"তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা" পক্ষ-বিপক্ষ

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:১৭:০৫ রাত

অনেকেই হয়তো বলবেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। তাই ২০ দলের দাবী যৌক্তিক নয়। তাদের এই বক্তব্যই আসলে যৌক্তিক নয়। কেন? বলছি তাহলে-

১৯৯৬ সালে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সংবিধানে জায়গা পেল, সেবার এস এস সি পরীক্ষা ৩ মাস পিছিয়েছিল।তার মানে সংবিধান সংশোধন করা হল। আওয়ামিলীগ সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অনৈতিকভাবে সংবিধান থেকে কেন সরিয়ে দিল? এখন সংবিধানের দোহাই দেওয়া হচ্ছে। কেন আবার সংশোধন করা যাবে না?

দুইঃ হ্যাঁ, আপনি বলতে পারেন যে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু বাতিল করার পরে যে কলঙ্কময় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হল সেখানে কত শতাংশ ভোট পড়েছে? সবাই বলছেন মাত্র ১০%, তাহলে জনগণ সেই আইনের পক্ষে থাকলো কই? এর আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন গুলো মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। কোন দল বিরত থাকেনি নির্বাচন হতে। সুতরাং বলাই যায় যে এটি একটি আইন তবে তা "কালো-আইন", যা মূলত দেশের মানুষের মতের বিপক্ষে।

এবার বলুন তো সমস্যা তৈরি করেছে কারা?

আর সমাধান চাইলে আমাদেরকে মূলে ফিরে যেতে হবে।

সেটা হল- ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অবৈধ।

এটা ছিল একতরফা, ভোটার বিহীন, গাঁয়ের জোড়ে ক্ষমতা দখল।

আরো দুইটি কারণ আসুন ভেবে দেখিঃ

১৯৯৬ সালে বিএনপি সরকারে থেকে যে নির্বাচন করেছিল, সেই সরকার মাত্র ১ মাস টিকে ছিল; কিন্তু কেন?

২ টি কারণ

১, আওয়ামিলীগের অবরোধ, হরতাল, জ্বালাও- পোড়াও এখনকার চেয়েও মারাত্মক ও ভয়াবহ ছিল।

২, বিএনপি মুল্যবোধ, আইন, দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে নতুন নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

তাহলে এখন নয় কেন নতুন নির্বাচন, সেটাইতো সমাধান।

বিষয়: বিবিধ

৮৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302624
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আইন আর সংবিধান দিয়ে কখনও অত্যাচার জায়েজ হয়না।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:০২
244798
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জি সত্যই বলেছেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File