আয়ূব বাচ্চু ছিড়েছেন 'মাথার চুল' এবং কবর থেকে জিন্নাহ ছিড়ছেন সেই একই 'বাল'
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ১৪ মার্চ, ২০১৪, ০১:৪৮:১৬ দুপুর
শ্রদ্ধেয় পাঠক, এই অধমকে ভুল বুঝবেন না। উপরের শব্দটি মনে আর কানে বাজলেও এই অধমের টেকনিকেল সমস্যাটি একটি উপলব্দি করতে চেষ্টা করুন। কারন আমি যদি লিখতাম যে জিন্নাহ কবর থেকে হতাশায় 'চুল' ছিড়ছে তবে সমগ্র পাকিস্তান এবং সমগ্র উপমহাদেশের জিন্নাহ প্রেমিকরা আমাকে পিষে ফেলতো । আমাদের দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নামকে (প্রচলিত স্টাইল থাকার পরেও ) সংক্ষেপে উচ্চারন করা হয় না, সেই একই ভয় ও জটিলতা থেকে। যত সহীহ আর নির্দোষ নিয়তেই শব্দটি উচ্চারন করেন না কেন, কিমা হতে সময় লাগবে না।
ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তান এই দুটি দেশের সাথে আমরা কখনই মিশে যেতে পারবো না, তার বড় উদাহরন শিরোনামের এই শব্দ জটিলতাটি । কারন ওরা যখন এটি ওদের ভাষায় (হিন্দি এবং উর্দুতে) উচ্চারন করে, আমরা তখন কানে আঙুল ঢুকাই । আবার আমরা যখন আমাদের ভাষায় এটি উচ্চারন করি, তখন ওরা কানে আঙুল ঢোকায়।
কাজেই চেহারা, চলন বলন কাছাকাছি হলেও এই বিষয়গুলি সক্রিয় বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পরিশুদ্ধ জাতীয়তাবাদের রোড ম্যাপ বা চার্টটি অাঁকা হয়েছে। জাতীয়তাবাদের প্রশ্ন আসলে আমাদের দেশের যে কোন হিন্দু বা আনাড়ি গায়ক বা গায়িকারা ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের মুসলিম সুপারস্টারদের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবেন। কারন এরা আমাদের গায়ক,এরা অামাদের নায়ক। এই বোধটি ভোতা হয়ে গেলে একটি জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
আবার' এ আর রহমানগণ এদেশে কখনই গাইতে পারবেন না' - একুশ শতকের একজন বিশ্ব নাগরিক হিসাবে এমন ধরনের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদেও বিশ্বাস করি না । কিন্তু যখন কোন বিশেষ অনুষ্ঠানে শুধু আমাদের দেশ ও আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কথা, তখন ইন্ডিয়ান এই সুপার স্টারকে তুলে ধরা হলো কেন?
একইভাবে আমাদের এই বুকটিকে ফাটিয়েছিল নিজের নোবেল লরিয়েটকে দইয়ে ভেজাল দেয়ার মামলায় ফাঁসিয়ে অন্যের জনকে নিয়ে লাফালাফি করে!
আমাদের শিল্পীদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় শিল্পী আয়ূব বাচ্চুর গানের পর শ্রোতাগণ হাত তালি দিতে বিলকুল ভুলে গেছেন। কারন ইন্ডিয়ান পোলাও-কোর্মা-রেজালা-রোস্টের সামনে আয়ূব বাচ্চু, জেমস এদেরকে সব সাদাভাত বানিয়ে ফেলা হয়। সকল প্রচারনা এবং ট্রিটমেন্ট ছিল এই ধরনের। এখানে ভোক্তাদের কোন দোষ নেই,দোষ বা ক্রেডিটটি পরিবেশনকারীর। কারন পরিবেশনকারী চাইলে সাদা ভাতকেও ভোক্তাদের নিকট অমৃত বানিয়ে ফেলতে পারেন।
এমতাবস্থায় বেচারা আয়ূব বাচ্চু দর্শক শ্রোতাদের কানটি খোলা পেয়েই মাশাল্লা বহুত খুশি হয়েছেন , হাত তালি গুলি পরের অনুষ্ঠানগুলির জন্যে রেখে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। '
নিজের ঘরে এই নিদারুন অবহেলা আর ইন্ডিয়ান সুপার স্টারদের এই ঝলক আর চমকে অায়ূব বাচ্চুরাও তাদের 'সবটুকু ' দেখাতে সঙ্গত কারনেই ব্যর্থ হয়েছেন বা খেই হারিয়ে ফেলেছেন । একটা জাতির কনফিডেন্স কীভাবে শুষে নেয়া হয় গতকালের আয়ূব বাচ্চুর কন্ঠ ও অভিমান তার নিষ্ঠুর প্রমাণ। বোঝার বাকি রইল না যে নিজের ঘরের সুন্দরীকে পেত্নী বানানোর জন্যেই বাইরের মহা সুন্দরীকে এই বেদনাদায়ক ও অপমানজনক প্রক্রিয়ায় হাজির করা হয়েছে!
মনের এই কষ্টগুিল এখন আর কাকে বলব ?
একটা জাতির মনে হীনম্মন্যতা ঢুকিয়ে দেয়ার জন্যে যা যা করার দরকার, এই সরকার তার কিছুই বাকি রাখলো না !
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়টি জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দিয়েছিলাম বা তা তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। গতকাল মনে হলো , এদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার সুখ টুকু এ আর রহমানদের হাতে নির্বিচারে তুলে দিয়েছি।
ছ্যাকা খেলে কবিতার কথা মনে হয়। এখনও তাই মনে পড়ছে। কবিতাটির নাম স্বাধীনতার সুখ। লাইনগুলি নিম্নরূপ:
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তাই ?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
আজ রং বেরং য়ের 'স্বাধীনতার চেতনা ' আমাদের স্বাধীনতার এই সুখটুকুকে খেয়ে ফেলেছে। কেউ বাবুই সাজতে গেলে চেতনার এই চড়ুই পাখিরা কালি ছিটিয়ে তাকে কাক বানিয়ে ফেলে।
সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে কবরে বসে ব্যারিস্টার জিন্নাহ তার মাথার 'হেয়ার ' ছিড়ছেন । কারন কোন দুঃখে তড়িঘড়ি ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন যে উর্দু এবং একমাত্র উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তার চেয়ে বরং কয়েকজন এ আর রহমান, অমিতাভ বচ্চন আর শাহরুখ খান তৈরির পরিকল্পনা নিলে কয়েক বছর পর এই বাঙালীই বলতো,' ব্যারিস্টার ছাহাব, কোন চুদুরবুদুর চইলত না , উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করতে অইবো কইলাম । ' এই দাবির জন্যে পারলে নিজেরাই অনশন করতো।
এই তুখোড় ব্যারিস্টার অনেক কিছু চিনতে পারলেও এই বাঙালীকে সত্যিই চিনতে পারে নাই।
বিষয়: বিবিধ
৫৮১৫ বার পঠিত, ৭০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি নিশ্চয়ই K.F.C. তে খেতে গেলে ডাল-ভর্তা খেতে চাইবেন না !
বাচ্চু - মাইলসদের ভাগ্য ভাল যে দর্শক হাতে তালিও দেয় নি আবার কাবাবে হাড্ডি দেখে চুপ চাপ ছিল , হট্টগোল করেনি।
এ.আর.রহমান-উদিত নারায়নদের গানের মধ্যে যদি বাচ্চু চাচ্চুদের গান ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তো আয়োজকদের মারধোর করা উচিত ছিল '' ৭৫০০০ টাকা দিয়া টিকিট কাটছি কি বাচ্চুদের দেখবার জন্য ?''
KFC তে কারা খায় জানা আছে কি? বড়লোকের কিছু ছেলে-মেয়ে যারা সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার যায়, কেননা জীবনে তা দেখে নি। যারা বাংলাদেশী সংস্কৃতি কি জানে না। জাতীয় সংগীতের পাঁচ লাইন বলতে গেলে দশবার ভুল করে।
গতকালের হুংকার ছিল পুঁজিবাদীদের হুংকার। কেননা, ৭৫০০০ টাকা টিকেটের দাম করে পুঁজিবাদরা এই দরিদ্র দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে গতকাল স্ট্যাডিয়ামে ঢুকতে দেয় নি।
যারা কাল অনুষ্ঠানে ছিল তারা সবাই ছিল KFC গোছের। তারা বাংলাদেশ কি তাও জানে না, বাংলাদেশের গান কি তাও জানে না। তারা সারাজীবন ঘরে বসে এ আরের গান শোনে আর ডিস্কো নাচে।
সংস্কৃতিবান সাধারণ দর্শকদের কালকে অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হলে পাপনকে জুতা পেটা করা হত।
ভাষা আন্দোলনের স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাসেম এর মৃত্যুবার্ষিকি উপলক্ষে একটি স্মরন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই খবর পেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করলেন উনি কে?
কিন্তু এইজাতির কিশোর কিশোরিাও ক্যাটরিনাকাইফ কি শচিন টেস্ডুলকর এর চেীদ্দগুষ্টির বিবরন দিতে পারে।
মাহমুদুর রহমান তো নেই। এখন আপনি সেই ভুমিকা কিছু টা হলেও রাখবেন। এই প্রত্যাশা আমাদের।
লর্ড ম্যাকেল প্রণিত শিক্ষা ব্যবস্থায় সে বলেছিল- এই শিক্ষায় এমন কিছু লোক তৈরি হবে যারা দৈহিক ভাবে বাঙালি হলেও, চিন্তা চেতনায় হবে ইংরেজ।
এখন আমরা বলতে পারি
বালের এই রাজত্বে এমন কিছু চেতনাধারী পোলাপাইন তৈরি হবে যারা মাতৃভাষা দিবস পালন করবে ‘চিকনী চামেলী’ আর ‘নাগিনী’র তালে তালে
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
আপনি আলবৎ ঠিক বলেছেন, বাংলাদেশীদের জন্য 'বিদেশ' মানে ভারত।
ভাল যুক্তি। শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী পরিষদের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের কে আপনার তুলনায় এখন ছোট্ট শিশুই মনে হচ্ছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়টি জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দিয়েছিলাম বা তা তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। গতকাল মনে হলো , এদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার সুখ টুকু এ আর রহমানদের হাতে নির্বিচারে তুলে দিয়েছি। খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কথা।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
তরুণ সমাজও যে হিন্দীকে এভাবে ন্যাক্কারজনকভাবে গ্রহণ করেছে এই অনুষ্ঠানের আগে বুঝিনি।
বাংলা গানের সুপারস্টারদের আজ এত অবহেলা? জাতীয় সংগীতকে বন্দেমাতরমে রুপান্তরিত করলেও বুঝি এই তরুনেরা জাগবে না। কারণ ওটাতে আজ হয়তো অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আমরা এত উদার যে, আমাদের লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই। এ জাতি "বাল" সরকারকে আজীবন মনে রাখবে তাদের কর্মকা্ন্ডের জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ এ ব্লগ জগতে নতুনদের জাগাতে এসেছেন বলে।
এদের দূঃষ্কর্ম ভুলতে মাত্র এক/দুই সেশনই যথেষ্ট এ জাতির জন্য।
মানুষ হিসাবে আমাদের দূর্ভাগ্য এই যে, আমরা ডিভাইন জাতীয়তাবোধ বা জাতির পরিচয়কে (মুসলিম) গৌন করে - শঠ ও প্রতারকদের দেওয়া অলীক জাতীয়তাবোধকে আকড়ে ধরতে গিয়েছি (৪৭ পূর্ব ভারত, ৪৭ পরে পাকিস্থান আর ৭১ পরে বাংলাদেশ) - এবং বার বার প্রতারিত হয়েছি, বঞ্চিত হয়েছি, রক্ত জরিয়েছি, লাশ হয়েছি।
আজকের এই বিতর্ক ও আলোচনা - আমাদের কৃত্রিম আইডেনটিটির কারনেই যৌক্তিক - যা আমাদের কে কষ্ট দিচ্ছে।
অথচ আমরা যদি আমাদের সত্যিকার জাতি স্বত্তার পারসপেকটিভ হতে এই চিন্তা ও আলোচনা করতে পারতাম - তবে মিথ্যার চাদর সরতে শুরু করতো এবং সত্যের জন্য সংগ্রাম ও ত্যাগ করা সহজ হতো - জাতিকে প্রতারিত হয়েছে এমন বোধ হতে মুক্তি দেওয়া যেত।
ধন্যবাদ - চমৎকার লিখনীর জন্য।
মসজিদের নগরী ঢাকা আজ বেশ্যাদের নগরীতে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার। এই কথাটা সাহস করে বলার মানুষ সমাজে খুবই কম।
জালিম সরকার আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল সংসদ নির্বাচনে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে আমরা এর জবাব দিতেছি। আগে শেষ হোক উপজেলা নির্বাচন। পরে হিসেব নিকেশ হবে। এত নতুন একটি সরকারের! জনপ্রিয়তা এত তাড়াতাড়ি কমলো কি করে!
আসলেই কি ৫ জানুয়ারী কোন নির্বাচন বাংলার মাটিতে হয়েছিল নাকি পিকনিক হয়েছিল সরকারী টাকায়?
পাঠকদের জন্য নাহিদ হেলালের লেখা একটা লিঙ্ক দিলাম:
T-20 বিশ্বকাপ কনসার্ট: আমি দু:খিত একজন বাংলাদেশী হয়ে
দেখুন, এই শিল্পীরাই আবার আওয়ামী চেতনা চেতনা বলে দেশটার বারটা বাজাইছে। আওয়ামীদের ক্ষমতায় আনার জন্য এই সব চেতনাধারী শিল্পীরা বহুত নাটকের অবতারনা করেছে এই বাংলায়। যার একটা হল যুদ্ধাপরাদ, আরেকটা হল জঙ্গীবাদ আবিস্কার ইসলামের ভিতর।
এখন না পাওয়ার বেদনায়, ঐসব শিল্পীদের কলিজা বিষে নীল হয়ে গেছে। আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য, একটু সময় নিয়ে অপেক্ষা করুন!
স্বাধীনতার সুখ
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তাই ?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
চেতনার বাড়াবাড়ী
চেতনার কড়াকড়ি
চ্যতনায় মোরা উদ্ভ্রান্ত।
চেতনায় কথা কয়
চেতনায় গান গায়
চ্যাতনায় গিলে খায় সীমান্ত।
চেতনার নীল বীষে
আশা ধুলি সাথে মিশে
বিভেদের রেখা হয় পূর্ণ।
চেতনার শত কথা
চেতনার কথকতা
চ্যাতনার পশ্চদ যাত্রা।
হায় হায় চেতনায়
পশ্চাতে চেয়ে রয়
আগামীর নেই কোন ভাবনা।
খুনিদের লাফা লাফি
লুটেরার দাপাদাপী
চ্যাতনার দুই চোখ বন্ধ।
চেতনার আমদানী
নহে কোন রপ্তানী
চ্যাতনার অদ্ভুত বাণিজ্য।।
ভালো লাগলো। নিয়মিত লিখবেন
১৯৭১ সালে পাক বাহিণী বাংলাদেশীদের উপর যে ভাবে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিল, অত্যাচার, জুলুম ও ধর্ষন করেছিল তারই প্রতিধ্বনি দেখতে পাচ্ছি এই আওয়ামীদের কার্যকলাপের মাঝে । মনে হচ্ছে এরাই যেন সেই সময় পাকিস্তানী বেশে ভয়ংকর ও নির্মম কান্ড করেছিল তাই সেই পাক হানাদার বাহিনীর সাথে আওয়ামী হানাদার বাহিনীদের মাঝে পার্থক্য দেখতে পারি না বরং হুবহু মিল খুজে পাই।
------ বঙ্গবীর-কাদের
প্রদেশ) হিন্দি ভাষায় অনুষ্ঠান
হবে । IPL এর খেলা হবে । কনসার্ট
করবে হিন্দুস্হানের শিল্পীরা ।
এতে অবাক হবার কি আছে ?
মূর্খমন্ত্রী হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মন
মোহনসিং এর আদেশ মানতে বাধ্য ।
আপনাদের কিছু বলার
থাকলে প্রধানমন্ত্রীকে বলুন ।
শুধু শুধু মূর্খমন্ত্রীর দোষ
দিয়া লাভ কি ?
মিনার রশীদ ভাইকে ব্লগে স্বাগতম, সুস্বাগতম। প্রথমে প্রথমে মনে করেছিলাম, এ কোন ব্যক্তি, ডুপ্লিকেট ভেবে তেমন গা করিনি, এখন আবিষ্কার করে চমকিত হয়েছি, এযে আমার সেই চির চেনা কলামিস্ট, যাঁর কলাম আমি প্রতিদিন, পত্রিকার পাতায় হন্যে হয়ে খুঁজি...........। এই ব্লগরে পাঠক পাঠিকা আর লেখক লেখিকাদের এটা যে পরম পা্ওয়া। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবি হউন....আমিন।
****** জঙ্গিবাদী--মুজিব বাহিনির তাণ্ডব ******
আজ ১৪ ই মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩০ মিঃ ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ ইসমাইল হোসেন সবুজের বাড়িতে ৭১ এর মত জঙ্গিবাদী--মুজিব বাহিনী জঙ্গি ততঃপরতা চালায়,
রাত ১০:৩০ মিঃ এ চেয়ারম্যান আনোয়ার উল্লাহ তার সহযোগী জঙ্গিবাদী প্রায় ১০০ জন জঙ্গি--মুজিব বাহিনী নিয়া-- ভাইস -চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সবুজ মিয়ার বাসায় বোমা - বন্ধুক - কাটা রাইফেল - রামদা - ব্ললাম নিয়া হামলা চালায়,
জঙ্গি -- লীগ প্রথমে চারদিক থেকে বোমা মেরে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করে,
এতে আশেপাশের লোকজন সাহায্যের জন্য এলে জঙ্গি-মুজিব বাহিনী বন্ধুকের গুলি চালায়,
সাথে সাথে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয় ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ,
ঘটনার সময় ক্লোশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়িতে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করা হয় কিন্তু পুলিশ সাহায্য করতে অসম্মতি জানায়,
জঙ্গিবাদী -- মুজিব বাহিনী ভাইস চেয়ারম্যান সবুজকে ভোট কেন্দ্রে গেলে কিংবা বিজয়ী হলে হত্যার হুমকি দেয়,
১৯ দলের নেতা-কর্মী সবাইকে অনুরোধ করছি, দয়া করে ভাইস-চেয়ারম্যান সবুজ ভাইয়ের পাশে থেকে জঙ্গিবাদী - মুজিব বাহিনীকে প্রতিরোধ করুন,
from == http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/5409/dhaka2012/40664#.UyNVFs48FoI
আজকের উপজেলা নির্বাচন এর দুটি উপজেলার খন্ডচিত্র তুলে ধরলাম। কখনো সুযোগ হলে এ কারচুপি নিয়ে লিখতে ভুলবেননা।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এর নির্দেশে রাত 2 টায় স্বয়ং সরকারী প্রশাসন প্রায় সকল কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রে কিছু সাজানো ভোটারকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। (কফিলউদ্দীন থিউরি অনুযায়ী)।
নাংগলকোট উপজেলায়ও শেয়ারচোর খ্যাত মন্ত্রীর নির্দেশে প্রচুর কেন্দ্র সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই দখল করা হয়েছে।
বাহ! কি চমৎকার সুষ্ঠ নির্বাচন!!
প্রধানমন্ত্রী হিন্দি ছবি দেখিতে দেখিতে সময় পার কইরা দেওনের লাগি, নিজের গুণধর ছেলের নুনু ছাটাই করার সময় পান নাই। তাহলে সমাধান হইবে কিভাবে?
সুতরাং এই দেশটিকে আগ্রাসন মুক্ত রাখতে চাইলে এখনই প্রতিকার হওয়া উচিত। আর একথা নিশ্চিত যে, বর্তমান বাংলাদেশে ইসলাম প্রিয় মানুষেরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
প্রতিদিন ভারতের আগ্রাসন হাতে আমাদের সাংস্কৃতির গাত্রকে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে সাথে আমাদের কোমলমতি শিশুদেরকেও করছে তাদের মুখি। সকালে উঠে শিশুরে এখন হিন্দি কথা বলে আমাকে বলে আপ কেসে হ্যায়,
তখন বুকটাকে কেউ যেন তীর ধনুক নিক্ষেপ করছে এই কথা গুলো শুনে,
আমাদের শিল্পীরা হাত তালি পায়নি সেখানে আমার দুঃখ নাই, দুঃখ আছে অন্যখানে । আর সেটা হলো এমন দিন আসবে আমাদের কোন নাটক সেনিমা কিংবা কোন শিল্পী থাকবে না, সবখানে তারা এসে দখল করে নিবে এমনকি আমাদের মুখের ভাষাও
বাল দেশটাকে ভারত মাতার অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে।
ধন্যবাদ
/////// আর শুনেন আমি আওয়ামিলিগ করিনা কিছুই করিনা ///////
জয় চেতনা...
তবে দু:খ হচ্ছে আমাদের শীর্ষস্থানীয় শিল্পীদের জন্য। সারা জীবনই এরা সমর্থন করে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগকে।আর প্রতিবেশী দেশের দাদাবাবুদের সামান্য সান্নিধ্য পেলেই জীবন স্বার্থক মনে করেছেন। আজ তাদের পছন্দের সরকার ক্ষমতায়। আর পরম পূজনীয় দাদা-দিদিরা এসে দখল করছেন তাদের সাজানো মঞ্চ। নিয়তি বড়ই নির্মম!
পৃথিবীর কোন স্বাধীন দেশের আয়োজনে বিশ্বমানের একটি অনুষ্ঠানে অন্যদেশীয় সংস্কৃতির প্রচার কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশের আত্মসম্মানহীন কিছু দলবাজ ভুঁইফোড় লোক ক্ষমতা হাতে পেয়ে বালখিল্য আচরন করে যাচ্ছে। এদেরকে তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি।
শ্রদ্ধেয় কলামিষ্ট মিনার ভাইকে ব্লগে স্বাগত
আপনাদের সবার মন্তব্য পড়ে সত্যিই মুগ্ধ। মনে হচ্ছে এই দেশ ও জাতিকে কখনই পদানত করে রাখতে পারবে না। এক মাহমুদুর রহমানকে আটকালে আরো শত শত মাহমুদুর রহমান বের হয়ে পড়বে। সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
এক হারাম কাজের জন্য নতুন হারাম কাজ। বহবা নামধারী/গরুখাওয়া/বিদআতি নামধারী মুসলমান।
এই দাবির জন্যে পারলে নিজেরাই অনশন করতো।
১০০%সহমত
মন্তব্য করতে লগইন করুন