এটি না বললেও অবিচার করা হবে যে, ১৯৮২ আর ২০১০ এক কথা নয়।
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:০০:৪৮ সকাল
হ্যাঁ, হয়তো এটি সেই জায়গা নয়, হয়তো এটি সেই সময়ও নয়। আমরা "মাফ করেছি আর মাফ চাই" এই কথা আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি বলেই ২০১০ নিয়ে আমরা এখনও নীরবই আছি, নীরব থাকতে হয়েছে।
তবে এটি না বললেও অবিচার করা হবে যে, ১৯৮২ আর ২০১০ এক কথা নয়।
‘’১৯৮২ সালের কথকতা’’ লিখনিতে অনেক ইতিহাস লিখা হলেও কয়েকটা বিষয় অনুল্লিখিত থেকেছে বিশেষ করে কোন কোন অভিযোগে সদস্যগণ "অনাস্থাপত্র" দিয়েছিলেন। এই প্রশ্নের আলোকে সংগঠনের ভেতরে বিশৃংখলা করে যুবশিবির গঠনের মাধ্যমে আর একটা shadow শিবির বানিয়ে তাঁরা ছিটকে পড়েছিলেন।
আর ২০১০ সালে অধিকাংশ কার্যকরী পরিষদের ( সম্ভবত ২৭ জন, ৪২ জনের মধ্যে) সদস্যবৃন্দ অনাস্থা দেওয়ার পরও সেই অনাস্থাকৃত নেতৃবৃন্দ ছিটকে পড়েননি, বরং অধিকাংশই ( পরিষদ মেম্বার) ছিটকে পড়েছেন।এটি অনুধাবনে ভুল করলে ভবিষ্যতে আরো ভুল হবার সমুহ আশঙ্কা রয়েছে। ২০১০ এর ঘটনায় আমরা প্রত্যেকে কষ্ট পেয়েছি। অনেককে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেছি। চাপা কষ্ট বুকে চেপে ধরেছেন অনেকেই, আর অনেকেই মাফ করেছেন, মাফ চেয়েছেন। কারণ সময়টা প্রতিকূল।
"১৯৮২ বা ২০১০ এর ঘটনা বার বার আলোচনা ইতিহাসের দ্বায়বদ্ধতা হতে পারেনা" কথাটি সত্য নয়।কারন Natural Laws and Processes এর একটা principle আছে যাকে বলা হয় Uniformitarianism আর সেটা হল ‘‘The present is the key to the past’’ সুতরাং বলা যায় ১৯৮২ এর পরে ২০১০ ঘটলো কী করে আর এই শেষ বারে জামায়াত আগের বারের মত সুবিচার করেনি।
ফলে অনেক কূড়ি অংকুরেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, অসংখ্য গোলাপের সৌন্দর্য ও সুঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, অথচ কথা ছিল মালীর সযত্ন দায়িত্ব পালনের; তারপরও বোধ হয় বলা ঠিক নয় যে ইতিহাসের দ্বায়বদ্ধতা নেই।
আজকের কর্মী যেহেতু আগামীর কান্ডারী আর আমরা বিশ্বাস করি তাঁদের রয়েছে সঠিক বোধশক্তি আর পরিবেশ- পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা, সুতরাং সেটাই আমাদের আগত দিনে সোনালী সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা, ইনশাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা যেবার মুরুববিদের নেক নজরে ছিল
তারা সেবার টিকে গেছে..
আর সমস্যাটাই হল এখানে মুরুববিদের দ্বারা সেকরেটারি নিররবাচিত হচছে পরে সেই সভাপতি হচছে এভাবেই চলছে..
আমরা মফিজ সদস্যরা ভোট দেই আর ভাবি নেতরিত্ব উপর থেকে আসে.. ঠিকই উপর তবে বেশি উপর নয় মুরুববি পরযনত....
কিনতু বিধিবাম..
যে তিনজন বাগড়া দিয়েছে সভাপতি আর হতে পারেনি...
সত্য সমাগত মিথ্যা.... আমরাই বিশ্বাস করিনা...
জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন