বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাজমা খানের ডাকে প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারী পালিত হচ্ছে World Hijab Day
লিখেছেন লিখেছেন নাহিদ নোমান ২৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:১৩:৪৩ সকাল
Better Awareness. Greater Understanding. Peaceful World - শিরোনামে প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারী পালিত হচ্ছে World Hijab Day।
২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছিল বিশ্ব হিজাব দিবস। তখন থেকে প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব হিজাব দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নাজমা খানইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে এ দিবসটি পালনের জন্য মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকল নারীদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশী এই নারীর আহবানে সাড়া দিয়ে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে বিভিন্ন ধর্মের নারীরা এ দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে। অনেক সেলিব্রেটি যেমন Carol Lee (Mrs. Universe- 2013), পলিটেশিয়ান Dr. Amina Namadi Sambo (Wife, Vice President of Nigeria), well known scholars like Mufti Ismail Menk, Dr. Yasir Qadhi, Sheikh Omar Suleiman and many more। প্রায় ২১টির বেশি দেশের প্রায় ৫০জন Ambassadors ইভেন্ট পালনে সম্মত হয়েছেন।
এদেরই একজন যুক্তরাজ্যের নরউইচের বাসিন্দা এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জেসি রোডস (২১)। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই হিজাব পরিধান করার ব্যাপরটি ভেবে আসছি। কিন্তু অমুসলিম হওয়ায় ঠিক তা করে উঠতে পারছিলাম না। ‘এখন যখন একজন বন্ধু হিজাব দিবসের ডাক দিয়ে সে সুযোগ করে দেন, তা লুফে নিতে সমস্যা কোথায়’ যোগ করেন জেসি। তিনি বলেন, হিজাব পরিধান করার জন্য যে মুসলিম হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। হিজাব মূলতঃ শালীনতার জন্য পরিধান করা হয়। তাই তিনি এটা পরিধান করায় কোন সমস্যা দেখেন না। রোডসের মতো মুসলিম-অমুসলিম মিলিয়ে বিশ্বের ১০০টি দেশের প্রায় ১০মিলিয়ন নারী এবার হিজাব পরিধান করে দিবসটি পালন করবেন বলে অায়োজকদের আশা।
এ দিবসটি পালনের ডাক দিয়েছেন যে নারী তিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, তিনি যখন হিজাব মাথায় স্কুলে যেতেন, তখন তাকে অনেক অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো।নাজমা খান বলেন, মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় তাকে “ব্যাটম্যান” এবং “নিনজা” বলে ডাকা হত। আর ৯/১১-র পরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পরে তাকে ডাকা হত “ওসামা বিন লাদেন” এবং “সন্ত্রাসী” বলে।
তিনি আরও বলেন, হিজাবকে সাধারণত এখানে নারীর প্রতি নিপীড়ন এবং বৈষম্যের প্রতীক হিসাবে দেখা হয় এবং এজন্য তাকেও অনেক বৈষম্যের শিকার হতে হয়।
আর এই বৈষম্যের অবসান ঘটানোর উদ্দেশে নিয়েই তিনি তার অমুসলিম বোনদেরকেও হিজাব পরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বাস্তবেই এটা কি কোনো নিপীড়ন কি না তা পরখ করার আহবান জানিয়ে আজকের এই বিশ্ব হিজাব দিবসের ডাক দেন।
BBC, Al-Jazeera, Huffington Post সহ উল্লেখ্যযোগ্য বিশ্ব মিডিয়া দিবসটিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে কভার করে আসছে Media Coverage
Facebook Twitter
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৪৭২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 10348
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : আপনারা এ্যামেরিকায় যেমন হেজাবওলা মেয়েদের নিয়ে দিবসটি পালন করেন ঠিক তেমনি হেজাব বিহিন মেয়েরা সমবেত হয়ে হেজাব না পরার আহব্বান জানাবে। বুঝা গেল?তোমার কাছে হিজাব তো কেমন লাগবেই!!
মনে রাখুন, পশু হওয়ার জন্য হিজাবের বিরোধিতা করা দরকার নাই, পোষাকে দেখে সহজেই চেনা যায়!!
হিজাব একদিন পরিধান করার জিনিস নয়। এটা মুসলিম নারীর লজ্জা, সম্ভ্রম তথা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংগ।
বছরের ৩৬৫ দিনই হিজাব দিবস।
আর শরিয়ত সম্মত না কেন? ধর্ম কি ব্যবহারিক লাইফের বাইরের কিছু? ধর্ম বর্ন ছাপিয়ে বিশ্বের সব নারীর জন্যই হিজাব মর্যাদা বৃদ্ধি করে, এটাই ইসলামের মহত্ব!
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ
হিজাব একদিনের না , সারা বছরের/জীবনের জন্য।
আল্লাহ মালুম, এর মাঝে কতজন ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হয়েছেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন