"রমাদানে ঈদের প্রস্তুতিঃ কোরআন নাজিলের মাসে অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকা"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ১৯ জুলাই, ২০১৪, ০১:১৭:৫৬ রাত
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে হাসি। ঈদ সবার ঘরেই কম বেশী আনন্দ দেয় ও একে অপরের সাথে মিলন মেলার ব্যাবস্থা করে দেয়। আর সেই ঈদ যখন কোন সংগঠন, সমিতি, ইউনিয়ন বা সংঘের মাধ্যমে দিন তারিখ ঠিক করে উদযাপন করা হয় সেখানে আনন্দটাও একটু বেশীই হয়, যদিও অনেক ক্ষেত্রে ঈদ একটি "ইসলামিক ফেস্টিবল বা ইসলামিক কালচার" হিসেবে উদযাপনের ক্ষেত্রে অনৈসলামিক চর্চা ও ফুর্তির আয়োজনই বেশী।
ঈদ উদযাপন ও Eid Re union করতে যেয়ে বহু ইসলামিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন রোজার শুরু কিংবা মধ্যমভাগ থেকেই সাংস্কৃতিক রিহারসেল, নাটক, কৌতুক ইত্যাদির সেশনের আয়োজন করে থাকে। আমি নিজেই করেছি বহুবার। কিন্তু কয়েক বছর যাবত চিন্তার মধ্যে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
আর সেটি হলো, ঈদ উদযাপন ও Eid Re union করতে কোন বাঁধা নেই, কিন্ত তার জন্য কোরআন নাজিলের মাসে রিহারসেল করা, নিছক সাময়িক হাসির জন্য কৌতুক বিনির্মাণ, ঘন্টার পর ঘন্টা এ নিয়ে ব্যয় করা, জমায়েত হওয়া ইত্যাদি বিষয় রাসুল সাঃ ও সাহাবীদের রমাদানে কৃত কর্মকাণ্ডের সাথে একটু মিলিয়ে দেখলাম- রমাদান মাস ঈদ উদজাপনের নামে আমরা প্রতি বছর প্রকারান্তরে রমাদান, কোরআন ও ঈদের সাথে চরম উপহাস করে যাচ্ছি। আর নিজেদের সাথেতো বটেই। কোন সাহাবী তাঁদের জীবনে রমাদান মাসের গুরুত্তপূর্ণ সময়ে কোরআন বাদ দিয়ে বা কম চর্চা করে ঈদের প্রস্তুতি নেননি। এমনকি কোরআন নাজিলের মাসে কোরআনের পাঠ ও গবেষণায় কমতি হবে বলে হাদীস নিয়ে পর্যন্ত চর্চা করেন নি। পুরো রমাদান মাস কোরআন নিয়ে বসে যেতেন, এর গবেষণা, প্রচার ও প্রতিষ্ঠায়।
আর আমরা কী করছি! আমাদের যেখানে কোরআন পড়াই শুদ্ধ না, অর্থ জানি না তাফসীরতো দূরে থাক- তাহলে আমাদের কতটুকু পেরেশানী থাকা উচিৎ এই রমাদানে? আমরা শুধু অন্যের দোষ চর্চায় ব্যস্ত বিশেষ করে যালিম শাসকদের ব্যাপারে, ফিলিস্তিন - ইসরাইল ইস্যুতে, কিন্তু আমরা কী কক্ষনো ভেবে দেখেছি কোরআনের গবেষণা ছেড়ে দেবার ফলেই আজ আমাদের এই দুর্দশা? আমরা কী রমাদান মাসে কোরআন গবেষণায় লিপ্ত হবো নাকি নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দিয়ে ঈদের প্রোগ্রামে আসা শ্রোতাদের সাময়িক আনন্দ দেয়ায় নিয়োজিত থাকবো।
কেন? ঈদ উদযাপন প্রোগ্রামে সবাই মিলিত হলে সেটাই কী এক মিলন মেলা ও আনন্দ করার কর্মসূচীতে পরিগণিত হবে না? তাহলে রমাদানে কেন ঈদের প্রস্তুতি? রাসুল সাঃ ও সাহাবীদের সুন্নাহ বাদ দিয়ে এ কোন সংস্কৃতি?
আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন