''যারা বলেন ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র আর বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, তারা প্রতারণা ও বিশ্বাস ঘাতকতা করছেন"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০১ মার্চ, ২০১৬, ০৭:৪০:৫৯ সন্ধ্যা
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নাকি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সম্প্রতি সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেওয়ার নিমিত্তে ২৮ বছর আগের করা রিট শুনানীর জন্য আলোচনায় এসেছে। ১৯৭২ এর সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সংযুক্ত ছিলনা। যদিও এই চেতনাকে সামনে রেখে দেশ স্বাধীন হয়নি। পরে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে সংশোধনীর মাধ্যমে তা সংযুক্ত হয়।
মূলত যারা বলেন ধর্ম নিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র আর বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, তারা ভুল এবং মিথ্যা বলছেন। কারণ পড়ে দেখুন তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার যে ঘোষণা পত্র তৈরি করা হয় সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা -
ক) সাম্য
খ) মানবিক মর্যাদা ও
গ) সামাজিক ইনসাফ - এই ৩টির কথা বলা হয়েছে।
(আর এই ৩টির প্রতিষ্ঠায় মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন- খেলাফতে রবুবিয়াত তথা আল্লাহর খেলাফত কায়েমের মাধ্যমেই একমাত্র তা সম্ভব।)
Please Read here: "Proclamation of Independence -স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র" http://www.bpedia.org/P_0289.php ,
এই ভাবে লিখা আছেঃ in order to ensure for the people of Bangladesh A) equality, B) human dignity and C)social justice......
কোথাও ১,ধর্মনিরপেক্ষতা, ২, সমাজতন্ত্র আর ৩, বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ উল্লেখ নাই। কারণ নিম্নের এই সকল কারণে এই ৩টি মেনে নেওয়া যায়না।
১, ধর্মনিরপেক্ষতাঃ গণতন্ত্র নিজেই একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যার মানে হলো কেউ কারো ধর্ম পালনে বাঁধা সৃষ্টি করবে না। যেখানে গণতন্ত্র আছে সেখানে আলাদা করে আবার ধর্মনিরপেক্ষতার দরকার পড়ে না। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই সকল মত ও ধর্মের প্রতিফলন ঘটবে। ইউরোপ- আমেরিকায় ধর্মনিরপেক্ষতা হল অপরের প্রতি শ্রদ্ধা,সহনশীলতা, ঔদার্য, বাক স্বাধীনতা। কিন্তু বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষ হিসেবে। যদি গণতন্ত্র থাকে , বাড়তি ধর্মনিরপেক্ষতার মানে হল আপনি বাংলাদেশ থেকে ইসলাম উৎখাত করতে চান, আপনি বাংলাদেশে মুসলমানদের থেকে ইসলামকে উৎখাত করতে চান। আমরা এটা মানবোনা।
২, বাঙ্গালী জতীয়তাবাদ: এটি racism । মানে হল বাংলাদেশে বাঙ্গালী ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। তাদের কথা সত্য হলে মানে দাঁড়ালো- বাংলাদেশ হল একটি racist রাষ্ট্র। যা আমরা মানিনা। অপরপক্ষে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ মেনে নিলে কোলকাতা বাংলাদেশের হয়ে যায় অথবা বাংলাদেশের বাঙ্গালীরা ভারতের হয়ে যায়। যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
৩, সমাজতন্ত্রঃ সমাজতন্ত্র মানেই প্রগতিশীলতা নয়। মার্ক্সের বইতে তা বলা আছে। এর বিভিন্ন রকম আছে। সবার সমাজতন্ত্র ভালো নয়, গ্রহণ যোগ্য নয়। কারণ হিটলারের সমাজতন্ত্র ছিল। মুসোলিনের সমাজতন্ত্র ছিল। সমাজতন্ত্র fascist দেরও দর্শন হতে পারে। কাজেই এটাও গ্রহণযোগ্য নয়।
- লন্ডনে দেওয়া জনাব ফরহাদ মাজহারের বক্তব্য অবলম্বনে।
বিষয়: বিবিধ
১১৬৫ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন