বংশলতিকা এবং একটি জবাবের জন্যে প্রতীক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ১৮ মার্চ, ২০১৪, ০২:৪৭:৫১ দুপুর
এযাবত আমেরিকার যত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় বসেছেন তােদর প্রায় সবাই কোন না কোন রাজ রক্তের সাথে সংযুক্ত। এমনকি হাবশী বা কালো ওবামাও মায়ের দিক থেকে এই ধরনের নীল বা রাজরক্ত বহন করছেন বলে বংশলতিকা সংক্রান্ত গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে । এটি কাকতালীয় একটি ব্যাপার নয়,খুবই সযত্নে এই বিষয়টি বিন্যস্ত করা হয়েছে।
আগে আমাদের দেশেও বড় বড় চাকুরীর ক্ষেত্রে দীর্ঘ না হলেও সংক্ষিপ্ত বংশলতিকার এই খোঁজটি নেয়া হতো। এখন এসবের বালাই আর নেই। তাতে এর ফলাফল আমরা নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি।
নিচু শ্রণী এবং নিচু প্রকৃতির মানুষ সমাজ ও প্রশাসনের নেতৃত্বে চলে আসলে তার পরিণতি কখনই ভালো হয় না। কারন মানুষের সৎ গুণাবলী এবং অপরাধ প্রবণতা তার ডিএনএ তে ইম্প্লান্ট করা থাকে।
কাজেই বিখ্যাত ব্যক্তিদের বংশলতিকা জানার আগ্রহ অত্যন্ত স্বাভাবিক। যে যত বড়, তার সম্পর্কে এই আগ্রহ তত বেশি হয়। সেই আগ্রহটি স্বাভাবিক পথে মিটানো না হলে অস্বাভাবিক ধারনা বা গুজব সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িত এক নেতার বংশলতিকা সম্পর্কে এমনই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এব্যাপারে পুরো তথ্য না জেনে এই বিষয়টি ছড়ানো অত্যন্ত অনৈতিক ও গর্হিত কাজ হবে। অত্যন্ত স্পর্শকাতর হলেও বিষয়টি উল্লেখ করছি। কারন স্বপক্ষ এবং বিরোধীপক্ষের কিছু প্রজ্ঞাবান মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলা উচিত বলে আমি মনে করি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে সঠিক তথ্যটি সহজভাবে না দিয়ে ভুলভাবে এই 'গুজব'টি মোকাবেলা করা হচ্ছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে পর পর দুইবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের একটি লিষ্ট দিয়েছেন। নিজের বাবার রক্ত ছাড়া অন্য সকলকে নিজের পরিবারের বাইরে ঘোষণা করেছেন । তার ঐ ঘোষণা এই গুজবটিকে আরেকটু মজবুতি দান করেছে।
একজন যদি প্রশ্ন করে , আপনার নাম কি ?
তখন তাকে নামটি না বলে যদি পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, আমার নামে আপনার দরকার কী ?
সহজ জবাবটি সহজভাবে না দিয়ে আমরা এভাবে এটাকে অনেক সময় জটিল করে তুলি।
প্রশ্নকর্তা স্টুপিড হতে পারে -জবাবদাতা তা কেন হবে ?
একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে এই ধরনের দ্বি-মুখী ডায়ালগ বা ডিবেইটের প্রয়োজন রয়েছে। যত জটিল বিষয় হোক না কেন, যুক্তিতর্কের মাধ্যমে তা সহজ হয়ে পড়ে এবং অনেক সত্য বেরিয়ে অাসে। তাতে সমাজটি আরেকট সভ্য ও সহনশীল হয় । এই পরিস্থিতি না থাকাতে আওয়ামীলীগ এই গুজব(?)কে মোকাবেলা করতে অন্য একটি নতুন গুজব সৃষ্টি করেছে।
রাজ রক্ত বা নীল রক্তকে গ্লোরিফাই করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। মানুষের সহজাত আগ্রহের একটি উদাহরন টানতে বিষয়টি উঠে এসেছে। বলতে চেয়েছি , আমি যদি বেগম খালেদা জিয়া অথবা মরহুম শেখ মজিবুর রহমানের নানার নাম জানতে চাই তবে তা পাপ হবে না। একটি বিষয় গুজব হলেও তাকে মোকাবেলার ভদ্র ও প্রজ্ঞাপ্রসূত উপায় আছে। সেই উপায়টি খুজে পেতেই বিষয়টির অবতারনা।
বিষয়: বিবিধ
১১৫১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইদানিং হুনা যায় দেবদাস চক্রবর্তী নামে কুন এক জা..... সন্তানকে নিয়া তুলকালাম কান্ড শুরু হইছে। আসলে কথাডা কি হাচা?
ভোট দিয়্যুম দিয়্যুম কই অ্যাঁই মিছিল করিলাম,
অ্যাঁই কেন্নে ভোট দিয়্যুম অ্যাঁর বাপযে নাই।
লজ্জা দিয়ে আর লাভকী। যে উত্তরটি দিতে এত বাহানা, তাতো সবাই জানে...।
বর্তমান আওয়ামীলীগে রিক্সা মেকানিক, সমকামী, সন্ত্রাসী সব ধরনের লোক আছে। কাজেই জাতির বারোটা অনেক আগেই বেজে গেছে।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন