মৌলবাদী টাকা ছুঁয়ে যৌগবাদী পতিতদের জাত যাওয়া এবং এক বিদেশী পতিতাকে 'ফাও খাওয়া'
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৪২:৩৪ দুপুর
ইরানী এক জাহাজ। থাইল্যান্ডের একটি পোর্টে ভিড়েছে । এই দেশের বন্দরগুলি নারী ব্যবসার জন্যে বিখ্যাত অথবা কুখ্যাত। সঙ্গত কারনেই জাহাজটির ক্যাপ্টেন নিজের দেশের রাষ্ট্রীয় নির্দেশটি জারি করেন। কোন মহিলা যাতে জাহাজের একোমোডেশনে উঠতে না পারে তজ্জন্যে বিশেষ পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু সার্বিক ফলাফল দেখে মনে হয় যে বিড়ালকেই বোধহয় শুটকির বাজারে চৌকিদার বানানো হয়েছিল।
আইন যত কড়া হোক না কেন কিংবা সমাজটি যতই রক্ষণশীল হোক না কেন- শিথিল চরিত্রের কিছু মানুষ সব সমাজে এবং সব জায়গাতেই থাকবে । ঐ জাহাজটিতেও এরকম কিছু মানুষ ছিল এবং ক্যাপ্টেনের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তারা কিছু মেয়েকে চুপি চুপি কিংবা পরস্পরের যোগসাজসে নিজেদের কেবিনে তুলে নেয়। দেখা যায় যাদের চরিত্র এক দিকে লুজ বা শিথিল , তাদের সব দিকই কেমন যেন লুজ বা শিথিল হয়ে পড়ে।
এই কালোবিড়ালদের মধ্যে একজন আবার ফাও খাওয়ার ফন্দি করে । অনেক চেষ্টা করেও সেই মেয়েটি তার পাওনা টাকা আদায় করতে পারে নি। শেষমেষ জাহাজের ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়ে নালিশ করে।
ক্যাপ্টেন তখন বন্দর ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এমন সময় এই উৎকট ঝামেলা দেখে ক্যাপ্টেনের মেজাজ যারপরনাই খারাপ হয়ে পড়ে। কারন জাহাজকে বন্দর থেকে নিরাপদে বের করার জন্যে পাইলট চলে এসেছে এবং জাহাজের রশি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই মুহর্তে যদি বাইরের কোন লোক অনবোর্ড অবস্থায় দেখা যায় তখন যে কোন ক্যাপ্টেনের মেজাজই বিগড়ে যাওয়ার কথা । তার উপর এই উৎকট অভিযোগ নিয়ে এসেছে ! এই কালোবিড়ালটি খুজে বের করাও সহজ হবে না ।
কাজেই মেজাজটি যথাসম্ভব ঠান্ডা রেখে ক্যাপ্টেন বলে, 'দেখো, তুমি নিজে বড় অন্যায় করেছো। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও এই জাহাজে উঠেছো । এখন চাচ্ছো সেইলিং মুহুর্তে আমার সমস্ত কাজ রেখে তোমার পাওনা আমি আদায় করে দেই। দয়া করে আমার চোখের সামনে থেকে যাও এবং তাড়াতাড়ি নেমে পড়ো ।
নাছোড়বান্দা মেয়েটি বলে, দেখো ক্যাপ্টেন, কোন বদমাইশ যদি তোমার নিজের মা বোনকে 'স্ক্রু' করে এভাবে টাকা না দিতো, তাহলে তোমার কী খারাপ লাগতো না ? বলো, ক্যাপ্টেন বলো। ...
আগে রক্তটি ক্যাপ্টেনের মাথায় উঠলেও এবার জায়গা পেলে পারলে চুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে! নিজের মাবোনকে নিয়ে এমন উৎকট তুলনা আর জটিল নৈতিক প্রশ্নের মুখে পড়ে সেই ইরানী ক্যাপ্টেনের অবস্থা সহজেই অনুমেয়।
সেদিন এই ক্যাপ্টেনের মনে যে ভয়াবহ বিক্রিয়া হয়েছিল সেই একই ধরনের ঘনঘটা বা বিক্রিয়া এদেশবাসীর মনে পুঞ্জিভূত হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে ইনুর অভিমান মাখা কথাটি শোনে । এই থাই বালা যে প্রক্রিয়ায় ইরানী ক্যাপ্টেনের মনে নৈতিকতা ও মানবিকতা জাগাতে চেয়েছিল। প্রায় একই প্রক্রিয়ায় কমরেডে ইনু এবং তাদের সাংস্কৃতিক ব্রিগেইড উদীচী এদেশের মানুষের মনে তা জাগরন করতে চাচ্ছে।
দেশের যে কোন ব্যাংকের সম্পদ জনগণের সম্পদ। সুদযুক্ত বা সুদমুক্ত যে কোন ব্যাংক হোক না কেন। যে দুটি ব্যাংক দেখে এই বাজিকরদের মুখের লালা বের হচ্ছিল তার মধ্যে একটি হলো গ্রামীন ব্যাংক এবং অন্যটি ইসলামী ব্যাংক। গ্রামীন ব্যাংককে এই মতলববাজের দল সুদখোরের ব্যাংক বলে গালি দেয়। অন্যদিকে সুদমুক্ত এই ব্যাংকটিকেও এই বক ধার্মিকরা জঙ্গীবাদের সাথে জড়াতে চায়। মূল মতলব হলো চাপে ফেলে কিছু ফায়দা লুটে নেয়া। সরকার ঘনিষ্ঠ কিছু টিভি চ্যানেলে এই ব্যাংকটির বিজ্ঞাপনের পরিমাণ দেখে মনে হয়েছে যে এটিকে তারা বোধহয় এখন গণিমাতের মাল হিসাবেই গণ্য করছেন।
এতদিন যারা এটিকে এক ধরনের গণিমাতের মাল হিসাবে গণ্য করে আরামছে ভোগ করে এসেছেন হঠাৎ সেই টাকার স্পর্শে এই ঠাকুরদের জাতটি কেন চলে যাচ্ছে তাতো মালুম হচ্ছে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৯ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইজান কি জঙ্গি-লিগের পক্ষে বললেন না কি বিরুদ্ধে বললেন কিছুই বুঝাগেল না,
যে ব্যাংকটি মানুষের আস্থার প্রতিক তাকে এভাবে শেষ করার জন্য এরা পিছনে লেগেছে। আপনার লেখাটা একেবারে সঠিক জবাব হয়েছে।
নাছোড়বান্দা মেয়েটি বলে, দেখো ক্যাপ্টেন, কোন বদমাইশ যদি তোমার নিজের মা বোনকে 'স্ক্রু' করে এভাবে টাকা না দিতো, তাহলে তোমার কী খারাপ লাগতো না ?
সেদিন এই ক্যাপ্টেনের মনে যে ভয়াবহ বিক্রিয়া হয়েছিল সেই একই ধরনের ঘনঘটা বা বিক্রিয়া এদেশবাসীর মনে পুঞ্জিভূত হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে ইনুর অভিমান মাখা কথাটি শোনে । এই থাই বালা যে প্রক্রিয়ায় ইরানী ক্যাপ্টেনের মনে নৈতিকতা ও মানবিকতা জাগাতে চেয়েছিল। প্রায় একই প্রক্রিয়ায় কমরেডে ইনু এবং তাদের সাংস্কৃতিক ব্রিগেইড উদীচী এদেশের মানুষের মনে তা জাগরন করতে চাচ্ছে।
মুই হেতের জুবাবে কইছি-
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ভা্ই, আপনেতো মনে হয় পাটি গনিতের এক্কান ভারচুয়াল কিলাশ শুরু কইরা দিলেন!
বিল্লি কো পহলে রাত মে মার ডালনা চাহিয়ে। প্রথম রাত্রেই বিড়ালকে মেরে ফেলা উচিত ছিল। কিন্তু হেতেরা প্রথম রাত্র থেকেই বিড়ালকে মাছ আর শুটকি দিয়ে জামা্ঈ আদর করেছে। অহন সেই বিলাইডা ব্যঘ্রর মত আচরণ কইরবার চাহে। সাঈদী হুজুরডারে জুডিশিয়াল হত্যার আদেশ দানের তাৎকনিক পতিক্রিয়ায় তামাম মুল্লকডারে এক হপ্তার জন্য অচল করেদিছিল। এই সুযোগে অনেক আদমী জান্নাকের নগদ টিকট সংগ্রহ করিল। আরেকডা হপ্তাহ এভাবে অচল না রাখার কুপরামর্শ কারা দিছিল? তহন যদি বড়জোর এক্কান হপ্তাহ চ্যতনাতে পেট্রোল দেওন যাইতো তাইলে কি পরবর্তী ম্যাসাকারগুলানরে দেশবাসীকে কি দেইখবার দূর্ভাগ্য হইতো? হেফাজতের উপর মেসাকার, সাতক্ষিরায় মেসাকার, নির্বাচনের সময় মেসাকার, গুম, খুন, গুপ্ত হত্যা, কেরোশিন ফায়ার, জঙ্গী নির্মূলের নাটক ইত্যাদি মানবতাবিরোধী কুকামগুলা করণের সুযোগ কি পাইতো?
আইজ দিলো তিন কোটি টাহা, কাইল দিতে অইবো তিনের সাথে শুন্য যোগ করে, পরশু দিতে অইবো আপনের সুন্দরী মাইয়াডারে, তরশু দিতে অইবো পশ্চাতের নরম মাংশডারে (স্যরি ভাই একডু অশ্লিল শব্দ ব্যবহার করে ফেলাইছি।)
এসব চাহিদাবাজ কুলাঙ্গারদের চাওনের কুনো শেষ নেই। কারণ হেতেরা নিজেরাই সন্দেহ করে যে কুনো মুহুর্তে গনেশ উল্টে যাইবার পারে। তাই নগত যেখান থিইক্যা যাহা হাসিল করণ যায় তাহাই লাভ। পেলেইনের টিকেট হেতেরগো পকেটে সব সময় থাকে। তাছাড়া হাম্বা বাচুরগো লিগ্যা সীমান্তে কাটাঁ তারের বেড়া নেই। আছে লাল গালিছা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন