দেশ চলে মদিনার সনদে আর ঘরে ফসল আসে মা দুর্গার আশীর্বাদে !
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ২৩ মার্চ, ২০১৪, ১২:২৫:৩৩ দুপুর
ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার জন্যে আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষকে দোষারূপ করে। কিন্তু তারা নিজেরা শুধু একটি নয়- কমপক্ষে দু-দুটি ধর্মকে নিয়ে এই নির্লজ্জ ট্রিক্স (চতুরতা) বা পলিটিক্স করছে । এক সঙ্গে দুটি ধর্মের লোককে এরা বোকা বানাতে চাচ্ছে।
অতি চালাকের গলায় দড়ি। সেই দড়িটি বোধহয় এখন আওয়ামী লীগের ঘাড়ে পড়তে যাচ্ছে ।
কঠিন হাশরের দিন নাকি নিজের হাত পা নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষ্মী দিবে। জানি না আওয়ামী লীগের জন্যে এই হাশরের নমুনা শুরু হয়ে গেলো কি না। কারন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানের মত লোকের মুখ থেকেও বের হচ্ছে যে সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় বর্তমান সরকারী দল জড়িত।' আওয়ামী লীগের সংখ্যালঘু প্রেমকে টিপ্পনি কেটে তিনি বলেছেন, 'সংখ্যালঘুরা দেশে থাকলে ভোট পাই, দেশ ছাড়লে জমি পাই।' এই সত্য কথাগুলি কী মনে করে উচ্চারন করলেন তা আল্লাহ মালুম। এখন তার আগের সকল আমলনামা বরবাদ করে দিয়ে তাকেও এখন জামায়াত শিবিরের লোক বলে তোফায়েল-নাসিমরা ঘোষণা করেছেন।
মুসলমানদের অনুষ্ঠানে গেলে বলেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। আবার হিন্দুদের পূজামন্ডপে গেলে বলেন যে মা দুর্গা বাম্পার ফলন দিয়েছেন। পরস্পর মুখোমুখি দুটি বিশ্বাসকে একজন মানুষ কখনই একসঙ্গে ধারন করতে পারেন না।যারা সবকিছু পারেন বলে দাবি করেন তাদের কোন কিছুই বিশ্বাস করা যায় না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো বলেছেন যে মদিনার সনদ অনুযায়ী তিনি দেশ চালাচ্ছেন । একজন সরকার প্রধানের কথা ফেলনা হতে পারে না।
কাজেই আজ মানতে হবে যে এই মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই সংবিধান থেকে তিনি আল্লাহর উপর পূর্ণ অাস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের বাক্যটি তুলে দিয়েছেন। মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে রাসুল(সঃ) এর বেশ ও লেবাসধারী প্রায় সকলকে তিনি জঙ্গী হিসাবে ডিক্লেয়ার করেছেন। মদিনার সনদের এই রাষ্ট্রে রাসুলের বেশধারী কোন মানুষ ইউনিভার্সিটির পাশ দিয়ে যেতে ভয় পান । এমনকি দাঁড়িওয়ালা ও পাঞ্জাবি পরা নির্মলেন্দু গুণ নির্ভয়ে কোন ভার্সিটি হলের পাশ দিয়ে সন্ধায় যেতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে। মদিনা ও রাসুল প্রেমিকদের জন্যে এই সুবন্দোবস্ত সবই হয়েছে তার এই 'মদিনা
সনদ' এর কল্যাণে।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণজাগরন মঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই মঞ্চের ব্লগাররা মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যে আল্লাহর রাসুলকে নোংরাতম ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
