মুসা আঃ ইহুদী ছিলেন না, আর না ঈসা আঃ খৃস্টান ছিলেনঃ বরং উভয়ে ছিলেন আল্লাহর অনুগত "মুসলিম", আসুন কোরআন থেকেই জেনে নেই। "Many Messengers but One Message"
লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৯ জুলাই, ২০১৪, ১২:৩২:২১ রাত
মুসা আঃ ইহুদী ছিলেন না, আর না ঈসা আঃ খৃস্টান ছিলেনঃ বরং উভয়ে ছিলেন আল্লাহর অনুগত "মুসলিম", আসুন কোরআন থেকেই জেনে নেই। আরবী আয়াতে উভয় নবীর ক্ষেত্রে "ইসলাম" শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং ইহুদী ও খৃস্টান ধর্মের কোন ভিত্তি নেই, আল্লাহর কাছে একমাত্র ইসলামই গ্রহণযোগ্য।
প্রথমতঃ মুসা আঃ মুসলিম ছিলেন, তার প্রমানঃ
আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর @মুসলিম@ পয়গম্বরগণ, দরবেশ, আলেম ও ইহুদীদেরকে এর মাধ্যমে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। - সুরা আল মায়েদাঃ ৪৪
দ্বিতীয়তঃ ঈসা আঃ মুসলিম ছিলেন তার প্রমানঃ
ঈসা আঃ নিজে মুসলিম ছিলেন, অনুসারীদেরও মুসলিম হবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আয়াতের শেষ শব্দটি খেয়াল করে দেখুন।
"অতঃপর ঈসা (আঃ) যখন বণী ইসরায়ীলের কুফরী সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারলেন, তখন বললেন, কারা আছে আল্লাহর পথে আমাকে সাহায্য করবে? সঙ্গী-সাথীরা বললো, আমরা রয়েছি আল্লাহর পথে সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আর তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা @মুসলিম@।" আলে ইমরানঃ ৫২
ঈসা আঃ মানুষকে তাঁর ইবাদত করতে বলেন নি, আরো ৩টি আয়াত পড়ে দেখুনঃ
(ঈসা আঃ বলেছিলেন)" নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার পালনকর্তা এবং তোমাদেরও পালনকর্তা-তাঁর এবাদত কর, এটাই হলো সরল পথ।" -আলে ইমরানঃ ৫১
কোন মানুষকে আল্লাহ কিতাব, হেকমত ও নবুওয়ত দান করার পর সে বলবে যে, তোমরা আল্লাহকে পরিহার করে আমার বান্দা হয়ে যাও-এটা সম্ভব নয়। বরং তারা বলবে, তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, যেমন, তোমরা কিতাব শিখাতে এবং যেমন তোমরা নিজেরা ও পড়তে। -আলে ইমরানঃ ৭৯
তাছাড়া তোমাদেরকে একথা বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে?-আলে ইমরানঃ ৮০
"তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে"?- এই কথাও প্রমাণ করে যে ঈসা আঃ মুসলিম ছিলেন, তাঁর প্রকৃত অনুসারীগণও
ঈসা আঃ ছিলেন আল্লাহর রাসুলঃ
আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী। -সুরা আল মায়েদাঃ৪৬
ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী। -আল মায়েদাঃ৪৭
কেন ভিন্ন ভিন্ন নবী ও শরীয়তঃ
আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে। -সুরা আল মায়েদাঃ৪৮
সুরা আল মায়েদায় এসেছেঃ ১১১
আর যখন আমি হাওয়ারীদের মনে জাগ্রত করলাম যে, আমার প্রতি এবং আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তখন তারা বলতে লাগল, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা অনুগত্যশীল।
ইহুদী- খৃষ্টানরা কোন ধর্মের উপর নেই
বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না। -সুরা আল মায়েদাঃ ৬৮
বিষয়: বিবিধ
১৭৩১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'' তাদের ব্যতীত যাদের প্রতি গযব এসেছে , এবং তাদেরও নয় যারা পথভ্রষ্ট ''
- সূরা ফাতেহা , আয়াত ৭
০ এই গযব/অভিশাপ প্রাপ্তরা হচ্ছে - ইহুদীরা ।
এবং পথভ্রষ্টরা হচ্ছে - খৃষ্টানরা ।
সূরা ফাতেহার তুল্য কোন সূরা তাওরাত ও ইনজীলে নেই।
http://www.qurantoday.com/1Fatihah_Bangla.pdf
মন্তব্য করতে লগইন করুন