আপনার মেয়েকে কিভাবে আটকিয়ে রাখবেন??
লিখেছেন লিখেছেন নাহিদ নোমান ২১ মে, ২০১৪, ০২:১৭:৩১ দুপুর
আজ পত্রিকায় আলোচিত - সমালোচিত বিশ্বের একমাত্র
রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপনে দেখলাম, আপনার
মেয়েকে রেজিষ্ট্রেশন করতে বলেছে নির্দিষ্ট
একটি নম্বরে মিসকল দিয়ে, না না আপনার মেয়ের একটাকাও
খরচ হবেনা, কোম্পানীই কলব্যাক
করবে( আগে থেকে আপনার মেয়ের মিসকল দেয়ার
অভ্যাস থাকে, তাহলে কথাই নেই)। তারপর এই
কম্পেইনে কি হবে জানেন? আপনার বাসায়
গিয়ে তারা দেখবে আপনার মেয়ে এই ক্রিম ইউজ
করে কিনা, সাথে সহজ দুটি প্রশ্ন। ব্যাস, হয়ে গেল। আপনার
মেয়ে বিজয়ীর রানির মুকুট পাবে কিনা ভাবছেন? অবশ্যই,
বাংলা সিনেমার অগ্নি খ্যাত একজন ইয়া লম্বা অভিনেত্রী কাম
( .......) সাথে দেখা করা মানে তার মতো( .......) হওয়ার সকল
টিপস। এখানেই শেষ নয়, ১বছরের জন্য রং ফর্সা ক্রিম একদম
ফ্রি.........
আচ্ছা, কোম্পানী তো তাদের
বিজ্ঞাপনে বলে "পরিবর্তন দেখুন মাত্র ছ-সপ্তাহে",
তাহলে একবছরে ক্রিম দিচ্ছে কেন? আপনার
মেয়েকে ওরা ফর্সা বানিয়ে আবার নিগ্রো বানাবে নাকি???
দেশের বেকারগুলো এভাবে মিসকল নয় নিজের টাকায় পিক
আওয়ারে কল দিয়েও যদি কাজের নিশ্চয়তা পাইতো,
তাহলে সত্যিই আমরা একটি সোনার বাংলাদেশ পাইতাম!
বি.দ্র: আপনার ও আপনার মেয়ের
সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে যাবে ভেবেই
ব্লগটি লিখিত হয়েছে, কারণ ব্লগারের কোন
মেয়ে নাই। সুতরাং এই ব্লগে আপনার
চুলকানি হলে লেখক কোনভাবেই দায়ী নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৭০ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার নিজের মেয়ে নেইতো কি হয়েছে?
কোন মেয়ের গর্ভে জন্ম গ্রহন করেছেনতো নাকি !!!? আর যে মেয়ের গর্ভে জন্ম-গ্রহন করেছেন উনিওতো কোন একজনের মেয়ে তাই না? আপনি আপনার নানা-নানুকে প্রশ্ন করেছেনতো 'আপনাদের মেয়েকে কিভাবে আটকিয়ে রাখবেন??
আসলে সে ইউনিলিভারের এ্যাডের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের অজান্তে কন্যা সন্তানের পিতাদের অন্তরে আঘাত দিয়ে ফেলেছে।
নিজের মেয়ে নেই বলে খুব গর্ব-বোধ করছেন!!!?
আর আমি গর্ব-বোধ করি মহান আল্লাহ্ আমাকে ৩টি কন্যা-সন্তান দান করেছেন।
এর কারন হচ্ছে: কন্যা সন্তান মহান আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে মাতা-পিতার জন্য একটি বিশেষ শ্রেষ্ট নেয়ামত।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন-” যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার উপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।” (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,” যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে, এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সাথে প্রতিপালন করবে ও তাদের উপর অনুগ্রহ করবে, সে ব্যক্তির উপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
সুবাহানাল্লাহ্!
ধন্যবাদ
২. আমার বিয়ের যোগ্যতাই হয়নি, ফুল্টাইম ছাত্র। আর আমি এই হাদিস্টি ১ম যে দিন পড়েছিলাম সে দিন থেকে আমার সন্তান মেয়ে হোক, কামনা করি।
ধন্যবাদ
ব্লগিং করার আগে ভালোভাবে চিন্তা ভাবনা করুন 'আপনি কি লিখতে যাচ্ছেন'
আমার ব্লগ-বাড়ীতে আসুন ... আমি ব্লগিং ক্লাশ শিরোনামে কয়েকটি পোষ্ট দিয়েছি, মনযোগ দিয়ে পড়ুন
এর জন্য কি ক্যাম্পেইন করা যায় বলেন তো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন