"রক্তপাত, প্রগতিবাদ, মুক্তমনা লেখালেখি ও ইসলাম"

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:২৩:৩৩ রাত

১) কোন প্রাণ হরণ তথা কাউকে হত্যা করা সবচেয়ে বড় গুনাহ ও আইনের দৃষ্টিতে মহা অন্যায়। জীবন সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ, সুতরাং সেই জীবন নাশ করা বা হুমকির মুখে ফেলা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি অভিজিত নামের একজন ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার খুন হয়েছেন। তার আগে একই দিনে ৬ জন তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধে পুলিশের হাতে মারা গেছেন, যাদের শরীরে ৫৪ টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে; যারা সবাই বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ মতাবলম্বী। দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ।প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের কেউ না কেউ গুমের শিকার হচ্ছেন। এই প্রত্যেকটি খুনের রক্তই লাল, প্রতিটি ঘটনাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন তার/ তাদের আত্নীয় ও ঘনিষ্ঠজন। একজন মানুষ হিসেবে এইসব প্রতিটি খুনের-ই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে, আর সেটাই বিবেকের দাবী।দেশে আইনের শাসন থাকলে এগুলো ঘটার কথা না।

২) মন যা চায়, তাই কী লিখা যায়? যাকে আমার পছন্দ না, আমি কি ইচ্ছা করলেই যা ইচ্ছা বলতে বা লিখতে পারি তার বিরুদ্ধে? আমি কি এমন কিছু করতে পারি যা আপাত দৃষ্টিতে আইন সিদ্ধ কিন্তু নৈতিকতা, মুল্যবোধ তথা রুচি বিরোধী? আমি যদি জনাব শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বাজে কথা লিখলে বা বললে জেল,জরিমানা বা শাস্তির সম্মুখীন হই, তাহলে সমাজ তথা রাষ্ট্রের এটাও দায়িত্ত হয়ে যায় যে-কেউ কারো বিশ্বাস ও ধর্ম অবমাননা বা কটাক্ষ করে যা ইচ্ছা তাই লিখবে না এবং বলবে না।

৩) বাংলাদেশে কোন মুসলমান কে দেখি না যে হিন্দু বা খ্রিষ্টান ধর্ম নিয়ে বাজে লেখালেখি করেছে বা কটাক্ষ করেছে, কারণ এটা নৈতিকতা বিরোধী এবং খাঁটি একজন মুসলিম তা করতেও পারেন না। কিন্তু কেন যেন বাংলাদেশে ও বাইরে কিছু তরুণ যারা নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয়ও দেয় তারা এবং কিছু হিন্দু ভাই- বোনেরা ক্রমাগত ইসলামের বিরুদ্ধে অসত্য ও রুচি বিরোধী লেখালেখি করেই যাচ্ছেন।যাদের শব্দ চয়ন ও মিনিং এতোই বাজে যে ভদ্র ও সভ্য কোন মানুষের পক্ষে একটি লাইনও পড়ে শেষ করার মত নয়। এর মধ্য দিয়ে মূলত তাদের শিক্ষা-দীক্ষা, রুচি ও বংশেরই পরিচয় ফুটে উঠে। তবে জানা ও বুঝার জন্য যে কোন একাডেমিক আলোচনা- সমালোচনা অবশ্যই ভিন্ন কথা।

৪) আমাদের তথাকথিত প্রগতিবাদ ও মুক্তমনা লেখালেখি কেন শুধুই ইসলামের বিরুদ্ধে? সমাজে কত্ত বিষয় রয়েছে লেখালেখির, জীবন-জগত-প্রকৃতি-বিজ্ঞান, সমাজ ও রাষ্ট্র, দর্শন আরো কত্ত কী! এইসব মুক্তমনারা দুকলম ইসলামের বিরিদ্ধে লিখেই প্রগতিবাদ সাজতে চায়? এই যদি প্রগতিবাদ হয় তাহলে বলতেই হয়; না, আপনাদের কলম ও মুখ দিয়ে অসত্যের বিশ্রী দুর্গন্ধ-ই বের হয়- ধর্মপ্রাণ দেশবাসির সত্য ও আদর্শের সুঘ্রানের বিপরীতে তার বিন্দু পরিমাণ জায়গা হবে না বাংলাদেশে, হবার নয় ইনশা আল্লাহ।

৫) রক্তপাত কোন সমাধান নয়।আখেরাতে সকল প্রকার জুলুম অন্ধকার বয়ে আনবে। বরং এদের বিশ্রী-দুর্গন্ধময় কাজের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা, সত্য ও সুন্দরের মার্জিত উপস্থাপন এবং সর্বোপরি আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করা উচিৎ। একজন মন্ত্রীকে যেভাবে ইসলাম অবমাননায় জেলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, একইভাবে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলা যেতে পারে। তবে সরকারের ভুমিকা এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ ফলাফল বয়ে আনবে, নিঃসন্দেহে।

বিষয়: বিবিধ

১৪২৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

306578
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৪৬
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই।
(২:১৯১)
খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করবো।
(৩:১৫১)
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি।
(৫:৩৩)
যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
(৯:১৪)
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম।
(৯:২৯)
হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ (ইংরেজি অনুবাদে - strive hard) করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।
(৯:৭৩)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের নিকটবর্তী কাফেরদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাও এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা অনুভব করুক আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন।
(৯:১২৩)
আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।(৮:১২)
এবার দেখা যাক, কয়েকটি হাদিসে ইছলামের নবী কী বলেছে:
আমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।(বুখারি ৫২:২২০)
তরবারির ছায়ার নিচে বেহেশত।
(বুখারি ৫২:৭৩)
অবিশ্বাসীকে হত্যা করা আমাদের জন্য একেবারেই ছোট্ট একটি ব্যাপার।
(তাবারি ৯:৬৯)
এ ছাড়া, আল্যা-রসুলকে স্বীকার না করা পর্যন্ত অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেয়া আছে বুখারী ৮:৩৮৭-এ ও মুসলিম ১:৩৩-এ।

ইবন ইসহাক/হিশাম ৯৯২-এ পাওয়া যাচ্ছে নবীজির নির্দেশনা:
যারা আল্লাহকে অবিশ্বাস করে, তাদেরকে হত্যা করো।
আসুন, এখন ইছলামের ইতিহাস থেকে জেনে নেয়া যাক কয়েকটি ঘটনা:
১. নবী ও তার অনুসারীদের আগ্রাসী নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মৌখিক প্রতিবাদ ও সমালোচনা করেছিলেন বলে ১২০ বছর বয়সী অতি বৃদ্ধ ইহুদী কবি আবু আফাককে নবীর আদেশে হত্যা করে তার অনুসারীরা।
২. আবু আফাক-কে হত্যার পর আসমা-বিনতে মারওয়ান তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করলে নবীর নির্দেশে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরস্ত্র এই জননীকে নৃশংসভাবে খুন করে নবীজির এক চ্যালা। ঘাতক যখন এই জননীকে খুন করে, তখন এই হতভাগা মা তাঁর এক সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যুষে খুনী তার প্রিয় নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহর সাথে একত্রে সকালের নামাজ (ফজর) আদায় করে।
৩. কাব বিন আল-আশরাফ নামের এক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর কাজের নিন্দা করা শুরু করেন ও বদর যুদ্ধে যাদেরকে খুন করার পর লাশগুলো গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন কবিতা আবৃতির মাধ্যমে। তাঁকেও নির্দয়ভাবে খুন করে নবীর উম্মতেরা।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৫২
248086
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর, আপনি অনেক আয়াত ও হাদিসের রেফারেন্স দিয়েছেন।

কিন্তু একটিও ব্যক্তি পর্যায়ে কার্যকর করা যাবে না।করলে সমাজে রক্তপাত ছড়িয়ে পড়বে।

এটি সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় কাজ। রাষ্ট্রীয় অথরিটি এই কাজ করবে। কোন ব্যক্তি নয়।
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২৮
248099
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই।(২:১৯১)

এখানে কোথায় বলা হয়েছে এটি ব্যাক্তি পর্যায়ে করা যাবে না?
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৪৯
248100
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : তার আগের আয়াত ২ঃ১৯০ আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।"

এটি যুদ্ধের ময়দানের সাথে জড়িত। এটি কার্যকর করবে ইসলামিক অথরিটি যা মোটেও ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়।

তাহলে কী আপনার বাড়ির সামনা দিয়ে এ রকম কেয় অতিক্রম করার সময় কতল করে দিবেন?

এই আয়াতগুলোর রাসুল সাঃ কর্তৃক কীভাবে আমল হয়েছে- সেটিই হল মানদণ্ড।

ব্যক্তি পর্যায়ে এগুলো তিনি কার্যকর করতে বলেন নি, করলে সামাজিক বিপরজয় দেখা দেবে।
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:৩৩
248118
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : তার আগের আয়াত- [i]২ঃ১৯০ আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।"[/i]

বারে মজা!! মুসলমানরা তাদের আল্লার জন্য লড়াই করবে, তো কাফের'রা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে নাকি? কাফের'রা মুস্লিমের আল্লাকে তোয়াজ করবে কেন, কোন দুঃখে। তাছাড়া সবই যদি খুন খারাপি যুদ্ধের আয়াত হবে তাহলে তো বুঝা গেল ইসলাম আসলে যুদ্ধবাজের ধর্ম। এই ধর্মে শান্তি বলে কিছু নেই।

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম। যতক্ষণ না তারা করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।(সূরা-৯:২৯)

যতক্ষন না তারা 'লাই-ই-লাহা ইল্লালহাহু মোহাম্মদুন রাসুলাল্লাহ' উচ্চারন না করবে ততক্ষন আমি তাদের সাথে লড়াই চালিয়ে যাব(সাহি মুসলিম- ১:৩০)

আমি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছি।(বুখারি ৫২:২২০)
তরবারির ছায়ার নিচে বেহেশত।
(বুখারি ৫২:৭৩)
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
248170
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : Nasir Aldeen
মায়াবন বিহারিণী হরিণী বোন আপনি কুরআনের যে সকল আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন এইগুলোর কারণ না বুঝে আপনি রেফারেন্স দিচ্ছেন কেন? আপনাকে আগে বুঝতে হবে এই আয়াত গুলো কোন প্রেক্ষাপটে। নাযিল হয়েছিল ? এই আয়াত গুলো নাযিল হয়েছিল যুদ্ধকালীন অবস্থায় । আমি একটা উদাহরণ বলছি , ধরেন বাংলাদেশের সাথে ভারতের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তখন কি সেনাবাহিনীর প্রধান কি সৈন্যদের কে বলবে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কে যেখানে পাও তাদের কে ধরে এনে বিরানি খাও ? নাকি বলবে তোমরা শুত্রুদেরকে যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর নিঃসন্দেহে তিনি এটাই বলবে । চআর আপনি একটি আয়াতের রেফারেন্স দিছেন যে তোমরা তাদেরকে হত্য়া কর যেখানে পাও সেখানে । পুরো আয়াতটা আমি বলতেছি অতএব হারাম মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে গেলে মুশরিকদের যেখানে পাও সেখানে হত্যা করো এবং তাদের ধরো,ঘেরাও করো এবং প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকো। তারপর তারা যদি তাওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তাহলে তাদের ছেড়ে দাও। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়। আর যদি মুশরিকদের কোন ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করে তোমার কাজে আসতে চায় তাহলে তাকে আল্লাহর কালাম শোনা পর্যন্ত আশ্রয় দাও , তারপর তাকে তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছিয়ে দাও। এরা অজ্ঞবলেই এটা করা উচিত । সূরা তাওবা ৫-৬
ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম না হতো তাহলে আশ্রয়ের বদলে তাদের কে হত্যা করা হতো। কে বলতে পারে এমন কথা? ইসলামে এমন কোন কথা নেই মানবতা বিরোধী আমি আপনার সাথে চ্যালেন্জ করলাম ।
306580
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০৮
248094
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর, ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
306609
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:২৪
306610
০১ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৫:০০
মায়াবন বিহারিণী হরিণী লিখেছেন : এবার দেখা যাক- ১৯৩ আয়াতে কি বলা হয়েছে?

আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তাহলে কারো প্রতি কোন জবরদস্তি নেই, কিন্তু যারা যালেম (তাদের ব্যাপারে আলাদা)।


তার মানে কি দাড়ালো? আমেরিকা, চীন, জাপান, বৃটেন, ভারত সহ পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলে এখনো আপনার আল্লার তথাকথিত 'দ্বীন' প্রতিষ্ঠিত হয় নি। সুতরাং তাদের সাথে লড়াই চালিয়ে যান যতক্ষন না তারা নিবৃত হয়ে যায়।

তাহলে লড়াইবাজ ইসলামে শান্তি কোথায়?????
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫৬
248169
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : Nasir Aldeen
মায়াবন বিহারিণী হরিণী বোন আপনি কুরআনের যে সকল আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন এইগুলোর কারণ না বুঝে আপনি রেফারেন্স দিচ্ছেন কেন? আপনাকে আগে বুঝতে হবে এই আয়াত গুলো কোন প্রেক্ষাপটে। নাযিল হয়েছিল ? এই আয়াত গুলো নাযিল হয়েছিল যুদ্ধকালীন অবস্থায় । আমি একটা উদাহরণ বলছি , ধরেন বাংলাদেশের সাথে ভারতের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে তখন কি সেনাবাহিনীর প্রধান কি সৈন্যদের কে বলবে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কে যেখানে পাও তাদের কে ধরে এনে বিরানি খাও ? নাকি বলবে তোমরা শুত্রুদেরকে যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর নিঃসন্দেহে তিনি এটাই বলবে । চআর আপনি একটি আয়াতের রেফারেন্স দিছেন যে তোমরা তাদেরকে হত্য়া কর যেখানে পাও সেখানে । পুরো আয়াতটা আমি বলতেছি অতএব হারাম মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে গেলে মুশরিকদের যেখানে পাও সেখানে হত্যা করো এবং তাদের ধরো,ঘেরাও করো এবং প্রত্যেক ঘাটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকো। তারপর তারা যদি তাওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তাহলে তাদের ছেড়ে দাও। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়। আর যদি মুশরিকদের কোন ব্যক্তি আশ্রয় প্রার্থনা করে তোমার কাজে আসতে চায় তাহলে তাকে আল্লাহর কালাম শোনা পর্যন্ত আশ্রয় দাও , তারপর তাকে তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছিয়ে দাও। এরা অজ্ঞবলেই এটা করা উচিত । সূরা তাওবা ৫-৬
ইসলাম যদি শান্তির ধর্ম না হতো তাহলে আশ্রয়ের বদলে তাদের কে হত্যা করা হতো। কে বলতে পারে এমন কথা? ইসলামে এমন কোন কথা নেই মানবতা বিরোধী আমি আপনার সাথে চ্যালেন্জ করলাম ।
306637
০১ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:০৯
হতভাগা লিখেছেন : আপনি স্বাধীন,তবে এতটা না যে আপনি হোয়াইট হাউজ বা বেকিংহাম প্যালেসে বিনা অনুমতিতে ঢুকে যাবেন.

এরকম করলে কি হতে পারে সেটা আপনার ভালই জানা আছে ।

এখানে স্বাধীন হয়েও আপনি জানেন যে কিছু কিছু ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন আছে এবং এটা আপনি মানেনও ।

তাহলে নবী রাসূল ও মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে এই সেলফ রেস্ট্রিকশন তো আরও বেশী ।

তারপরেও কেন ওবামা বা রানী এলিজাবেথ এর সমালোচনা আপনি করেন না বা ওদের ঘরে না ঢুকে নবী রাসূল ও মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার নামে নোংরা নোংরা কথা বলে যাচ্ছেন ?

ওবামারা জীবিত ও দেখা যায় এবং ধরলে চৌদ্দগুষ্টি ছারখার করে ফেলবে আর যেহেতু নবী রাসূলরা কেউই জীবিত নেই এবং আল্লাহকে দেখা যায় না বলে যা ইচ্ছে তাই বলে যাবেন ?

একজন মুসলমানের বিশ্বাসের মূলই হল - না দেখে আল্লাহকে মানা এবং তার হুকুম আহকাম মেনে চলা ।

সবকিছুই আল্লাহর নিয়ন্ত্রনে ।

এখন যারা অন্যায় করেও সমস্যায় পড়ছে না তাদের এমন মনে করা উচিত না যে এটা আল্লাহ তাদের কাজকে পছন্দ করছেন বলেই তারা ভালই আছে এবং যারা অত্যাচারিত হচ্ছে তারা আল্লাহর অপছন্দের বলেই শাস্তি পাচ্ছে - এটাও ভাবা উচিত না ।

শাস্তি যত দেরীতে আসে তা তত কঠিন হয় এবং পরকালের শাস্তি অনেক বেশী ভয়াবহ। আর এখন যারা সহ্য করে আছে তাদের জন্য আল্লাহই শান্তি এনে দেবেন । কারণ আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন ।
০১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৫১
248168
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : আপনি চমৎকার বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File