"জনাব ডঃ আসিফ নজরুল স্যার আপনি অসত্য বলেছেন"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ২৫ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:২২:০৫ রাত
আমার মনে হয়না জনাব ডঃ আসিফ নজরুল, আপনার ফেইজবুক পেইজে আপনি নিজে এটা লিখেছেন। কোন এডমিনের লেখা মনে হচ্ছে। কারণ লেখাটি অত্যন্ত হালকা, সস্তা এবং সত্য বিবর্জিত। জনাব, যুদ্ধাপরাধের মূল দায়িত্ত পাকিস্তান আর্মির, উনার না। দেশ ভাগের সময় " পাকিস্তানের সমর্থক" থাকা আর মানবতা বিরোধী অপরাধ এক নয়। আর তা আপনিই ভালো জানেন একজন আইন শিক্ষক হিসাবে। কোন প্রমাণ সরকার দিতে পারেনি। ২০০১ সালের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন নিছক স্বাধীনতা বিরোধী (!), বি এন পির সাথে জোট করার পর থেকে আওয়ামিলীগ ও বাম রা ভোটে পরাজিত হয়। জামায়াতে ইসলাম রাজনীতিতে একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে রুপান্তরিত হয়, যা তাঁদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।তাই জামায়াতের কণ্ঠ রোধ এবং সৎ ও আদর্শ নির্ভর ইসলামী মতাদর্শে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত গঠন করা হয় আওয়ামি- ট্রাইব্যুনাল। আর আদর্শবান নেতাদের বানানো হয় যুদ্ধাপরাধী।একটি দেশ যখন ভাগ হয় তখন সবাই একই মতের একই প্লাটফর্মে একত্রিত হওয়াটা চিন্তা করা সহজ কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের ৫৫% মানুষ দেশ ভাগ না চেয়ে "নো" ভোট দিয়েছে, ৪৫% ইয়েস বলে ইংল্যান্ড থেকে আলাদা হতে চেয়েছিল। তাহলে কী "নো" ভোট প্রদানকারী সবাই রাজাকার? ঠিক একই রকম ঘটেছে উনার বেলায়ও। কিন্তু যুদ্ধাপরাধ/মানবতা বিরোধী অপরাধ তাঁরা করেন নি। যুদ্ধাপরাধ/মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে পাকিস্তানি আর্মি।
জনাব আসিফ নজরুল স্যার! আপনাদের মতো শিক্ষকদের মধ্যে দেশ প্রেমিক সত্যবাদির সংখ্যা খুবই কম আপনারা দুই গ্রুপ দুই বড় দলে সংযুক্ত যখন যে দল ক্ষমতা আসে চেতনা দিয়ে দেশটাকে কামড়িয়ে কামড়িয়ে খাওয়ার চেষ্টা করেন ।আপনাদের মাঝ থেকে এই মহান ভাষা সৈনিক বিশ্বজাহানের মুসলিম উমমার প্রানপুরুষ মহান আললাহ পাকের নিবেদিত গোলাম একাধিক যুগ পর পর যাদের দুনিয়া তে আগমন ঘঠে তাঁদের মতো নক্ষত্রের মূল্যাায়ন কি আপনাদের কাছে পাওয় যাবে ? আধ্যাপক গোলাম আজম কে মহান আললাহ পাক জাননাতুল ফেরদাউস দান করুক আপনাদের কে হেদায়েত দিক -আমিন
জনাব ডঃ আসিফ নজরুল! সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রাক্কালে যখন ক্ষমতা পালাবদল নিয়ে রাজনৈতিক সমস্যা তুঙ্গে ঠিক তখনই এই মহান নেতা- শ্রদ্ধেয় প্রফেসর গোলাম আজম স্যার স্বীয় প্রজ্ঞার মাধ্যমে কেয়ার টেকার সরকারের প্রস্তাব পেশ ও তার প্রয়োগ জাতিকে হাতে- কলমে দেখিয়ে গেলেন, যার মাধ্যমে গণতন্ত্র পেয়েছিল পূর্ণতা, রাজনীতি ফিরে পেয়েছিল তার নিজস্ব-চরিত্র; যার ফল জাতি পেয়েছে।স্যার, যদি পারেন জাতির এই সঙ্কটময় সময়ে উনার মত রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখান, পারবেন? পারবেন না স্যার।
৭১ এর রাজনৈতিক পটভূমি সম্পর্কে আলোচনা-পর্যালোচনা-সমালোচনা যতটুকু হওয়া উচিত ততটা কখনোই হয়নি। মূলত: এই ইস্যুটাকে ঐশ্বরিক ইস্যু করে ফেলা হয়েছে। এইটারে টাচ করে কোন কথা বলতেও ভয় করে। সত্য হলেও! ফলাফল হলো মাঠে ময়দানে যুদ্ধ করা লোক, প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনগণের সুখ দু:খের সাথীরা রাজাকার/আল-বদর/যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলো / আর পাকিস্তানের জেলের ভেতরের লোক হয়ে গেলো স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা! যিনি কিনা হতে চেয়েছিলেন "ইউনাইটেড পাকিস্তানের" প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৪ সালে আবুল মনসুর আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখা এক কলামে লিখেছিলেন "১৯৭১ এ মুসলিম লীগ স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল রাজনৈতিক কারনে।সেটা কোন অপরাধ না।
বাংলাদেশ সৃষ্টির পর তারা যদি বাংলাদেশ কে অস্বীকার করতো সেটা হোত রাষ্ট্রদ্রোহীতা- সেটা অপরাধ।
বিষয়: বিবিধ
১৪৯০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সমাজের সস্তা বাহবা কুড়াতে আসিফ নজরুল এমন মন্তব্য করেছে।
আপনার নান্দনিক যৌক্তিক উপস্হাপনা তাঁর নজরে আসুক এই কামনা।
আল্লাহ পাক মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম আজমে উচ্চ মাকাম দান করুন জান্নাতে এই ই দোয়া।
জাযাকাল্লাহ খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন