কোরআনের আলোচ্য বিষয় মানুষ আর জীবন। যত বেশী নিজেকে কোরআনের ভিতরে আবিস্কার করা যাবে, তত বেশী মজা পাওয়া যাবে। আল্লাহ মানুষ কে ভালোবাসেন, শাস্তি দিতে সৃষ্টি করেননি, যদি আমরা বুঝি!!!

লিখেছেন লিখেছেন রঙ্গিন স্বপ্ন ০৮ জুলাই, ২০১৪, ১২:৩৯:২০ রাত

আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তনের পথ সব সময় খোলাঃ সুরা আন নিসাঃ ১১০-১১২

যে গোনাহ, করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।

যে কেউ পাপ করে, সে নিজের পক্ষেই করে। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।

যে ব্যক্তি ভূল কিংবা গোনাহ করে, অতঃপর কোন নিরপরাধের উপর অপবাদ আরোপ করে সে নিজের মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য গোনাহ।

আল্লাহ মানুষ কে ভালোবাসেন, শাস্তি দিতে তিনি সৃষ্টি করেন নিঃ যদি আমরা বুঝি-

তোমাদের আযাব দিয়ে আল্লাহ কি করবেন যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং ঈমানের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক! আর আল্লাহ হচ্ছেন সমুচিত মূল্যদানকারী সর্বজ্ঞ । আন নিসাঃ ১৪৭

যে কেউ দুনিয়ার কল্যাণ কামনা করবে, তার জেনে রাখা প্রয়োজন যে, দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ আল্লাহরই নিকট রয়েছে। আর আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও দেখেন।-সুরা আন নিসাঃ ১৩৪



সুপারিশ ও তদবীর প্রসঙ্গেঃ

যে লোক সৎকাজের জন্য কোন সুপারিশ করবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক সুপারিশ করবে মন্দ কাজের জন্যে সে তার বোঝারও একটি অংশ পাবে। বস্তুতঃ আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।- আন নিসাঃ ৮৫



সত্য সাক্ষ্য দিতে যদিও তা হয় নিজের, পিতা-মাতার ও নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের বিপক্ষেঃ


হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত। -সুরা আন নিসাঃ ১৩৫

সুরা আলে ইমরান- ১৩৩-১১৬

তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা এবং জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও যমীন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেযগারদের জন্য।

যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।

তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।

তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান।

আলে ইমরানঃ১৩৯

আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে। সুরা



আন নিসাঃ১৩৯

যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।



গালিগালাজের (জুলুমের) শীকার হয়ে সম পরিমাণ মন্দ কথা বলে প্রতিশোধ নিতে বাঁধা নেইঃ তবে উপেক্ষা করে ক্ষমা করে দিতে পারলে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন- সুরা আন নিসাঃ ১৪৮-১৪৯



আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।

তোমরা যদি কল্যাণ কর প্রকাশ্যভাবে কিংবা গোপনে অথবা যদি তোমরা আপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে জেনো, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।

স্বেচ্ছায় হত্যার পরিণাম জাহান্নাম (যদিও অন্য আয়াতে বলা হয়েছে পুরুষের বদলে পুরুষ, নারীর বদলে নারী, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক), আর ভুলক্রমে হত্যার বিধান নিম্নরুপঃ

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্যে ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। - সুরা আন নিসাঃ ৯৩

মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়। -সুরা আন নিসাঃ ৯২

আলে ইমরানঃ১৩৮

এই হলো মানুষের জন্য বর্ণনা। আর যারা ভয় করে তাদের জন্য উপদেশবাণী।



বিষয়: বিবিধ

১১৪০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242747
০৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:১৬
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৯ জুলাই ২০১৪ রাত ০১:২২
188752
রঙ্গিন স্বপ্ন লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইর
288670
২৭ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : সুন্দর৷ এগিয়ে চলুন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File