মদিনা সনদের 'আমিরুল মুমেনিন' হিসাবে তিনি নিজে শহীদ রাজীবের বাসায় চলে গিয়েছিলেন। সেদিন রাজীবের বাবা মা স্বাভাবিক থাকলেও এই 'মদিনা সনদ' এর অন্যতম খুটি বেগম মতিয়া চৌধুরী সেদিন কারবালার মা সকিনা বেগমের মত বুক চাপড়িয়ে মাতম করেছিলেন, 'রাজীব আমার রাজীব....... '। সেই মা সকিনারা এখন আর একবারের তরেও রাজীবের নামটি উচ্চারন করেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে কেউ ফেইস বুকে হুমকি দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেই হুমকি প্রদানকারীর জেল জরিমানা হয়ে যায়। কিন্তু নবী রাসুলকে চরমভাবে গালি দিলেও কারো কিছু হয় না। প্রশাসনে এই সহিষ্ণুতাটুকু এসেছে তার এই 'মদিনা সনদ' বাস্তবায়নের কারনেই।
মদিনার সনদ প্রতিষ্ঠার জন্যেই বর্তমান 'আমিরুল মুমেনিন' (লিঙ্গগত একটু সমস্যা থাকলেও এই পদবীটিই বেশি গ্রহনযোগ্য ) ইন্ডিয়ার একশ ভাগ 'হালাল' এক শিল্পীকে এনেছিলেন। নিজে স্টেজে থেকে টি-২০ বিশ্বকাপ মহাসমারোহে উদ্বোধন করেছেন। সেদিনের সেই অনুষ্ঠান দেখে মনে হয়েছে যে বেহেশতের হুরের জন্যে পরকাল পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই। আর কিছুদিন টিকে থাকতে পারলে তিনি এই কালেই দেশের তাবদ পুরুষকূলের জন্যে তার সুবন্দোবস্ত করতে পারবেন । ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ইমামদের জন্যে আমেরিকান ব্র্যাক ড্যান্সের ব্যবস্থা করেছিলেন তাতো এই 'মদিনা সনদ'কে পুরাপুির বাস্তবায়নের জন্যেই। এই ব্র্যাক ড্যান্সের আবেশে নাকি এক বড় ইমাম সাব ঈদের নামাযে তাকবির দিতে ভুলে গিয়েছিলেন । কারন ইমাম সাবদের সব তাকবির স্মরণে থাকলে এই 'মদিনার সনদ' প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।
এই মদিনার সনদের কারনেই সকল ধর্মের লোক আজ একাকার হয়ে গেছে। নিরীহ বিশ্বজিৎ শিবির হিসাবে দায়ের কোপ খেয়েছে। সংখ্যালঘুরা ভোট না দিলে আঙুল কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছিলেন, 'এরা মুসলমান নয়, এরা হিন্দু নয়, এরা আওয়ামী লীগার । '
চলনে বলনে শতভাগ সেকুলার এই সাংবাদিকের সাথে দ্বিমত পোষন করা আসলেই কঠিন হয়ে পড়ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৬ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৩০ মিনিটে মাত্র ১৮০০ ভোট কাস্ট? এদেরকে চাকরীতে রাখছে কি জন্য? ৩০ মিনিটে হাম্বাবাচুরগোরে তো বিজয়ী ঘোষণ করার কথা আছিল। হেরা এসাইমেন্ট ভাল ভাবে পালন করছে না।
ডক্টর খলীকুজ্জামান এর ভাষায় সংসদে ৭০ শতাংশ এরা ধান্ধাবাজ বর্তমান সংসদে ৭০ শতাংশ এ ধান্ধাবাজ শ্রেণীর লোক আছে । এসব কথা বলা অর্থই হলো ধান্দাবাজি করা।
আর কোরআন বলে এর জায়গা হবে জাহান্নামের শেষ স্থরে।
'ইন্নাল মুনাফিকুনা ফিদ দারকিল আসফালি মিনান নাস।'
দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল প্রতিভাধর দেশরত্নবালা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্তা, উপমহাদেশের একমাত্র ডজন ডক্টরেট হোল্ডার, যার মুখের ঝাঝালো কথা শুনলে ভদ্র সমাজের কর্ণ কুহুরে আলসার সৃষ্টি হয়, যার মুখের দন্ধান মুবারকের মইন্চার আগাতে বাংলাদেশপন্থীদের শরীরের লাল তরুতাজা সুরগা না থাকলে চোখে তন্দ্রা আসে না তিনার পবিত্র মুখ থেকে নিঃশৃত কথার এবারত, এবারতের শাব্দিক অর্থ, ইসতেলাহী মানে পারিভাষিক অর্থ, শানে নুযুল, হাকিকত ও মাজেজা বুঝতে পারেনি অধম বাঙ্গাল জাতি।
তিনি আসলে বলেছিলেন মদনের সনদ অনুযায়ী দেশ চলবে। মদিনার সনদের কথা বলেননি কোথাও। অধম জাতি এ কথার এবারত শুনেছেন কিন্তু তার অন্তর্নিহিত হাকিকত ও মাজেজা বুঝার চেষ্টা করেননি। তিনি তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এজন্য তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন তার পরিষদে দুনিয়ার সেরা মদনদেরকে। অবশ্য মদনদের সহযোগী হিসেবে কয়েকজন আবুলকেও নিয়োগ দিয়েছিলেন।
যেমন শুনুন এক মদনের বচন- জামাত শিবিরের কিছু লোক ন'তলা বিশিষ্টি বিল্ডিংয়ের পিলার ধরে টানাটানি করার ফলে রানা প্লাজা ধ্বসে গিয়েছিল।
আরেক মদনের বলেছিলেন-
আর বসে থাকার সময় নেই। আর কেউ হরতাল করলে তাদের বাড়িতে ঢুকে হত্যা করতে হবে।
আরেক মদনের উক্তি- ভারত আগে টিপাইমুখ ড্যাম চালু করুক। ড্যামের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে কী ধরনের ও কী পরিমাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়-সেসব দেখার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
আরেক মদনের উক্তি- বিরোধী দলের মামলা প্রত্যাহার করতে আমরা চেয়ারে বসেছি নাকি? বিরোধী দলের নেতাদের মামলা বাতিলের জন্য এ কমিটি করা হয়নি।
আরেক মদনের উক্তি- হলমারমের চার হাজার টাকা আত্মসাৎ সামান্য টাকা মাত্র।
আরেক মদনের উক্তি- "পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি কিন্তু পদত্যাগ করিনি"
আরেকজন আবালের উক্তি- দেশে বোরকা পরিহিতা মেয়েদের সংখ্যা সাংঘাতিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এদের রুখতে হবে।
আরেকজন আবুলের বচন- বোরকা পড়ে শুধু বেইশ্যারাই তাদের কলঙ্খিত মুখ ঢেকে রাখার জন্য।
হাল আমলের ওজীর নাজিরদের বচন ও কাজকাম না হয় নাই বা বললাম। স্ট্যাজে উঠে এরা প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেটের পোন্দাতে সূখটান না দিলে এসব মনদদের আবার হুশ থাকে না।
আপনার লেখার জন্য আগে বহুদিন বসে থাকতে হত..
আমরা যেন সাহস পাই আপনার লেখায়...
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও খায়রে মখদম করছি।
প্রত্যেকদিন ভাবি আজ আর লিখবো না। কিন্তু এমন বিষয় এসে যায় না লিখে আর থাকতে পারি না। আমার ছেলে তার মাকে বলে, ' আম্মু, তুমি ভুল করেছো আব্বুকে কম্পিউটারে বাংলা শিখিয়ে। আর আমি ভুল করেছি ফেইস বুকের নিয়ম কানুন শিখিয়ে। ' কারন ওদের সময় পুরোটাই খেয়ে ফেলেছে আমার এই নতুন অভিযান।
তারপরেও সময় বের করে মাঝে মাঝে অাপনাদের লেখা ও মন্তব্য পড়ব /যতদূর সম্ভব উত্তর দেব। তবে আমার সীমাবদ্ধতাটুকু দয়া করে বিবেচনায় নিবেন।
মাঝে মাঝে ভাবি, অন্য কাজ না করে যদি অধিকাংশ সময় লেখালেখিতেই থাকতে পারতাম। দোয়া করেন, অাল্লাহ যেন তেমন কিছু ব্যবসথা করে দেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন