ইন্ডিয়ার গুন্ডে নয় - এই মুহুর্তে দরকার ছিল পাকিস্তানের একখানা 'পান্ডে'
লিখেছেন লিখেছেন মিনার রশীদ ০২ মার্চ, ২০১৪, ০৮:২২:০৮ রাত
ইন্ডিয়ার গুন্ডে ছবির বিরুদ্ধে এক যুবকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদের ছবি ছাপিয়েছে দেশের এক নম্বর পত্রিকা প্রথম আলো। গুন্ডের বিরুদ্ধে কিছু শ্লোগান কাগজে লিখে ফেরিওয়ালাদের মত নিজের গলায় ঝুলিয়ে একাকি দাড়িয়ে প্রতিবাদ করছেন একজন মাত্র যুবক ! প্রথম আলোর চোখে গুন্ডে সিনেমার বিরুদ্ধে এটিই হয়েছে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ! মনে হচ্ছে, তার এই প্রতিবাদে দিল্লীর মসনদ যেন তছনছ করে খসে পড়ছে!
হু............ম, ব্যতিক্রমী প্রতিবাদেরএই ছবিটি দেখে যা বোঝার তা বুঝে গেছি। আমাদের দেশপ্রেমকে সেভাবে জাগাতে বা ইরেক্ট করতে পারে নাই এই গুন্ডে । 'কাজেকাজেই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি' যে আমাদের পরিপূর্ণ জাগরন বা ইরেকশনের জন্যে দরকার পাকিস্তান থেকে অনুরূপ একটি পান্ডে।
ইন্ডিয়ার গুন্ডে সিনেমাটি আমাদের আঁতে কতটুকু ঘা দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।' গুন্ডে 'র হর্তাকর্তারা সাফ সাফ জািনয়ে দিয়েছেন যে তারা ছবির ভেতরের 'গরম মসল্লা'টি পরিবর্তন করবেন না। মাঝখান থেকে আমাদের আর্তনাদ ছবিটির প্রচার ও বাণিজ্যিক সফলতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
কোথায় যাবো অামরা?
উত্তপ্ত কড়াইয়ে আমাদের দহনটিকেও এরা বাণিজ্যের লক্ষ্মী বানিয়ে ফেলে !
এই মুহুর্তে দেশের মানুষ খুজছে গণজাগরন মঞ্চের ডাঃ ইমরান সরকারকে। খুজছে জাফর ইকবাল, নািসরুদ্দীন ইউসুফ গংদের। শাহবাগের সেই তরুণরা আজ কোথায়? ইন্ডিয়ার পণ্য বর্জন কই? ইন্ডিয়ান এমবাসি অবরোধ কই?
আলো-স্টার-চ্যানেল আই গংদের ভায়াগ্রার স্টক মনে হয় খািল হয়ে পড়েছে। গণ জাগরনকে এরাও আর আগের মত জাগাতে পারছে না।
আমার কাছে অবাক লাগে যে একটা দেশের যুব সমাজ কীভাবে এই ধরনের কপটতা বা হিপোক্রেসিতে জড়িয়ে পড়তে পারে ? যৌবন তো কখনই এই ধরনের কোন হিপোক্রেসিকে আলিঙ্গন করতে পারে না ?
তাহলে কি যৌবনের আড়ালে এরা সব বৃদ্ধ, বৃদ্ধ আর বৃদ্ধ ! বাহির থেকে বিশেষ ভায়াগ্রা প্রয়োগ করে এদেরকে মাঝে মাঝে উথ্থিত করা হয় ?
ইন্ডিয়ার গুন্ডে নিয়ে গনজাগরনের জাগরন বা ইরেকশন কতটুকু হয়েছে তা ইতিমধ্যেই মাপা হয়ে গেছে। এখন পাকিস্তানের পান্ডে নিয়ে ব্রেিকং নিউজটি পাওয়ার পরবর্তী কয়েক মুহুর্তের চিত্রটি একটু কল্পনা করা যেতে পারে।
কল্পিত পান্ডে ছবিটি নিয়ে ব্রেকিং নিউজটি পাওয়ার সাথে সাথেই ইসলামাবাদের সাথে সকল ধরনের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষনা দিয়ে ফেলবে ঢাকা।
বাংলাদেশের সবগুলি টিভি চ্যানেল সাথে সাথেই অনির্ধারিত টক-শোর ব্যবস্থা করে ফেলবে। পাকিস্তানের পতাকা শুধু রাস্তার ছোড়া-ছুড়িরাই নয়, সুলতানা কামােলর মতো সুশীলা বুড়িরাও মনের আনন্দে পোড়াবে।
ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এই ব্র্যেকিং নিউজটি পেয়ে রীতিমত অস্থির হয়ে পড়বেন । কিছুদিন আগে তরুণদের উপর দায়িত্ব অর্পন করে সবেমাত্র জীবনের পরম আয়েশে কবিতার বইটি পড়া শুরু করে দিয়েছেন। সেই কবিতার বইটি রেখে দিয়ে বৃদ্ধ জাফর আবারো তরুণ হয়ে পড়বেন। সম্ভব হলে নিজের ছাত্রদের আবিস্কৃত ড্রোনটিতে (খেলনা বিমানের দেশীয় মডেল!) চড়ে চোখের পলকেই ঢাকায় ফিরতেন। ডাক দিয়ে বসতেন তৃতীয় মুক্তিযুদ্ধের।
ইন্ডিয়া যেহেতু গুন্ডে বানিয়েছে, পাকিস্তান এখন পান্ডে না বানিয়ে ছাড়বে না। হিসাবটি পানির মত পরিস্কার। কাজেই সুরঞ্জিত বাবুকে দিয়ে সম্ভাব্য এই পান্ডে সিনেমাটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ একটি সেমিনার করিয়ে রাখলে মন্দ হয় না। চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলে সেই পান্ডের অান্ডেটি আচ্ছামত চিপে ধরতে পারেন সুরঞ্জিত বাবু।
ব্রেকিং নিউজটির পরপরই ' সেই পান্ডের আন্ডে চেপটানো সেমিনারটি ছেড়ে দিলে গুন্ডে নিয়ে বর্তমানে হতাশ দেশের মানুষ এই ইরেকশন বা জাগরন দেখে সত্যি সত্যি অভিভূত হয়ে পড়বে ।
বিষয়: বিবিধ
১১২৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই মাত্র চট্টগ্রামে সমরেশ মজুমদার কে নিয়া এক সম্বর্ধ্যনায় কিছূ মানুষের ছ্যাবলামির যা নমুনা দেখলাম। একজন ভাল লেখক অবশ্যই যে দেশেরই হোক সন্মানের পাত্র। কিন্তু এই ছ্যাবলাদের জ্ঞান কিন্তু তার ট্রিলজি(কালবেলা, কালপুরুষ,উত্তরাধিকার) বড়জোড় গর্ভধারিনি পর্যন্ত। কেউ আবার শুধু অর্জুন সিরিজ এর ভক্ত। অথচ তার ভাল লিখাগুলি বেশিরভাগই পড়েননাই। কিন্তু ছ্যাবলামির কমতি নাই।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের ।
গুন্ডের ঘটনা যতই আমাদের গা জ্বালা ধরাক না কেন কথাটা তো সত্য
এটাই তো সেই ছবি যেটা নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই । এখানে বসা লোক দুজনের মধ্যে কোনটা বাংলাদেশী ?
সত্য মোকাবেলা করা এত সহজ নয় । সারাটা জীবন মিথ্যা দিয়েই জীবন যাপনে অভ্যস্ত বাংলাদেশীরা সত্যের ঝাঁঝ পেয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন