কেন এত মানুষ রাজাকারের (!) জানাযায়?
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:২৭:২৮ রাত
যদি বলেন এতো মানুষ, সবাই জামায়াতের লোক; তাহলে বলাই যায় তিনি ছিলেন একজন সফল সংগঠক ও সফল রাজনীতিবিদ।
যদি বলেন এতো মানুষ, সবাই জামাতের লোক না; তাহলে এটাই তার প্রমাণ- তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন, মানুষের মনের গহীনে- কত গভীরে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন। আর এটা তারও প্রমাণ তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
"বাইতুল মোকাররম ভেতর, উত্তর গেট, দক্ষিণ গেট, পল্টন, দৈনিক বাংলা মোড়- মানুষ আর মানুষঃ অধ্যাপক গোলাম আজম স্যারের জানাযা"
চলে গেলেন মহান-সফল নেতা,জাতি তাঁকে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর দোয়ার মাধ্যমে বিদায় জানালো। এটা কেবল ঢাকার চিত্র। সারা দেশে এমনকি সারা বিশ্বে তাঁর গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ফি আমানিললাহ!
হে মহান সফল নেতা।
তিনি জে ভালো মানুষ আমি সে কথা বলছিনা। ১৯৯৪ সালের নাগরিকত্ব মামলার রায়ে আদালত সেই কথা বলছে।
পড়ে দেখুন তাহলেঃ
"মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যেসব বর্বরতার অভিযোগ রয়েছে, তা সংঘটনের সাথে অধ্যাপক গোলাম আযম কোনোভাবে সরাসরি জড়িত ছিলেন, এমন কোনো কিছু আমরা পাইনি।"
১৯৯৪ সালে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে এ কথা উল্লেখ রয়েছে।
রায়ে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘পাকিস্তানি আর্মি ও তাদের সহযোগী বাহিনী রাজাকার, আলবদর কিংবা আলশামসের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যেসব বর্বরতার অভিযোগ রয়েছে, তার একটির সাথেও অধ্যাপক গোলাম আযমের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।’
আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি হাবিবুর রহমান, বিচারপতি এ টি এম আফজাল, বিচারপতি মুস্তাফা কামাল ও বিচারপতি লতিফুর রহমান এ ঐতিহাসিক রায় দেন। এই চার খ্যাতিমান বিচারপতির সবাই পরে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির আসন অলঙ্কৃত করেন এবং তাদের মধ্যে বিচারপতি হাবিবুর রহমান ও বিচারপতি লতিফুর রহমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২২ জুন দেয়া ৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পর্কে ১৯৭১ সালের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বিচারপতিদের করা মন্তব্য ছিল এ রকম : "There is nothing to directly implicate the petitioner (Golam Azam) in any of the atrocities alleged to have been perpetrated by the Pakistani Army or their associates the Rajakars, AL Badrs or the AL Shams. Except that the petitioner was hobnobbing with the Military Junta during the war of liberation, we do not find anything that the petitioner was in any way directly involved in perpetuating the alleged atrocities during the war of independence."
১৯৭৪ সালে আবুল মনসুর আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখা এক কলামে লিখেছিলেন "১৯৭১ এ মুসলিম লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল রাজনৈতিক কারনে।সেটা কোন অপরাধ না।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তারা যদি বাংলাদেশ কে অস্বীকার করতো সেটা হোত রাষ্ট্রদ্রোহীতা- সেটা অপরাধ।
বিষয়: বিবিধ
২২১৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজ surf excel এর এই বিজ্ঞাপনটি বেশ মনে পড়তেছে:- "দাগ থেকে যাদি দারুন কিছু হয় তাহলে দাগই ভাল"
সংগঠক ও সফল রাজনীতিবিদ।
যদি বলেন এতো মানুষ, সবাই জামাতের লোক না; তাহলে এটাই তার প্রমাণ- তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন, মানুষের মনের গহীনে- কত গভীরে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন। আর এটা তারও প্রমাণ তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
মুসুল্লিদের উপছে পড়া ভিড়ের কারনে ৩ দফায় জানাজার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামজের ইমামতি করেন মাওঃ জাহাঙ্গীর আলম, মাওঃ রবিউল ইসলাম, ও মাওঃ রাকিব আল মাদানী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন