এই 'খোদার খাসি ' দের জন্যে কবরেও কি এসির ব্যবস্থা করা হবে?
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ১২ মার্চ, ২০১৪, ১১:৩০:০০ সকাল
OIC কে অনেকেই ডাকেন Oh I See বলে। বঙ্গানুবাদ করলে দাঁড়ায় অনেকটা এরকম , ' চিন্তা কইরেন না , আমি দেখছি। '
এটি বুঝতে পেরে বসনিয়ান মেয়েরা তাদের জন্যে কিছু জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি পাঠাতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। ' এর চেয়ে অধিক কিছু চাহিয়া' ওআইসির ব্রাদারদেরকে এই সিস্টাররা লজ্জা দিতে চায় নি।
সার্বদের 'এথনিং ক্লিনজিং' প্রতিরোধ করতে সহজ টেকনিক হিসাবে এই আহ্বানটি বসনিয়ান সিস্টাররা জানিয়েছিলেন । আমার মনে হয়, মুসলিম বিশ্ব আপদকালীন স্টকে এই আইটেমটি যোগ করতে পারে।
' ওহ আই সি' র সফররত মহাসচিব রোহিঙ্গাদের সি (See) করতে কক্সবাজারে যেতে চেয়েছিলেন। ইনারা আগে শুধু 'সি' করতেন, এখন করেন সি(see)র চেয়েও ঝামেলামুক্ত 'ইচ্ছে -পোষণ ' ।
হেলিকপ্টারে এসি না থাকায় তার সেই সফরটি বাতিল করতে হয়েছে। মহামান্য অতিথি কিংবা তাঁর হোস্ট সরকারের কাছে শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটটি কতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে।
যে সরকার নিজের খরচে পদ্মা সেতু বানানোর বাগাড়ম্বর করছে, তারা কেন এই ধরনের বিদেশী মেহমানদের ব্যবহার উপযোগী একটি হেলিকপ্টার ব্যবস্থা করতে পারে নাই ? যেখানে আজকাল সাধারন একটি গাড়িতেও এসি সংযুক্ত থাকে, সেখানে এই ধরনের মেহমান পরিবহনের নিমিত্তে হেলিকপ্টারে কেন এসি থাকবে না ? মৌসুমের এই সময়টিতে বাংলাদেশের মত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের আকাশ হিউম্যান কমফোর্টের কতটুকু বাইরে ছিল সেটাও প্রশ্ন। ইইসি বা অন্যকোন সংস্থার এই মাপের কোন কর্তা ব্যাক্তিকে নিয়ে এই ধরনের সংবাদ শিরোনাম কি কখনও হবে ?
কাজেই অনেকগুলি প্রশ্ন মাথায় গিজ গিজ করছে। মনটাও আজ বেশ বিক্ষিপ্ত। কাজেই কথাবার্তায় একটু উল্টাপাল্টা হলে আশা করি ক্ষমাসুন্দর মনে গ্রহণ করবেন।
এক এগারোর আগে দেখেছি অামাদের সমাজের চিহ্নিত সেনা বিদ্বেষী অংশটি হঠাৎ করে সেনাবাহিনী প্রেমিক সেজে বসেছে। তার পরিণাম কিছুদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে ।
তেমনি আজ এই ওআইসি কে নিয়েও এই 'অতিরিক্ত মহব্বত' দেখা যাচ্ছে। অনেক দুর্বলতা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই সংস্থাটি মুসলিম জনগোষ্ঠির শেষ অবলম্বন,আশ্রয় । 'তেমন কোন কাজ হবে না' এটা জেনেও মুসলিম বিশ্ব এই দাওয়াইটিকেই মরার আগে ব্যবহার করে।
'হঠাৎ সেনাপ্রেমিক'দের মতো হঠাৎ 'ওআইসি প্রেমিক'দের তৎপরতা তাই মনে নতুন আশংকার সৃষ্টি করেছে।
কাজেই প্রশ্ন, ওআইসির মহাসচিবকে এদেশের জনগণের চোখে এই ভাবে 'খোদার খাসি' বা হাস্যকর বানানোর জন্যেই কি এই আয়োজনটি করা হয়েছে ? অপ্রিয় হলেও এটা সত্য যে ২ বিলিয়ন মুসলিম এবং বাদবাকী বিশ্ব আজ তাঁকে এভাবেই দেখছে ! ইমেইজের (যতটুকু আছে) এই ক্ষতিটুকু কি তারা আদৌ টের পাচ্ছেন ?
এখানেও সম্ভবত এক ঢিলে অনেক পাখি মারা হয়েছে।বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে।
'৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ছিল' এই ধরনের একটি প্রত্যায়নপত্র তাঁর কাছ থেকে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এদেশের মানুষ যা দেখেছে এবং পুরো গণতান্ত্রিক বিশ্ব যা উপলব্ধি করেছে তা সব ভুল। রাজতন্ত্রের এই এক্সপার্ট এখন দিচ্ছেন গনতন্ত্রের সবক ! কানের ডাক্তার বলে দিচ্ছেন যে হার্ট বিলকুল ঠিক অাছে।
এক সাদা মেম সাহেব ঘোড়া চালানোর প্র্যাকটিসে গেছেন। সাথে এক নেটিভ সিপাহী। মেম সাব নিজের উপর এত কনফিডেন্ট ছিলেন যে অন্তর্বাসগুিলও সব পরে যান নি। এক অসতর্ক মুহূর্তে পরনের ফ্রকটি উল্টে যায়। নিজের অপ্রস্তুত অবস্থা কাটাতে সিপাহীকে লক্ষ করে মেম সাব বলে ওঠেন, ' দেখলে, দেখলে আমার ভিজিলিয়েন্স (সতর্ক ও জাগ্রত অবস্থা) দেখলে ? '
নিচ থেকে উৎফুল্ল ও তৃপ্ত সেই সিপাহী বলে উঠে, 'বহুত দ্যাখা মেম ছাহাব,বহুত দ্যাখা..। '
বেচারা সিপাহী ধারনা করেছিল যে সে যা দেখেছে তাকেই বোধ হয় মেম সাবদের মুল্লুকে 'ভিজিলিয়েন্স' বলে।
এই মেম সাহেব সেদিন সিপাহীকে দেখিয়েছিলেন 'ভিজিলিয়েন্স' । একই ভাবে সরকারের কাপড়টি খুলে গিয়ে যা প্রদর্শিত হচ্ছে তাকেই আমাদের মতো আবং (বোকা) দের মনে করতে হবে 'গণতন্ত্র'!
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামতো এটলিস্ট বেওয়ারিশ লাশের দাপন দেয়,
আর ওরা কাউন্সিল করে রোস্ট খায়!!!
ব্রাদার বরাবরের মত অসাম!
মন্তব্য করতে লগইন করুন