"জুমার খুৎবায় পুলিশ, ওলামা মাশায়েখের বৈঠক, পীস টিভি বন্ধের সুপারিশ"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:০৮:৫৪ রাত
ইমাম আবু হানিফা রহঃ তৎকালীন শাসকের কথা মত না চলায় তাকে কারাবরণ করতে হয়। তবুও তিনি ইসলামের বিষয়ে তাদের সাথে কম্প্রোমাইজ করেন নি।
আর এমন আলেমদের সম্পর্কেই মহান আল্লাহ তায়া'লা পবিত্র কোরআনে সুরা ফাতিরের ২৮ নং আয়াতে বলেছেনঃ " আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই (আলেমরা) কেবল তাঁকে ভয় করে।"
নবী কারীম সাঃ এমন আলেমদের সম্পর্কেই বলেছেন- আলেমগণ নবীদের উত্তরাধিকার।
আর আমাদের দেশের তথাকথিত ওলামা মাশায়েখ, ওলামালীগ, দরবারী আলেম, শাহবাগী আলেম, সরকারী সুবিধা আদায়ে হক গোপন কারী ও শাসক গোষ্ঠীর প্রশংসাকারী ভণ্ড আলেমরা আওয়ামিলীগের প্রকাশ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পুলিশ প্রধানের সাথে বৈঠক করে ঢাকার মসজীদ সমুহে জুমার খুৎবায় পুলিশের গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগের ও পীস টিভি বন্ধের সুপারিশ করেছে।
আলেমদের দায়িত্ব যেখানে সবার আগে হক কথা বলা, সত্যের আদেশ ও অসত্যের নির্দেশ বাস্তবায়নে সক্রিয় ভুমিকা পালন করার কথা সেখানে তারা মসজীদে মসজীদে জুমার খুৎবায় পুলিশ নিয়োগের সুপারিশ করে মূলত তারা তাদের প্রকৃত পরিচয় উন্মোচন করলো, সাথে সাথে তারা এও জানান দিলো যে ইসলাম বিরোধীতা কারীদের সাথে তাদের গাঁয়ের পোশাক, মাথার টুপি আর মুখের দাঁড়ি ছাড়া আর কোন তফাৎ নেই।
ভারতের স্টার জলসা, জী টিভি, স্টার প্লাস প্রভৃতি চ্যানেল যখন আমাদের তরুণ প্রজন্মের চরিত্র বিনষ্টকারী প্রোগ্রাম নিয়ে সারা বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে তখন কি কেউ এইসব আলেমদের দেখেছেন প্রতিবাদ করতে?
অথচ ঈমান, ইসলাম ও সৎ-চরিত্র তৈরি করে এমন প্রোগ্রাম নিয়ে যখন জনপ্রিয় পীস টিভি তাদের প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তখন এই ভণ্ড দরবারী আলেমরা এটি বন্ধে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এর আগে অবৈধ এই সরকার দিগন্ত, ইসলামিক ও একুশে টি ভি বন্ধ করে দিয়েছে।
আর এমন আলেমদের সম্পর্কে হাদীসের ঘোষণা- এইসব আলেমরাই আদালতে আখেরাতে সবার আগে ধরা খেয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবুল হাকাম যেমন আবু জাহেল এ পর্যবসিত হয়েছে - কে জানে এমন আলেমদের ও অমন কোন অহমিকার রোগ পেয়ে বসেছে কিনা?
আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মসজিদে নববীতে রাসুল সঃ খুতবা দেবার আগে উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত মানুষকে মনোযোগ দিয়ে শুনার জন্য আহ্বান জানাত। মদীনার অর্ডিনারী মানুষের বিন্দু মাত্র সন্দেহ হতনা যে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই গোপনে রাসুলের সঃ বিরুদ্ধাচারন করে। আর আবুদুল্লাহ্ ইবনে উবাই নিজেও বুঝতে পারেনি - রাসুলুল্লাহর সঃ ক্লোজ প্রক্সিমিটেতে থেকে, রাসুলুল্লাহর সাথে একই জামায়াতে নামাজ পড়েও কিভাবে সে নিজেকে নিজে দোজখের তলানীতে পৌছাচ্ছে? আবার সেই উবাইকে আমরা দেখতে পাই মরার আগে রাসুল সঃ এর জামা কাফন হিসাবে চেয়ে নিতে। সো কে জানে আমাদের এই সকল আলেম ওলামাদের কে কোথায় কিভাবে কখন আবদুল্লাহ ইবনে উবাই য়ের পদান্ক অনুসরন করছে?
আল্লাহ ওনাদেরকে হেদায়েত দিক - ন্যায়ের পক্ষে থাকার, সত্যের পক্ষে থাকার।
(এই পীর-মাশায়েখগণ নাকি ঈমাম আবু হানিফার অনুসারী!?!)
মন্তব্য করতে লগইন করুন