"অবৈধ অর্থ মন্ত্রীর ফতোয়াঃ রিবা ও সুদ এক নয়"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৪৮:২৪ রাত
ভুলের ওপর নির্ভর করে ইসলামি ব্যাংকিং হচ্ছে- প্রথম আলো/ ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ইসলামে রিবা নিষিদ্ধ। কিন্তু রিবা ও সুদ এক নয়। রিবা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। এখানে কোনো মানবিকতা নেই। সুদ হচ্ছে কস্ট অব ফান্ড (তহবিলের ব্যয়) বা কস্ট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (প্রশাসনিক খরচ), ধর্ম নিয়ে যাঁরা বেশি কথা বলেন, তাঁরা সুদ আর রিবাকে এক করে ফেলেন।’
‘ইসলামি ব্যাংকিং একান্তই একটি ফ্রড (প্রতারণা) ধারণা। ভুলের ওপর নির্ভর করে ইসলামি ব্যাংকিং হচ্ছে। দুর্ভাগ্য হলো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এটি চালু আছে। আইএমএফও এর কথা বলছে। এটি বন্ধ করার সুযোগ নেই।’
প্রথমত কথা হচ্ছে- পৃথিবীর তাবৎ মুসলিম একমত যে কোরআনে ব্যবহৃত শব্দ "রিবা" মানে হল সুদ। তাহলে কী করে এই বয়স্ক এবং পাগল লোকটি "রিবা ও সুদ এক নয়" বলে মন্তব্য করে সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধাচারন করতে পারে?
দ্বিতীয়তঃ এই পাগল ও মস্তিষ্ক বিকৃত লোকটি কিন্তু "ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ" এর বিরুদ্ধে কথা বলে নি, বরং ইসলামি ব্যাংকিং এর বিরুদ্ধে চরম অপমান জনক কথা বলছে। যেটি ইসলামের সাথে সরাসরি জড়িত।
তৃতীয়তঃ সব আওয়ামিলীগ কেন ইসলামের বিরুদ্ধে লেগেই আছে? বোরখা, হিজাব, কোরআন, তাফসীর মাহফিল, নারীর উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কোরআন বিরুধী আইন, রিবা তথা সুদকে জায়েজ বলে ঘোষণা ইত্যাদি কিসের লক্ষণ?
বিষয়: বিবিধ
১১০৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু আজকের যুগে সুদ ও রিবার এই সংজ্ঞা/পার্থক্য ওনাকে শেখ হাসিনার কাছে ওনাকে আরো স্মার্ট ও শার্প বয় বলেই মনে হবে।
আমি দুঃখিত, ব্যাক্তিগতভাবে আপনার পয়েন্ট ১ ও ২ এর এসারশানের সাথে একমত হতে না পারার জন্য। তবে ৩ নং প্রশ্ন উত্থাপনের জন্য ধন্যবাদ এবং প্রশ্নটিকে যৌক্তিক মনে হয়েছে।
ব্যাক্তিগত আমার বিশ্লেষন ও ধারনা - যত বেশী উনি ও ওনার সরকার ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথা বলে মুসলিমদের কে এক্সট্রিম করতে সমর্থ হবেন, চিন্তাভাবনাহীন জংগী মতবাদের দীক্ষার দিকে ঠেলে দিতে পারবেন - ওনার মনিবেরা ওনাকে - তত লম্বা সময় ধরে ক্ষমতার আয়ু বাড়াতে থাকবেন বলে উনি মনে করেন। সো উনি ইসলামের বিরুদ্ধে লেগে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন