"ঈসা আঃ বনাম খ্রীস্টমাস": প্রথম পর্ব

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:৩৬:৩২ রাত

মুসা আঃ ইহুদী ছিলেন না, আর না ঈসা আঃ খৃস্টান ছিলেনঃ বরং উভয়ে ছিলেন আল্লাহর অনুগত "মুসলিম", আসুন কোরআন থেকেই জেনে নেই। আরবী আয়াতে উভয় নবীর ক্ষেত্রে "ইসলাম" শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং ইহুদী ও খৃস্টান ধর্মের কোন ভিত্তি নেই, আল্লাহর কাছে একমাত্র ইসলামই গ্রহণযোগ্য।

ঈসা আঃ মানুষকে তাঁর ইবাদত করতে বলেন নি



আলে ইমরানঃ ৫১

ঈসা আঃ বলেছিলেন)" নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ।"

সুতরাং কিভাবে তিনি গড হতে পারেন? তিনি ও তাঁর খাঁটি অনুসারীরা মুসলিম ছিলেন।

আলে ইমরানঃ ৫২

"অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহায্য করবে? সঙ্গী-সাথীরা বললো, আমরা রয়েছি আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আর তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা @মুসলিম@।"

আলে ইমরানঃ ৭৯

কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব, হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে বলবে যে, তোমরা আল্লাহকে পরিহার করে "আমার বান্দা হয়ে যাও"-এটা সম্ভব নয়। বরং তারা বলবে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন, তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন তোমরা নিজেরা ও পড়তে।

আলে ইমরানঃ ৮০

তাছাড়া তোমাদেরকে একথা বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে?

"তোমাদের @মুসলমান@ হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে"?- এই কথাও প্রমাণ করে যে ঈসা আঃ মুসলিম ছিলেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীগণও।

Conclusion: "Many Messengers but ONE & SAME message"

বিষয়: বিবিধ

১২১৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

297022
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:১৮
শেখের পোলা লিখেছেন : সব নবীরাই মুসলীম ছিলেন৷ তবে সবার শরিয়ত এক ছিলনা৷
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০১
240590
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জি আপনি সত্য বলেছেন
297028
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সকল নবীরই একই উদ্দেশ্য ছিল,সেটা আল্লাহর বানী মানুষের কাছে পৌছানো তাদের ভাষায়। কিন্তু মানুষের অনেকে ভুল বুঝেছে
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
240591
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জি আপনি সত্য বলেছেন, জাযাকাল্লাহ খাইর
297045
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১৮
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন....।
সকল নবী-রাসুলগণের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য ছিল অভীন্ন। এক এবং অদ্বিতীর মনিবের পথ চেনানোই ছিলো তাঁদের প্রধান কাজ। আজকার খৃষ্ট্রানরা বিভ্রান্ত। তারা মনে করে যিশু তাদের গড কিংবা গডের পুত্র। তারা আবার আবার এটাও বিশ্বাস করে যে যিশু ক্রুশবৃদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এখন প্রশ্ন দাড়ায় যদি যিশু গড কিংবা গডের পুত্র হয়ে থাকেন তবে তিনি কিভাবে ক্রুশবুদ্ধ হয়? গড কি এতই দূর্বল যে নিজকে কিংবা নিজের পুত্রকে ক্রুশ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখেননা?
আসলে যিশু গড নন এমনকি গডের পুত্রও নন তিনি ছিলেন একজন নবী। আর একথা পবিত্র কুরআনেই পরিস্কার করেছেন মহান আল্লাহ নিজেই। ধন্যবাদ
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
240592
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : আপনি চমৎকার বলেছেন, জাযাকাল্লাহ খাইর
297094
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
সকল্ নবিই ইসলাম শিক্ষাই দিয়েছেন।
২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
240593
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর, পড়ার জন্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File