"ব্র্যাক আবেদ পরিবারের ব্যবসা, স্বেচ্ছাচারি সংস্থা!"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০১ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:৫৮:৫৭ রাত
আসলেইতো !
ব্র্যাক কোন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি NGO এবং একটি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবেই এর জন্ম।ধনী দেশ ও পশ্চিমা এনজিও গুলো থেকে এটি প্রচুর আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে গরীব মানুষকে হেল্প করবে বলে। সুতরাং পরিবার তন্ত্র এখানে জায়গা পায় কী করে???
একজন উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বরত ব্র্যাক কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, চাকরি থেকে ছাঁটাই হতেই পারে, গোটা বিশ্বেই ছাঁটাই হয়। যে কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতো করেই এই কাঁচি চালায়।কিন্তু ব্র্যাককে ভুলে গেলে চলবে না যে এটি কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়। সোসাইটি অ্যাক্টের আওতায় একটি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবেই এর জন্ম। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই সংস্থার ললাটে বিশ্ব ৠাকিংয়ে এক নম্বর এনজিওর তকমা লেগেছে। অন্যদের উন্নয়ন ও মানবাধিকারের তত্ত্ব শেখায় ব্র্যাক।
ব্র্যাক যে পুরোই পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার প্রমাণ মেলে এর মূল অর্গানোগ্রামে।
১,ফজলে হাসান আবেদ এর চেয়ারপার্সন।
২,তার স্ত্রী সারওয়াত আবেদ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পরিচালক,
৩,ছেলে শামেরান আবেদ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির পরিচালক,
৪,মেয়ে তামারা আবেদ ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের সিনিয়র পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি সংস্থাটির কমিউনিকেশন অ্যান্ড স্ট্রাটেজি বিভাগেরও সিনিয়র পরিচালক। ব্র্যাকে এই তামারার বদমেজাজি বলে ব্যাপক বদনাম আছে।
৫,পরিবারতন্ত্রের এখানেই শেষ নয়। ফজলে হাসান আবেদের জামাতা আসিফ সালেহও কমিউনিকেশন অ্যান্ড স্ট্রাটেজি বিভাগের সিনিয়র পরিচালক। ব্র্যাকে আসিফ সালেহ এরই মধ্যে ‘তৈলবাজ’ হিসেবে নাম কুঁড়িয়েছেন।
৬, ভাগ্নি সৈয়দা তাহিয়া হোসেন মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক। ‘খালি কলস বাজে বেশি’ এই তার তকমা।
৭,শ্যালিকা রেহানা আমিন মুর্শিদ ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল’র প্রোগ্রাম বিভাগের প্রধান। পেছনে সবাই ‘অকর্মন্য’ বলেই ডাকে।
৮, পরিবারতন্ত্র যে তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত তা নিশ্চিত হয়েছে নাতনি জারা যাবিনকে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টমার্স এক্সপেরিয়েন্স বিভাগের প্রধান পদে বসানোর পর।
৯, এভাবেই অতি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে পারিবারিক পাখা বিস্তার করা হয়েছে ব্র্যাকে। ফজলে হাসান আবেদ একটা কাজ নিশ্চিত করছেন, যাতে তার অবর্তমানে ব্র্যাক কোনও ভাবেই তার পরিবারের হাতছাড়া হয়ে না যায়।
১০, ব্র্যাকের সকল কর্মীকে সমানভাবে দেখেন বলে যে কথাটি তিনি সবসময় বলে আসছেন, এসব আচরণের ও সিদ্ধান্তের কারণে ব্র্যাক কর্মীরা এখন তা মানছেন না।
আর বৃদ্ধবয়সে পরিবারের সদস্যদের দাপটে স্যার ফজলে হাসান আবেদ নিজেই কিছুটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন বলেই মনে করছেন এর অনেক কর্মী।
বিস্তারিত এখানেঃ http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/353686.html
-স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
-বাংলাদেশ সময় ০৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৫
বিষয়: বিবিধ
৩৫৬৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেখানে এটাইতো স্বাভাবিক। ধন্যবাদ পিলাচ পিলাচ পিলাচ
এজন্যই ব্র্যাক ১ নং পজিশনে
মন্তব্য করতে লগইন করুন