মানুষ শরীরে বাঁচে না , মানুষ বেঁচে থেকে কর্মে ও আদর্শে
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩৬:২৩ বিকাল
জনাব কামারুজ্জামানের কণ্ঠ রোধ করতে হলে বাংলাদেশে কোটি ফাঁসির আয়োজন করতে হবে।ওহে অবুঝের দল, মানুষ শরীরে বাঁচে না , মানুষ বেঁচে থেকে কর্মে ও আদর্শে। প্রিয় নেতা শ্রদ্ধেয় শহীদ কামারুজ্জামান ও শহীদ আঃ কাদের মোল্লা তেমনি দুইজন- সাহসী বীর। তাঁরা যে মরেও বেঁচে আছেন, আল্লাহর ওয়াদা আল কোরআনে। তোমরা কীভাবে তাদের মারার দুঃসাহস দেখাও!!!
আসল বিচার হবে হাশরের মাঠে, দেখা হবে সেদিন; প্রস্তুত আছো তোমরা?
কেন ও কী অপরাধ তাঁদের?
১, তারা তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিল শুধু এ কারণে যে, তারা প্রশংসিত, পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আল কোরআন ৮৫ঃ৮
২, যদি তোমার জন্য ফাঁসির জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয় তাহলে বুঝবে যে তোমার দাওয়াত প্রচার কাজে লাগছে।
৩, বি এন পি একা ভোট পায় ৩৭-৩৮%, আওয়ামিলীগ পায় ৪০-৪১%, আর জামায়াতের ভোট ৭-১১% ( সংসদীয় গণতন্ত্র আসার পর বিভিন্ন নির্বাচনে), জামায়াত- বি এন পি জোট হলে আওয়ামিলীগ পরাজিত হয়। আর তাই জামায়াত হলো আওয়ামিলীগের প্রধান শত্রু। ২০০১ সালের আগ পর্যন্ত জামায়াত নেতারা ছিলেন নিছক স্বাধীনতা বিরোধী (!), বিএনপির সাথে জোট করার পর থেকে আওয়ামিলীগ ও বাম রা ভোটে পরাজিত হয়। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে রুপান্তরিত হয়, যা তাঁদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।বাংলাদেশকে Constitutionally এবং Institutionally ধর্মহীন তথা ইসলামহীন হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বড় ও একমাত্র বাঁধা হল এই জামায়াতে ইসলামী। তাই জামায়াতের কণ্ঠ রোধ এবং সৎ ও আদর্শ নির্ভর ইসলামী মতাদর্শে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত গঠন করা হয় আওয়ামি- ট্রাইব্যুনাল। আর আদর্শবান নেতাদের বানানো হয় যুদ্ধাপরাধী।
বাস্তবতাঃ
দেশ ভাগের সময় " অবিভক্ত পাকিস্তানের সমর্থক" থাকা আর মানবতা বিরোধী অপরাধ এক নয়।একটি দেশ যখন ভাগ হয় তখন সবাই একই মতের একই প্লাটফর্মে একত্রিত হওয়াটা চিন্তা করা সহজ কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিল পাকিস্তানি আর্মি ও তৎকালীন সরকার। কিন্তু ৭১ এর পরপরই স্বাধীন দেশে সেই যুদ্ধাপরাধী নেতাদের শেখ মুজিব সাহেব সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। জামায়াত নেতারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন এমন কোন প্রমাণ সরকার দিতে পারেনি।
১৯৭৪ সালে আবুল মনসুর আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখা এক কলামে লিখেছিলেন "১৯৭১ এ মুসলিম লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল রাজনৈতিক কারনে।সেটা কোন অপরাধ না। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তারা যদি বাংলাদেশ কে অস্বীকার করতো সেটা হোত রাষ্ট্রদ্রোহীতা- সেটা অপরাধ।
সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের ৫৫% মানুষ দেশ ভাগ না চেয়ে "নো" ভোট দিয়েছে, ৪৫% ইয়েস বলে ইংল্যান্ড থেকে আলাদা হতে চেয়েছিল। তাহলে কী "নো" ভোট প্রদানকারী সবাই রাজাকার? ঠিক একই রকম ঘটেছে উনাদের বেলায়ও।
জামায়াত নেতাগণ ৭১ এর আগে যেমন দেশের জন্য ৪৮-৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের কাজ করেছেন- অনেকবার কারাবরণ করেছেন, প্রফেসর গোলাম কারমাইকেল কলেজের চাকরী হারিয়েছেন, আর স্বাধীনতার পরেও তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রাক্কালে যখন ক্ষমতা পালাবদল নিয়ে রাজনৈতিক সমস্যা তুঙ্গে ঠিক তখনই এই মহান নেতা- শ্রদ্ধেয় প্রফেসর গোলাম আজম স্যার স্বীয় প্রজ্ঞার মাধ্যমে কেয়ার টেকার সরকারের প্রস্তাব পেশ ও তার প্রয়োগ জাতিকে হাতে- কলমে দেখিয়ে গেলেন, যার মাধ্যমে গণতন্ত্র পেয়েছিল পূর্ণতা, রাজনীতি ফিরে পেয়েছিল তার নিজস্ব-চরিত্র; যার ফল জাতি পেয়েছে।
আজ জামায়াত শিবির দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী।কিছুদিন আগে শাহজাহান উমর বীর প্রতীক এ বিষয়ে লিখেছেন। দেশ গঠনে আজ তাঁরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই আজ তাঁদের প্রতি এই আক্রোশ। হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি আজ যারা করছেন তাদের বরং উচিৎ ছিল দেশ গঠনে তাঁদের এই কাজের স্বীকৃতি দেওয়া। জাতীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা। দেশ আজ বিভক্ত। বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশকে সিঙ্গাপুর বানাবার কথা বলে আসলে দেশকে সিরিয়া বানাতে যাচ্ছেন। এই দেশের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো নয়, যদি তারা সত্যের কাছে ফিরে না আসে।
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর লিখনির জন্য
মন্তব্য করতে লগইন করুন