রামেক, সিওমেক ও রমেকের সাবেক প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম এর ইন্তেকাল

লিখেছেন লিখেছেন নাহিদ নোমান ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০১:৫০:৩১ দুপুর

বিশিষ্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মুয়ায্যাম গত ২২শে জানুয়ারি বিকেল ৩:৪৫ মিনিটে তাঁর একমাত্র কন্যা ও বড় সন্তান অধ্যাপক ডা. নাঈমা মুয়ায্যাম এর গুলশানস্থ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বৎসর। তিনি প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ আলজেইমার রোগে ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, মরহুম ডা. মুয়ায্যাম বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম এর ছোট ভাই। অধ্যাপক মুয়ায্যাম এদেশের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন। ৪০ এর দশকের শেষে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে ডাক্তারী পাস করার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ’ এ যোগদান করেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি তিনি ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপ্যাথ (MRCPath) ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পুনরায় যোগদান করেন। এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেন।১৯৬৬-৬৭ সালে তিনি লন্ডনস্থ Nuffield Foundation এর Fellow in Medicine ছিলেন। আইপিজিএমআর (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) এর প্রতিষ্ঠালগ্নে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ও পরে প্রিন্সিপাল এবং পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব পালন করেন। ৭০ এর দশকে তিনি লিবিয়াস্থ আল ফাতাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যাথলজীর অধ্যাপক ছিলেন। ৭০ এর দশকের শেষে এবং ৮০ এর দশকে তিনি Bahama Princess Margaret Hospital এবং Ghana University তে কমনওয়েল্থ এর এক্সপার্ট হিসেবে Prof of Pathology এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা ল্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা ডাইরেক্টর। এছাড়া, কমনওয়েল্থ এর পরীক্ষক হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

একজন সফল চিকিৎসক এর পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেখকও ছিলেন। ৫০ এর দশকে উনার লিখিত ‘কোরআন ও বিজ্ঞান’ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানময় কোরআন নিয়ে লেখা একটি বিরল সৃষ্টি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন রচিত "Scientific Indications in the Holy Quran" এর সংকলক ৫জন সদস্যের তিনি অন্যতম। মৃত্যুকালে ডা. মুয়াযযাম ১ মেয়ে, ২ ছেলে, ৮ নাতি-নাতনি এবং বহু গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের মেয়ে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. নাঈমা মুয়ায্যাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজী বিভাগের প্রধান ছিলেন। উনার বড় ছেলে, সোহায়েল মুয়াযযাম, স্বপরিবারে লন্ডনে এবং ছোট ছেলে ডা. ফায়সাল মুয়াযযাম (জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা) স্বপরিবারে কানাডা বসবাস করেন। ২৩ জানুয়ারি, শুক্রবার বাদ জুমা মগবাজার কাজী অফিস লেনস্থ বায়তুল কুরআন জামে মসজিদের সামনে মরহুমের জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে মসজিদ সংলগ্ন মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের জন্য দোআ চেয়ে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

301518
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : আল্লাহ তায়ালা মরহুমকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দিন। আমীন।
301519
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : ওয়াক থু...............।
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
243917
স্বপ্নচারী মুসাফির লিখেছেন : মরহুম অধ্যাপক গোলাম আজম স্যারের কথা ধরে বলতেছি,এটা আমি-আমরা নিলাম না, তাহলে আপনার কাছেই থাকল....
তার অর্থ, আপনার মুখের চারপাশে...
301520
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন Praying Praying
301568
২৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : রমজান নিয়ে তার গবেষনা আন্তর্জাতিক জার্নাল এর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত "সাইন্টিফিক ইন্ডিকেশন ইন হলি কুরআন " এর একজন গবেষক।

কমনওয়েলথ এক্সপার্ট একজন উচ্চস্তরের চিকিৎসা বিজ্ঞানিকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করল কেউ তাতেই তার চরিত্র প্রকাশিত।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:০০
245795
নাহিদ নোমান লিখেছেন : সহমত

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File