''দ্রোহী না তোষামোদি "
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২৮ আগস্ট, ২০১৬, ১০:৩১:৩৯ রাত
প্রিয় কবি হে !
আপনার জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে
এখানে বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি হয়
কিন্তু তা কাউকে কাঁপিয়ে তুলেনা
এখানে গান হয় , আবৃত্তি হয়, আনন্দ হয়
কিন্তু কেউ তার মর্ম বুঝেনা
এখানে ''মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিও ভাই বাজানো'' হয়,
সবাই শোনে, সবাই গায়
কিন্তু সেই বাসনা আর কেউ পোষণ করেনা
এখানে আপনার গান হয়, আবৃত্তি হয়
কিন্তু গলার চেয়ে যন্ত্রের সুর বেশি
মনকে তা নাড়া দেয়না
প্রিয় কবি হে!
আপনি ছিলেন দ্রোহের কবি, সাম্যের কবি
কিন্তু এখানে শোষণ দেখেও কেউ দ্রোহী নয়
সবাই যেন সুযোগী
কবি হে,
এখানে শোষকও আপনার থেকে প্রেরণা নেয়
শোষণের মধ্যেই ডুবে থাকে
এখানে তোমায় নিয়ে ''শোক'' হয়
কিন্তু ''শিক্ষা'' হয়না
এখন কেন শোষণের বিরুদ্ধে তাঁর মত কলম ধরেনা? মানবতা আর সাম্যের গান গায়না? কেন বিদ্রোহী হয়ে উঠেনা ? সবাই কেন এখন তোষামোদি ?
সমাজে সব অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কবি। তাঁকে বিদ্রোহী করে তুলেছিল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্য। আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। মানবতা ও সাম্যের জয়গান গেয়েছেন মুক্ত কণ্ঠে। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষুরধার লেখনী ছিল অব্যাহত। বাংলা কাব্য ও সংগীতে কাজী নজরুল ইসলাম এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিলেন তাঁর অনন্য প্রতিভায়।
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতীয় কবির গান ও কবিতা সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে দেশের মুক্তিকামী মানুষকে। তাঁর চেতনা ও আদর্শ চিরভাস্বর হয়ে আছে আমাদের জীবনে।
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন