুবছরের ছিলো।

যখন মাসিক কলমে লিখতাম, তখন যোগাযোগ হতো, দেখা হতো মাঝে মাঝে।

আর আমার বাসার পাশে মোহাম্মদপুরের বিপরীতের সাহিত্যানুষ্ঠানে কতোই না কৌতুককর পরিবেশে সময় কাটাতাম আমরা।

তার পাঞ্জেরী কবিতার আবৃত্তি শুনতাম। তিনি প্রায়ই আমাকে অনুষ্ঠানে সভাপতির আসনে বসিয়ে দিতেন।
খুব খারাপ লাগে, যদিও মৃত্যুই আসল সত্য। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে রাখুন।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
148645
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : স্মৃতিগুলো সুন্দর । ভাল লাগে জানতে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৫৩
195143
২০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
রেজাউল ইসলাম লিখেছেন : May Allah grant him Jannah and show us the righteous path.
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
148646
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমিন ।
৫৪
195198
২০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার আব্বু আপনাদের একটি বইঘর দিয়ে গেছেন? অনেকের আব্বুর পক্ষে তৌফিক থাকলেও জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অভাবে বইঘর তো দূরের কথা বইয়ের মর্যাদা কি তাও বুঝেনা। আপনার আব্বু বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ কিশোরদের হৃদয়ে যে আলোর বীজ রোপন করে গেছেন এটাতেই তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

আমার একটি বইঘর ছিল, মনে পড়ে ক্লাস ফাইভ থেকেই সেই ঘর কে তিলে তিলে গড়ে তুুলেছি। প্রচুর বই ছিল সবই আমার পড়া বই, অনেক বই বিভিন্ন পাঠকেরা পড়ে ছিড়ে ফেলত মনে দুঃখ লাগত না। আমি নিজেই বই বাইন্ডারের কাছে গিয়ে বাইন্ডিং শিখে নিজের বইঘরের বইগুলোকে সতেজ করেছি। আমার বইঘরের মূল্য বুঝত শুধু একজন তিনি আমার আব্বা। তিনি আমার সংগৃহীত প্রতিটি বইয়ের পাতা তন্ন তন্ন করে পড়তন।

এরশাদের আমলে রাজনৈতিক হানাহানিতে একদা ছাত্রলীগের ছেলেরা বাড়ী জ্বালিয়ে দিতে এসেছিল। তাদের আক্রোশ ছিল বইয়ের উপর। কেননা ইসলামী বই পাওয়া গেছে এমন বহু বাড়ী ইতিপূর্বে জ্বালানো হয়েছে। বাবা বাড়ি রক্ষার্থে বহু ইসলামী বই নিজেই জ্বালিয়ে ফেলেন, অনেক গুলো পুকুরে ফেলে দেন।

আজকে আমি প্রবাসে, আজো অনেক বই পড়ে রয়েছে, তবে পড়ার মানুষ নাই। বইয়ের উপর বালির স্তুপ পড়ে যায়, তবে মূল্য দেবার মানুষ নাই। আমার পিতার সন্তানদের মাঝে আমিই পাঠক ছিলাম, এখন মনে হচ্ছে পুরো এলাকায় আমি ব্যতীত আর কোন পাঠক নাই।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
148648
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আবার একটা লাইব্রেরী হতে পারে এই প্রবাসেই । ওরা তো এটাই চায় যে আমরা পড়া থেকে দূরে থাকি । আল্লাহ কবুল করুন ।
৫৫
195206
২০ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
সত্যের সুবাতাস লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম আপু।লেখাটা আগে অনেকবার পড়েছি।আজ আবার পড়লাম।পড়ার সময় আপনার আব্বুর কথা খুব মনে পড়ছিল।আমরা একটা পত্রিকা বের করি।আগামী সংখায় আপনার আব্বুর লেখাও থাকবে একটা।আমরা আপনার এই লেখাটা আমাদের পত্রিকায় দিতে চাই।আপনি অনুমতি দিলে খুশি হব।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
148649
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ । অবশ্যই নিতে পারেন ।Happy
৫৬
195229
২০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
সত্যের সুবাতাস লিখেছেন : লেখাটি আমি নিলাম।আপনার অনুমতি পেলে প্রকাশ করব।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
148650
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : লেখাটি নেয়ার জন্য ধন্যবাদ
০১ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৯
151051
সত্যের সুবাতাস লিখেছেন : অনুমতি দেওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫৭
195251
২০ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
এক্টিভিষ্ট লিখেছেন : ভালো লাগলো । নিয়মিত চাই
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
148651
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ইনশাল্লাহ । লিখবো ।
৫৮
195378
২০ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৮
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : অসাধারণ লিখা, নিয়মিত লিখা চাই। আপনার লিখার মাঝে মল্লিক ভাইয়ের ঘ্রানটা নিয়ে নেব.।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৩
148652
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমি আব্বুর জীবন থেকে নেয়া কিছু লিখব ইনশাল্লাহ । পরিপক্ক , গোছানো হয়ত হবেনা । পড়ার আমন্ত্রণ রইল ।
৫৯
195650
২১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৬
মাহফুজা শিরিন লিখেছেন : সত্যি!অসাধারণ!চোখে পানি চলে এল।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
148654
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ আপুHappy
৬০
195709
২১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:১৩
আধা শিক্ষিত মানুষ লিখেছেন : পড়তে পড়েতে হারিয়ে গিয়েছিলাম স্মৃতির পাতায়। চট্টগ্রামের গুনীজন সংবর্ধনায় যে কবি হয়েছিলেন সংবর্ধিত। কিন্তু তার বক্তব্যে বলেছিলেনঃ আমার ভাবতে অবাক লাগছে যে, আজ অনেক গুনি মানুষের সাথে একটা পিপিলিকাকেও সম্মাণ দেয়া হচ্ছে।
সত্যিই তুমি আমাদের জন্য আদর্শ। কিন্তু আমরা আদর্শ হতে পারিনি। মল্লিক ভাইয়ের মতো যেমন বাবা হতে পারিনি। তেমনি করে জুম্মিদের বাবাও হতে পারিনি।
ভাল থেকো মা। নিশ্চয়ই জান্নাতে বসে তোমার বাবা এই লেখাটা পড়ে তৃপ্তির হাসি হাসছে আর তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:০৯
148655
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : কি লেখা উচিৎ জানিনা । আপনাদের এরকম অভিব্যক্তি থেকে আমার দ্বিধার জট খোলে ।আব্বু আমাদের সময় কম দিতেন বলে অনেক অভিযোগ ছিল । কিন্তু উনি চলে যাওয়ার পর উপলব্ধি করছি ,আব্বু আমাদের অনেক বেশী সময় দিলে আজকে উনি শুধু আমাদের থাকতেন - সবার হতেন না ।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
148670
আধা শিক্ষিত মানুষ লিখেছেন : জুম্মি! মনে করো তোমার বাবা তার জীবনে একটিও সওয়াবের কাজ করেনি। কিন্তু আমার মতো কোটি কোটি যুবককে অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা হতে বাঁচিয়ে রেখেছে তোমার বাবার রচনা আর গান সমূহ।
এখন তোমার বাবার রব যদি কেবল এই জিনিসটার প্রতিদান দেন, তাহলে তোমার বাবার অবস্থানটা কোথায় হতে পারে??
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩৮
174750
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আমার কেন যেন মনে হয় , যে কথামালাগুলো দোয়ার কাজ করে , আল্লাহ সেই লেখকের গুনাহগুলো কথামালার উসিলায় হলেও মাফ করে দেবেন বলে আশা জাগে ।
৬১
197089
২৪ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : ক্লাস নাইনে ভর্তি হওয়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে উপজেলার ভাল হাইস্কুলে ভর্তি করে দিলেন আমার বাবা । সেই স্কুলে বাংলা পড়াতেন কোখন স্যার নামের এক (নষ্ট)প্রতিভাবান কবি। তার দুটি কবিতার বইও তখন স্থানিয় দোকান গুলোতে পাওয়া যেত, এবং তাকে যত দেখতাম ততই বিস্মিত হতাম! ইনি কবি! ইনি লেখক! কি বিস্ময় আহ্ কি বিস্ময়! স্যারকে ফলো করতাম নিয়মিত এবং স্যারের এসিট্যান্টও হয়ে গেলাম একসময়। বঙ্কিম,শরৎ, বিভূতি ভূষণ, এই টাইপের সব লেখকের বইয়ের প্রতি আমার জোক ছিল অন্যান্য পড়া এবং কাজের চেয়েও বেশি, এমনিতেই বিরূপ পরিবেশে প্রভাবিত হয়ে নামাজ দোয়া কম পড়তাম, একদিন পড়লাম রবিন্দ্রনাথের "ধুলামন্দির" কবিতাটি, সেটি পড়ে ধরে নিলাম নামাজ রোজার কাজ নাই। আমার এই অর্ধামিকতা দেখে আমার বাবা, মা, দুজনেই চরম হতাশ। অনেক দোয়া দরুদ এমনকি হুজুর ডেকে ওয়াজ পড়ানোর ব্যাবস্থাও করলো। আমার র্ধামিক হওয়ার ব্যাপারে কোন পরির্বতন হচ্ছেই না। এর মধ্যে আমার বাবা একদিন প্রত্যাশা নামক একটি ইসলামি সংগীতের বই কিনে আমকে বললেন, তুমিতো অনেক বই পড়, যদি সময় পাওয়া অন্যান্য বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে এই বইটিও পড়িও। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি আপনার বাবার প্রত্যাশা নামক ইসলামি সংগীতের বইটি পড়েছি মুগ্ধ হয়েছি, ভেবেছি এতো শধু ইসলামি সংজ্ঞিত নয় চরম বাস্তবতাও, বিশেষ করে "সত্য বলা যাবেনা
যথই চলুক বাহানা্,
খোদার দ্রুহী শক্তি গুলো পড়ছে বেকায়দাই" টাইপের অনেক সংগীত । আপনার বাবার লিখাটি আগ্রহ নিয়ে পড়ছি দেখে বাবা আরেকটি বই দিলেন মাও. মহিউদ্দীনের লেখা "কিশোরদের মুহাম্মাদ (সাHappy এর পর আমি নিজ উদ্যেগেই একে একে এ যুগের নসিম হিজাজী, মাওলানা আব্দুর রহিম, মাও. মহিউদ্দীন খান, মাও. আবুল আলা মওদুদি (রাHappy বই গোগ্রাসে গিলেছি, আর ইসলামিক ফিলোসপিতে শান্তি এবং প্রগতীর উত্তানে সর্বজন এক্সসেপ্টবল পথ এখনো খুজে বেড়াচ্ছি। আর আমার বিপথ ছেড়ে সুপথে দেখানোতে আপনার বাবা অনেকজনের মধ্যে অন্যতম একজন পথ প্রর্দশক তাই আপনার বাবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আপনি সেই বাবার সন্তান, যে বাবা কত-শত বাবার বকে যাওয়া সন্তানদের সুজা করার চাকরি করেছেন "ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত" আল্লাহ্ ওনাকে এবং ওনার পরিবার/স্বজনদের আজীবন অনুগ্রহ দান করবেন এই প্রর্থানাই রইলো।
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১০
148656
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , অনুভূতি জানানোর জন্য । ভাল থাকবেন ।
৬২
197183
২৪ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : কার লিখেছেন
৬৩
197676
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : তুমি নিমন্ত্রন দেবার আগেই পড়েছি আমি লেখাটা। তোমাকেও খুব মিস করি ঢাকায়...ভাগ্নেটা ভালোতো??
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
148657
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : আপু আপনি কি তিনি যাকে আমি চিনি ? গতদিন আপনার ব্লগের সাথে প্রথম পরিচয় হল । এত ভাল লেখেন এতদিন পরে জানলাম কিভাবে ? ভাগ্নে ভাল আলহামদুলিল্লাহ ।
২৭ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
148833
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : হ্যা। আমি তিনিই Happy আসলে আমি ব্লগে খুব একটা কমফোর্ট ফিল করিনাতো তাই লেখা হয়নাই তেমন। আমি পত্রিকার মানুষ ওখানেই আনন্দ পাই বেশি। ইদানীং চেষ্টা করছি এই জগতটার সাথে পরিচিত হতে। তোমাকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে দারুন লাগছে।
৬৪
222155
১৬ মে ২০১৪ রাত ১২:২৪
সত্যের সুবাতাস লিখেছেন : Rose Rose Rose আপনার এই লেখাটা "পারাবার সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ,চট্টগ্রাম" কর্তৃক প্রকাশিত ত্রৈমাসিক "উন্মুখ" এ মে ২০১৪ সংখ্যায় ছাপানো হয়েছে।আপনার সৌজন্য কপি কিভাবে পাঠাতে পারি জানালে খুশি হব। Rose Rose Rose
২৯ মে ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
174745
জুম্মি নাহদিয়া লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । মন্তব্যটা আজই পড়লাম । সৌজন্য সংখ্যা পেতে কার না ভাল লাগে কিন্তু আমার এখানে পাঠাতে কষ্ট হয়ে যাবে না ?
০৬ জুলাই ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
188114
সত্যের সুবাতাস লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে।আমি আপনার ফেইজবুক এ এস এম এস করব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File