''সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবী বনাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা''
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৮ মার্চ, ২০১৭, ০৩:৫৬:৪৮ রাত
সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর ছবি আগে ছিলনা। যতদূর মনে পড়ে বা ছবিতে দেখি তাতে সেখানে পানির ঝর্ণা ছিল। কেন সেখানে দেবীর মূর্তি টানাতে হবে? যার মূর্তি বানানো হয়েছে তার সাথে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের আদৌ কোন সম্পর্ক নাই।
ওখানে মূর্তি না বানালে হিন্দু ধর্মের ভাই বোনেরা বলবেন না যে তাদের ধর্মের অবমাননা হয়েছে। কিন্তু মূর্তি যেহেতু ইসলাম সমর্থন করেনা তাই সঙ্গত কারণেই ৯০ শতাংশ মুসলমানের মনে ক্ষোভ জন্ম নেবে- কেন সেখানে মূর্তি বানাতে হবে? স্বাভাবিক কারণেই মুসলমানদের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব তৈরি হবে - আর তখনই আওয়ামিলীগ আসল খেলায় মেতে উঠবে, জঙ্গী আখ্যা দেবে, হামলা- মামলা করবে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে - এরকম ডজন খানেক কারণ বানাবে অকারণে। অথচ আগে এখানে কোন মূর্তি ছিল না।
বরাবরই আওয়ামিলীগ হিন্দু- মুসলিম ইস্যু সামনে এনে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। সব সময় আওয়ামিলীগের আমলেই সাম্প্রদায়িক উস্কানী মূলক কার্যকলাপ বেশী পরিলক্ষিত হয়। আর হাল সময়ে পাশের দেশে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকারের সময় সাম্প্রদায়িক উস্কানী মূলক রাজনৈতিক অপ তৎপরতা তাদেরকে প্রতিবেশী দেশের কাছাকাছি করে দেয়। বিনা নির্বাচনে তারা টিকিয়েও রাখে।
দেশে হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে নিরাপদ, আমি কোন মুসলমানকে দেখিনি তার প্রতিবেশী কোন হিন্দুকে ছোট করে দেখতে, না তাদের উপাসনালয় ভাঙতে, লেন দেন সামাজিক কর্মকাণ্ড শত শত বছর ধরে আমাদের দেশে চলে আসছে একসাথে - কোন প্রশ্ন উঠেনি। কিন্তু এই আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় এসেই চিল্লা পাল্লা করবে- সাম্প্রদায়িক প্রীতি নাকি নষ্ট হচ্ছে। হবে না কেন? ছাত্রলীগ যুবলীগ কে দিয়ে হিন্দুদের বাড়ি ঘর, উপাসনালয় পুড়িয়ে দোষ চাপানো হয়েছে জামায়াত- শিবির আর বি এন পির উপর- অসংখ্য বার পত্রিকায় এসেছে।
এখন আবার বলা হচ্ছে সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর ছবি আর মঙ্গল শোভা-যাত্রা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
- অঞ্জন রায়, একুশে টিভি
আগে বলতো ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র আর বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।
অথচ কোথাও ১,ধর্মনিরপেক্ষতা, ২, সমাজতন্ত্র আর ৩, বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হিসেবে উল্লেখ নাই।
মূলত যারা বলেন ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র আর বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, তারা ভুল এবং মিথ্যা বলছেন।
কারণ পড়ে দেখুন তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরে স্বাধীনতার যে ঘোষণা পত্র তৈরি করা হয় সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা -
ক) সাম্য
খ) মানবিক মর্যাদা ও
গ) সামাজিক ইনসাফ - এই ৩টির কথা বলা হয়েছে।
স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র"
1. উইকিপিডিয়া https://en.wikipedia.org/wiki/Proclamation_of_Bangladeshi_Independence
2. বাংলাপিডিয়া
http://en.banglapedia.org/index.php?title=Proclamation_of_Independence
এই ভাবে লিখা আছেঃ in order to ensure for the people of Bangladesh A) equality, B) human dignity and C)social justice......
এই অঞ্জন রায়'রা মুক্তিযুদ্ধ আর দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
( পড়ে দেখুন তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র, তৃতীয় খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ৪-৭,, History of Bangladesh War of Independence: Documents, Vol. 3, Ministry of Information, Government of the Peoples' Republic of Bangladesh, Dhaka, 1982, pp. 4-7.)
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন